অনলাইন
মণিপুর সহিংসতায় বাস্তুচ্যুত ৫ হাজার ভোটারের জন্য বিশেষ বন্দোবস্ত
(২ সপ্তাহ আগে) ১৫ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার, ৬:২৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:৫৭ অপরাহ্ন
মণিপুর সহিংসতার স্মৃতি এখনো মানুষের মনে টাটকা। কুকি-মেতেই জাতি সংঘর্ষে গত বছরের ৩ মে হিংসার আগুন জ্বলে ওঠে মনিপুরে। প্রাণ হারান দুশোর উপর মানুষ। বাস্তুচ্যুত হন লক্ষাধিক। মণিপুর ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দেশের রাজনীতি। নতুন করে হিংসার খবর না মিললেও এখনও বেশ থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে বেশ কয়েকটি এলাকায়। এই আবহেই আগামী ১৯ ও ২৬ এপ্রিল ভোট হতে চলেছে মণিপুরে। এই লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সেরাজ্যের প্রায় ৫ হাজার মানুষের জন্য ২৯ টি বিশেষ ভোটকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। এঁরা সকলেই সংঘর্ষের জেরে বাড়ি-ঘর হারিয়েছেন। আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন ক্যাম্পে।
এএনআই-এর সাথে কথা বলার সময়, ইম্ফল পশ্চিমের ডেপুটি কমিশনার কিরণ কুমার বলেছেন, "জাতিগত সংঘর্ষের কারণে সৃষ্ট সহিংসতা এবং বাস্তুচ্যুতির কথা বিবেচনা করে, আমরা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত লোকদের ভোট দিতে সক্ষম করার জন্য বিশেষ ভোট কেন্দ্রের ব্যবস্থা করেছি। সাধারণ নির্বাচনের আগে এই ধরনের ২৯ টি ভোট কেন্দ্র খোলা হয়েছে। জেলার অভ্যন্তরে বাস্তুচ্যুত মানুষ তাদের নির্ধারিত ভোটকেন্দ্রে ভোট দেবেন।
অন্যান্য সংসদীয় এলাকার লোকেদের জন্য, যারা সহিংসতার আলোকে ইম্ফল পশ্চিমে স্থানান্তরিত হয়েছিল, আমরা বিশেষ ভোট কেন্দ্র খুলেছি। অভ্যন্তরীণ মণিপুরের জন্য, আমরা এই ধরনের ২৯টি ভোট কেন্দ্রের ব্যবস্থা করেছি। প্রায় ৫,০০০ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষ রয়েছে। 'ভোটদান চলাকালীন সুরক্ষা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “ভোটাররা নিজেদের নির্ধারিত ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন। আমরা নিরাপত্তার দিকেও বিশেষ নজর রেখেছি। আশা করছি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী জওয়ানরা। গোটা পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখা হচ্ছে। ভোটদানের সুযোগ থেকে কেউ বঞ্চিত হবেন না।”
ডেপুটি কমিশনার যোগ করেছেন যে গত এক বা দুই মাস ধরে, কয়েক মাস ধরে সংঘর্ষের পরে অশান্ত উত্তর-পূর্ব রাজ্যে শান্তি ফিরে এসেছে। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর একটি বিবৃতিতে মণিপুর পুলিশ জানায় যে সহিংসতায় ১৭৫ জন প্রাণ হারিয়েছে, ১১৩৮ জন আহত হয়েছে, ৩৩ জন নিখোঁজ হয়েছে।
সূত্র : বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
ভোট পাওয়ার জন্য সরকার সব কিছুই করবে ।