অনলাইন
বন্দি রাজনীতি কি মুক্ত হতে চলেছে?
রাজনৈতিক ভাষ্যকার
(২ সপ্তাহ আগে) ২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:২৯ অপরাহ্ন
বন্দি রাজনীতি কি মুক্ত হতে চলেছে? এমন আভাস-ইঙ্গিত মিলছে নানা মহল থেকে। সরকারের সিদ্ধান্তে পুলিশি অ্যাকশনে রাজনীতি অনেকদিন ধরেই বন্দি। এর পেছনে বিদেশি শক্তির প্রচ্ছন্ন হাত রয়েছে। এর মাঝে নির্বাচনও হলো। সরকার গঠন হলো। কিন্তু সংকট থেকেই গেল।আন্তর্জাতিকভাবেও প্রশ্নবিদ্ধ রয়ে গেল নির্বাচন। এই মুহূর্তে উপজেলা নির্বাচন ঘিরে বড় দুই দলের ভেতরেই অস্বস্তি। সরকারের আদেশ অমান্য করে চলেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বিএনপি’র অবস্থা আরও টালমাটাল। দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত অমান্য করে একশো-এর কাছাকাছি প্রার্থী হওয়ার ঘটনা চলমান রাজনীতিতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
উপজেলা নির্বাচনে কী এমন ঘটলো যে প্রার্থী হওয়ার জন্য দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করছেন! রাজনৈতিক পণ্ডিতরা বলছেন, স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা আর অপেক্ষা করতে রাজি নন। তারা বলছেন, লক্ষ্যহীন রাজনীতি বিএনপি’র ভবিষ্যতকে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে। এই অবস্থার মধ্যেও রাজনীতিতে এক ধরনের নড়চড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শাসকদলের ভেতরেও রাজনীতি মুক্ত করার ব্যাপারে কথাবার্তা হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, এভাবে রাজনীতিকে ‘হাতকড়া’ পরিয়ে রাখা হলে আখেরে দেশের ক্ষতি হবে। আওয়ামী লীগের ক্ষতি তো হয়েই গেছে। কেউ কেউ বলছেন, ভারতের নির্বাচনের পর কিছু বিষয় হয়তো খোলাসা হবে। বাংলাদেশের পুরো রাজনীতির উপর ভারতের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। এই অঞ্চলের রাজনীতি আর মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই সোচ্চার। বিশেষ করে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে। ইদানিং ভারতের রাজনীতি নিয়েও তারা সরব। বাংলাদেশের বিগত নির্বাচনের আগে আচমকা নীরব হয়ে গিয়েছিল। কী কারণে তা স্পষ্ট নয়। এখন কেউ কেউ বলছেন, কিছুদিনের মধ্যেই বিষয়টি খোলাসা হবে। এসবই গুজব এবং অনুমাননির্ভর। ওদিকে বেগম খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তার নিয়ে ভিন্ন অবস্থানের কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বলেছে, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রাজনৈতিক কারণে। এতোদিন তারা কথা বলতো মেপে মেপে। ছিল অনেকটাই কৌশলী।
২০১৮ সনে খালেদা জিয়াকে এক দুর্নীতি মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়। এক নির্বাহী আদেশে এখন তিনি বাসায় অবস্থান করছেন। সরকারের তরফে এটাই স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে। বিএনপি কি এই সুযোগে কোনও ফায়দা তুলতে পারবে? অবস্থাদৃষ্টে তা মনে হয় না। কারণ দলটি অগোছালো। নেতায় নেতায় বিরোধ চরমে। নির্বাচন আর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। বলছেন, এভাবে নির্বাচন বর্জন করতে থাকলে জনবিচ্ছিন্নতার দিকে এগিয়ে যাবে দলটি। এতে লাভবান হবে সরকার। ২৮শে অক্টোবর কেন ব্যর্থ হলো এ নিয়েও কোনো মূল্যায়ন হয়নি এখনো। বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ব্যর্থতার কথা কবুল করেছেন। তবে কোনও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেননি। ভারত প্রশ্নে দলটির ভেতরে ভিন্নমত স্পষ্ট। স্থায়ী কমিটির কেউ কেউ বলছেন, এই বিষয়টি নিয়ে দলের ভেতরে কোনও আলোচনাই হয়নি। এর ফলে যে যার মতো বক্তব্য রাখছেন। যেমনটা দেখা যায় ‘ইন্ডিয়া আউট’ কর্মসূচি নিয়ে। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্যের পর তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠেছেন কতিপয় নেতা। কিন্তু কেউ তলিয়ে দেখছেন না রিজভী এতোবড় সিদ্ধান্ত একা একা কি নিতে পারেন? নিশ্চয়ই এর পেছনে কোথাও থেকে উৎসাহ পেয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে, কোনো ‘আশ্বাস’ কি এখানে কাজ করেছে? যার জন্য তারা অপেক্ষায় রয়েছেন?
এই যখন অবস্থা, জাতীয় পার্টির নেতা জিএম কাদের তার অবস্থান আবারো খোলাসা করতে চেয়েছেন। যদিও তিনি দলের ভেতরেই নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছেন। নানা চাপের মধ্যে নির্বাচনে গিয়েছিলেন এমনটা জানিয়েছেন। তিনটি বৃহৎ শক্তি যারা এই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে এটাও বলেছেন। নাম প্রকাশ না করলেও এটা স্পষ্ট যে- ভারত, চীন ও রাশিয়ার কথাই তিনি বুঝিয়েছেন। জিএম কাদের ইচ্ছে থাকলেও বেশিদূর যেতে পারবেন না - এটা নতুন করে কিছু বলার নেই। মেরুদণ্ড সোজা করা তার পক্ষে খুবই কঠিন। কারণ রওশনের জাতীয় পার্টিকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে তাকে মোকাবিলা করার জন্য। এটা এখন ওপেন সিক্রেট।
বিএনপি ব্যার্থ বলে আমি মনে করি না.
দীর্ঘ ১৬ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা একটি দল বিএনপি এখনো হিমালয়ের মতো দাড়িয়ে আছে এতো জুলুম নির্যাতনের পর ও ৫০ লক্ষ আসামি রাজনৈতিক মামলার, তার বিপরীতে আওয়ামীলিগ বা অন্য একটি রাজনৈতিক দল এবাবে জুলুম নির্যাতন সহ্য করে কতদিন টিকে থাকতে পারবে আমার মনে হয় এক বছরের মধ্যে দল বিলুপ্ত করা লাগবে।
বিএনপি ব্যার্থ বলে আমি মনে করি না,,,কারণ গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব শুধু বিএনপির ই না,,,পুরো দেশের জনগণের। আর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতো ভারত আমাদের বুকে চেপে আছে,,,তাদের থেকে মুক্ত হতে অনেক কঠিন সংগ্রাম করতে হবে। বিএনপির একার পক্ষে তা সম্ভব নয়,,,জনগণ যদি ঐক্যবদ্ধ না হয়।বিএনপি জনগণের হৃদয়ে আছে।
ভারতের দাদাগিরির বিরুদ্ধে শক্ত রাজনৈতিক অবস্থান নিলে বিএনপি দ্রুতই ঘুরে দাঁড়াতে পারবে, এমনকি বিপুল জনসমর্থনে ক্ষমতায় আসার পথও খুলতে পারে
দেশের সাধারণ মানুষও মনে করে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলেও জিততে দেয়া হবেনা। বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে সারাজীবন ক্ষমতায় থাকার লোভে ব্যাপক দলীয়করনের মাধ্যমে এটা নিশ্চিত করেছে যে বিএনপি অংশ নিলে নির্বাচন হবে এক ফরমেটে আর না নিলে হবে ভিন্ন ফরমেটে। ২০১৪ এবং ২০১৮ অংশ নিলে দেখা গেছে কিভাবে নির্বাচন করেছে, আর ২০২৪ না নেয়াতে দেশের মানুষ দেখেছে কিভাবে নির্বাচন করেছে। ভোটের বুথ থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত ব্যাপক অনিয়মের মাধ্যমে সাজানো হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে প্রশাসন থেকে কমিশনের কর্মকর্তারা দলীয় কর্মীর মত নির্দিষ্ট একটি দলকে জেতাতে কাজ করেছে।
বিএনপিকে ব্যর্থ বলার কোনো অবকাশ নেই। কারন, পলাশীতে নবাব সিরাজ ব্যর্থ ছিলেন না। নব্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলাদেশে তৎপর, এটা বুঝতে হবে।
বিএনপি যদি মইজ্জুর উদাহরণকে সামনে রেখে দৃঢ় পদক্ষেপ না নিতে পারে তাহলে রাজনীতি থেকে বিদায় নেয়াই ভালো।
বিএনপি গত নির্বাচন নিয়ে যতটুকু করেছে এর বেশি তাদের আর কিছুই করার ছিল না। পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র এবং একটি বৃহৎ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধ আচরণের বিপরীতে একটি নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল আর কি করবে ? কি করতে পারতো? বিএনপি চরম পন্থা অবলম্বন না করায় শেষ বিচারে আওয়ামী লীগ পরিত্যক্ত দলে পরিণত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে!
দেশ এবং দেশের জনগনকে বাঁচাতে অবশ্যই বিদেশী প্রভাব মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে। এক্ষেত্রে দেশ প্রেম ও ইসলামী মূল ধারার রাজনীতিতে বিশ্বাসী দল গুলোর ঐক্যের বিকল্প নাই।
এই প্রতিবেধনে বিএনপির বিরুদ্ধে যে মন্তব্য লেখা হয়েছে তাহা সঠিক নয় কারণ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের হাজারো অত্যাচার নিপীড়ন জুলুম সহ্য করার পরেও বিএনপির নেতা-কর্মীরা যে দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও অনুগত তাহা হয়ে যাওয়া ৭ই জানুয়ারী সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিয়ে প্রমাণ দিয়েছেন সুতরাং এত বড় একটা দলে কিছু কিছু নেতা-কর্মী বর্তমান সরকারের টাকার কাছে বিক্রি হবে এটা অবিশ্বাস করার কোনো কারণ নাই কেননা বি-বাড়ীয়ার উকিল আব্দুস সাত্তারের মতো মোনাফেক বেঈমান নিলর্জ্জ লোভী সব দলেই কিছু না কিছু আছে তাই বিএনপি দলের বিরুদ্ধে এধরণের লেখা অগ্রহায়ণ যোগ্য কারণ বিএনপি প্রায় দেড়-যুগের কাছাকাছি সময় ক্ষমতার বাহিরে।
উপজেলা নির্বাচন যেহেতু দলীয়ভাবে হচ্ছেনা সেইক্ষেত্রে বিএনপির কেউ কেউ নির্বাচন করতে চাইলে
বিএনপি যদি এখনো মনে করে ভারত তাদের পক্ষে বা নিরপেক্ষ কথা বলবে তাহলে তারা ভুল। ভারত কখনো বিএনপির পক্ষে কথা বলবে না। বিএনপির উচিৎ ভারত বয়কট জোড়ালো ভাবে চালিয়ে যাওয়া। এর ফলে দল মত নির্বিশেষে সাধারন মানুষ এক হবে।
Only dream for BNP.
আমি মনে করি বিএনপি এখনও সঠিক পথে আছে।নির্বাচনে অংশ না নিলেও জনগণের ভালবাসা বা জনবিচ্ছিন্ন হবে না বিএনপি।নির্বাচনে যাওয়া মানে জনগণের সাথে বেঈমানী করা।আর এসব বেঈমানদের বিএনপি না করাই উত্তম।
বিএনপি'র রাজনীতি মোটা দাগে ঠিকই আছে। যা করা সম্ভব, তারা তাই করেছে। নাড়া-চাড়া যা হচ্ছে, এটা আসলে ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেইনের মোমেমন্টাম বাধাগ্রস্থ করার নানাবিধ প্রয়াস। ইন্ডিয়া এবং আমেরিকা সেম টীম - এই বাস্তবতা মাথায় নিয়েই লেভারেজ তৈরি করে রাজনীতি এগিয়ে নিতে হবে।
এ দেশ চরম সংকটে। চারিদিকে হ য ব র ল অবস্থা। আবহাওয়া যতোটুকু চরম ৯৯ ভাগ মানুষের মন ততটাই গরম। সাধারণ মানুষের এত সমর্থন পাওয়া সত্ত্বেও নেতৃত্বের দুর্বলতার জন্য বিএনপি কিছুই করতে পারছে না।গ্রাউন্ড লেভেলের নেতৃত্ব দরকার। দুর্বল নেতৃত্বের জন্য সাধারণ কর্মীরা বছরের পর বছর জেল খাটতেছে। এদেশের মানুষ ইন্ডিয়া বিদ্বেষী দেখেও তারা দোদুল্যমান। দল থেকে যারা ইন্ডিয়ার পক্ষে কথা বলবে তাদের বের করে দেয়া উচিত। কারণ তাদের কোন প্রজ্ঞা, জ্ঞান কিছুই নেই। একমাত্র ইন্ডিয়া আউট সাধারণ মানুষকে বিএনপি'র প্লাটফর্মে নিয়ে আসবে।