ঢাকা, ৩ মে ২০২৪, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলারজমিন

আমের উৎপাদন বিপর্যয়ের আশঙ্কা দুশ্চিন্তায় চাষিরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার
mzamin

তীব্র দাবদাহে পুড়ছে আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জ। ক্রমশ বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। এতে বোঁটার রস শুকিয়ে ঝরে পড়ছে আমের গুটি। সেচ ও নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেও টেকানো যাচ্ছে না আম। আর এতেই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা। এবার আমের উৎপাদনে বিপর্যয়ের আশঙ্কাও করছেন তারা। চাষিদের দাবি, ইতিমধ্যে অনেক বাগানে প্রায় ২৫ শতাংশ আমের গুটি ঝরে গেছে। সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের আমচাষি সেতাউর রহমান বাদশা বলেন, তীব্র খরায় আমের বোঁটার রস শুকিয়ে ঝরে পড়ছে। চলতি মৌসুমে আমের মুকুল কম ছিল। তারপরও শুরুর দিকে ঘন কুয়াশা ও চৈত্রের বৃষ্টিতে প্রথম দফায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় মুকুল।

বিজ্ঞাপন
এরপর যে খরা চলছে এতে করে গাছে আম ধরে রাখায় কষ্টকর। শুধু বাদশা নন, এমন বৈরী আবহাওয়া আমের গুটি ঝরে পড়ার দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সব উপজেলার আমচাষিরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের আম ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আহসান হাবিব জানান, এমনিতেই এ বছর শীতের কারণে মুকুল দেরিতে এসেছিল, তারপরও অসময়ের বৃষ্টিতে মুকুল ঝরে যায়। আর এখন বৃষ্টির অভাবে আমের গুটি ঝরে যাচ্ছে। এমন দাবদাহ আরও কিছুদিন চললে আরও ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাদের। বৈরী আবহাওয়া আর অনাবৃষ্টির কারণে এ বছর আম উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে। আমের উৎপাদনে বিপর্যয়ের আশঙ্কায় স্বস্তিতে নেই আমচাষিরা বলে জানান তিনি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫ উপজেলাতেই আম চাষ হয়। এ বছর এসব উপজেলার আমের বাগানগুলোতে মুকুল এসেছিল তুলনায় অনেক কম। তারপর চৈত্রের বৃষ্টিতে আমের মুকুল ঝরে যায়। এরপর আবার গত কয়েকদিনের তীব্র দাবদাহে আমের বোঁটা শুকিয়ে ঝরে পড়ে যাচ্ছে গুটি। এতে পানির সেচ ও নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেও ঝরে পড়া ঠেকানো যাচ্ছে না। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বড় গাছগুলোতে এবার মুকুল কম এসেছে, তবে ছোট গাছে ভালো মুকুল আছে। সঠিকভাবে পরিচর্যা করা গেলে, কৃষি বিভাগ যে সাড়ে চার লাখ মেট্রিক টন আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, তার কাছাকাছি যাওয়া যাবে বলে আশা করছি আমরা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সব উপজেলায় খরা মোকাবিলায় আমের গুটি টিকিয়ে রাখতে চাষিদের পরামর্শ দিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বছর জেলার ৫টি উপজেলায় প্রায় ৩৭ হাজার হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। এবার ৪ লাখ ৫০ হাজার টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গতবার জেলায়  আমের উৎপাদন হয়েছিল ৪ লাখ ২৫ হাজার টন।

 

 

 

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status