শেষের পাতা
সিলেট মহানগরে শৃঙ্খলা ফেরাতে সচল ১১১ চোখ
ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে
২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবারসিলেট নগরের ১১১টি পয়েন্টে তাকিয়ে আছে সিসিটিভি ক্যামেরার চোখ। সিলেটের কোতোয়ালি থানায় বসে পুলিশ সেই ক্যামেরাগুলো মনিটরিং করছে। সিসিটিভির ক্যামেরার আওতাধীন এলাকায় ছিনতাই হলে ধরা পড়ছে অপরাধীরা। গত মাসেও সচল থাকা ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ১৫টি অপরাধের আসামিরা গ্রেপ্তার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এবার আর ছিনতাই নয়, নগরের শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করবে এই ক্যামেরা। কোথায় হকার বসছে, সিএনজি কিংবা লেগুনা অটোরিকশা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছেÑ সবই মনিটরিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। আর সিসিটিভির ফুটেজ দেখে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান জানিয়েছেন, অপরাধী শনাক্ত করতে সিসিটিভির ফুটেজ কার্যকর ভূমিকা রাখছে। অতীতে এই ক্যামেরা ফুটেজ প্রমাণ হিসেবে পাওয়া গেছে। এখন নগরের শৃঙ্খলা ফেরাতে এই ক্যামেরা ভূমিকা রাখবে বলে জানান তিনি।
বিষয়টি জানার পর ময়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী মেরামতের মাধ্যমে ক্যামেরাগুলো সচল করার উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশ দেন। আর গতকাল থেকে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় সচল হয়েছে সিলেট নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়কে লাগানো ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। মেয়রের আন্তরিকতায় সিলেট সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে ক্যামেরাগুলো সচল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার সিসি ক্যামেরা পুনঃসংস্কার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন জানান, সিসি ক্যামেরাগুলো সচল করতে এসএমপি’র পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। পুলিশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে দরপত্র আহ্বান করে ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে ক্যামেরাগুলো সংস্কার করে সচল করা হয়েছে। এখন থেকে পুলিশ ক্যামেরাগুলো ব্যবহার করবে। এই ক্যামেরার মাধ্যমে নগরীর অপরাধ দমন, অপরাধী শনাক্ত এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি)। কোতোয়ালি থানা থেকে চলবে সার্বক্ষণিক মনিটরিং। সিলেট সিটি করপোরেশন মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সিলেট নগরীকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসেন। সেটিকে আরও আধুনিকায়ন করে স্মার্ট সিলেট নগরী গড়তে কাজ করে যাাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথ্য-প্রযুক্তির দিকে খুবই স্মার্ট হয়েছে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনেক স্পর্শকাতর ঘটনাও এখন সমাধান করা যায় যা কয়েক বছর আগেও সম্ভব ছিল না। এই নজরদারি সিস্টেম প্রকল্প সিলেট নগরীকে আরও স্মার্ট নগরীতে পরিণত করবে এবং স্মার্ট সেবা প্রদানে সবার সহজ হবে।