ঢাকা, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অনলাইন

২৫% মুদ্রাস্ফীতি, সমগ্র এশিয়ার মধ্যে পাকিস্তানে জীবনযাত্রার ব্যয় সবচেয়ে বেশি

মানবজমিন ডিজিটাল

(১ সপ্তাহ আগে) ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:০৬ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৭:১৮ অপরাহ্ন

mzamin

এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (ADB) একটি নতুন রিপোর্ট অনুসারে, ২৫ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতির হার সহ সমগ্র এশিয়ার মধ্যে পাকিস্তানে জীবনযাত্রার ব্যয় সবথেকে বেশি। দেশের অর্থনীতি এই অঞ্চলে ১.৯ শতাংশের চতুর্থ সর্বনিম্ন গতিতে বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানাচ্ছে এডিবি। এক্সপ্রেস ট্রিবিউন রিপোর্ট করেছে যে, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক আগামী অর্থবছরের জন্যও একটি বিষণ্ণ চিত্র সামনে এনেছে। আগামী অর্থবছরের জন্য ১৫ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতির হার অনুমান করছে তারা।  ৪৬টি দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং বৃদ্ধির হার ২.৮ শতাংশ,   ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য পঞ্চম সর্বনিম্ন।

ম্যানিলা-ভিত্তিক ঋণদানকারী সংস্থাটি বলেছে যে, চলতি অর্থবছরে পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতির হার ২৫ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে – যা সমগ্র এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ। এর ফলে পাকিস্তান এশিয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল দেশ হয়ে উঠবে। আগে পাকিস্তানে বসবাসের খরচ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল । স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তান (SBP) এবং ফেডারেল সরকার এই অর্থবছরের জন্য মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ২১  শতাংশ নির্ধারণ করেছিল, কিন্তু সুদের হারের আকার ২২ শতাংশ হওয়ায় তারা বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে চলেছে। এডিবি বলেছে, চলতি অর্থবছরে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ১.৯ শতাংশে থাকতে পারে- মায়ানমার, আজারবাইজান এবং নাউরু এর পরে চতুর্থ সর্বনিম্ন। পাকিস্তানের অর্থনীতি  দীর্ঘ সময়ের জন্য স্থবিরতার পর্যায়ে রয়েছে এবং বিশ্বব্যাংকও গত সপ্তাহে বলেছিল, প্রতিকূলতার কারণে আরও ১০ মিলিয়ন লোক দারিদ্র্যের ফাঁদে পড়তে পারে।

বিজ্ঞাপন
পাকিস্তানে ইতিমধ্যেই প্রায় ৯৮ মিলিয়ন মানুষ দরিদ্র জীবনযাপন করছে। অতীতে, এডিবি পাকিস্তানের সরকারি পূর্বাভাসের কাছাকাছি  আশাবাদী অর্থনৈতিক পরিস্থিতির রূপরেখা দিয়েছে। সর্বশেষ এডিবি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, পাকিস্তান যথেষ্ট নতুন বাহ্যিক অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তা এবং পুরনো ঋণের রোলওভার থেকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে, যা কঠোর বৈশ্বিক আর্থিক অবস্থার কারণে বেড়েছে। ম্যানিলাভিত্তিক ঋণদাতা সংস্থাটি বলেছে যে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা যা সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারণকে প্রভাবিত করেছে দেশের স্থিতিশীলতা এবং সংস্কার প্রচেষ্টারকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে । পাকিস্তানের বৃহৎ বাহ্যিক অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তা এবং দুর্বল বাহ্যিক বাফারের কারণে বহুপাক্ষিক ও দ্বিপাক্ষিক অংশীদারদের কাছ থেকে অর্থ বিতরণ গুরুত্বপূর্ণ । দেশটির অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভার সাথে দেখা করতে যাচ্ছেন যাতে নতুন বেলআউট প্যাকেজের অনুরোধ জানানো হয়।  ক্রিস্টালিনা বলেছিলেন যে, পাকিস্তানের সমস্যা খুব গুরুত্বপূর্ণ। করের ভিত্তি, কীভাবে সমাজের ধনী অংশ অর্থনীতিতে অবদান রেখেছে, সরকারী ব্যয় যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে, এবং আরও স্বচ্ছ পরিবেশ তৈরি করা দেশের অর্থনীতির গতিপথ নির্ধারণ করবে । এডিবি বলেছে কম আস্থা, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি এবং আইএমএফ কর্মসূচির অধীনে কঠোর সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতির বাস্তবায়ন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ চাহিদাকে নিয়ন্ত্রণ করবে।

সূত্র : খালিজ টাইমস

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status