শেষের পাতা
যৌথ অভিযানের কারণে বান্দরবানের ৩ উপজেলায় ভোট স্থগিত
স্টাফ রিপোর্টার
২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবারকুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানের মধ্যে বান্দরবানের থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। সুবিধাজনক সময়ে এই তিন উপজেলায় ভোটের আয়োজন করবে সংস্থাটি। এর আগে আগামী ৮ই মে রোয়াংছড়ি ও থানচি এবং ২১শে মে রুমায় ভোটের তারিখ রেখে তফসিল ঘোষণা করেছিল ইসি। গতকাল সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে নির্বাচন ভবনে ষষ্ঠ উপজেলা ভোট নিয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠক শেষে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, পার্বত্য জেলা বান্দরবানে বিশেষ করে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে। আপাতত এই তিনটি উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে এ নির্বাচন করা হবে। অভিযান চলমান থাকায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এই তিন উপজেলার নির্বাচন পেছানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান ইসি সচিব।
তিনি বলেন, সভায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত ও প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, এবার উপজেলা নির্বাচনে অন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চেয়ে বেশি সংখ্যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা হবে। চার ধাপে ভোট হওয়ায় জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের চাহিদা অনুযায়ী সদস্য মোতায়েন করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী- এবারের উপজেলা ভোটে সহিংসতার কোনো আশঙ্কা করা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, উপজেলাভিত্তিক বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে বাড়িয়ে দেয়া হবে। নির্বাচন কমিশন আশা করে, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, হাকিমসহ যথেষ্ট ব্যবস্থা নেয়া হবে যাতে ভোটাররা নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে ঘিরে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন এবং যথাযথভাবে নির্বাচনের ফলাফল পাবেন।
আইনগতভাবে যেকোনো নাগরিক ভোটে অংশ নিতে পারে মন্তব্য করে সচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে তাদের জনপ্রতিনিধিদের স্বজনদের অনেককে বারণ করেছেন। এটা আইন নয়, দলীয় সিদ্ধান্ত। একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে ইসি’র সিদ্ধান্তের সঙ্গে একাত্ম করার সুযোগ নেই। আমরা চাই, অধিক সংখ্যক প্রার্থী আসবে। যত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আসবে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন তত সুষ্ঠু হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সমন্বিতভাবে ইসি সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে।