বাংলারজমিন
ভাঙা সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে ৪০ গ্রামের মানুষের চলাচল
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবারসিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা ও নওদা শালুয়া খালের উপরে নির্মিত ভাঙা সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ৪০ গ্রামের মানুষ। এতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। রায়গঞ্জ উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় সেতুর পূর্ব পাশের ভারী যানবাহন চলাচল একদম বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে বাধ্য হয়ে বাঁশের মাচা দিয়ে চলাচল করছেন ওই এলাকার মানুষ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
সরজমিন দেখা যায়, কয়েক যুগ আগে নির্মিত সেতুটি গত পাঁচ বছর ধরে নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় ইটভাটার মাটি বহনকারী ট্রাক চলাচল করার কারণে সম্প্রতি সেতুটির একাংশ ভেঙে পড়েছে। এতে ওই রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে অটোরিকশা, ভ্যানসহ হালকা যানবাহন এখনো চলাচল করছে। বর্তমানে ভাঙা অংশের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকায় ওই ইউনিয়নসহ প্রায় ৪০টি গ্রামের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় সেতুর ভেঙে যাওয়া অংশে বাঁশের মাচা বিছিয়ে হালকা যানবাহন চলাচল করছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজ বলেন, ভাঙা সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পরও কাজ হচ্ছে না। মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে এলাকাবাসী মিলে সামান্য চলাচলের ব্যবস্থা করেছি। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। যেকোনো মুহূর্তে সেতু ভেঙে মানুষের মৃত্যুসহ বড় ধরনের বিপদে পড়তে পারে। পাঙ্গাসী ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম নান্নু বলেন, সেতুটি অনেক আগের। এ কারণে ভেঙে গেছে। তবে সেতুটি দিয়ে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। জরুরিভিত্তিতে বিষয়টির স্থায়ী সমাধান করতে হবে। আধুনিক সেতু নির্মাণের জন্য সংশিষ্টদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ বলেন, সেতুর যাবতীয় তথ্যাদি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আশা করা যায় দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, সেতু পরিদর্শন শেষে এলজিইডিকে জানানো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে দ্রুত জনগণের ভোগান্তি নিরসন করা হবে।