ঢাকা, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অনলাইন

সরবজিৎ সিংয়ের হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লাহোরে গুলিবিদ্ধ

মানবজমিন ডিজিটাল

(২ সপ্তাহ আগে) ১৫ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার, ৩:৪৯ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১:৫৭ অপরাহ্ন

mzamin

পাকিস্তানে গত দুবছরে অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ীর হাতে প্রাণ হারিয়েছে ভারতের হিটলিস্টে থাকা অন্তত বারো জন জেহাদি। এবার সরবজিতের খুনে মূল অভিযুক্তও নিকেশ হলো একই কায়দায়। পাঞ্জাবের বাসিন্দা সরবজিৎ সিংয়ের বিরুদ্ধে পাকিস্তানে গুপ্তচরবৃত্তি করা এবং বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ১৪ জনকে হত্যা করার অভিযোগ তোলা হয়েছিল। ২৩ বছর পাকিস্তানের জেলে বন্দি ছিলেন তিনি। অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় ভুল করে পাকিস্তানে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি । ১৯৯০ সালে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে বোমা বিস্ফোরণে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় পাক সরকার। যদিও ভারত সরকার বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সরবজিৎকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা ব্যর্থ হয়। সেলের মধ্যে ঢুকে সরবজিৎকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল। ইট, লাঠি দিয়ে সরবজিতের মাথায় আঘাত করা হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন
এই ঘটনার কদিন পরেই হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। সরবজিৎকে খুনের অভিযোগে পাকিস্তানের ডন আমির সারফারাজের বিরুদ্ধে মামলা হলেও সে বেকসুর খালাস পায়। কারণ তার বিরুদ্ধে সেইভাবে নাকি কোনও প্রমাণই পাওয়া যায়নি।  আমির লস্কর-ই-তইবার প্রতিষ্ঠা হাফিজ সাঈদেরও ঘনিষ্ঠ ছিল বলে অভিযোগ। রবিবার লাহোরে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেলো আমিরের দেহ। তাকে গুলি করে মারে অজ্ঞাতপরিচয়ের দুই ব্যক্তি। লাহোরের রাস্তায় তাকে লক্ষ্য করে অতর্কিতে গুলি চালানো হয়। পুলিশের অনুমান, আমিরের বিপক্ষ কোনও গ্যাং থেকেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। প্রসঙ্গত,  ভারতের বাসিন্দা সরবজিৎ সিংয়ের হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ছিল এই আমির। ১৯৭৯ সালে লাহোরে জন্ম হয় তার। একাধিক অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ার জেরে জেলে ঠাঁই হয়। সরবজিতের সঙ্গে একই জেলে থাকাকালীন  মুদাসির মুনির নামে আরও এক বন্দির সঙ্গে মিলে সরবজিতকে ইট ও অন্যান্য ভারী হাতিয়ার দিয়ে মারধর করত সে। যদিও বাবার খুনে অভিযুক্তের এমন মৃত্যুতে মোটেও সন্তুষ্ট নন সরবজিতের মেয়ে স্বপনদীপ কউর। প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া অন্য রকম হলেও স্বপনদীপের মতে, এটি ন্যায়বিচার হল না। বলেন, 'প্রথমে স্বস্তি পেলেও পরে মনে হয়েছে ন্যায়বিচার হল না এটা। আমার বাবাকে কেন খুন করা হয়েছিল সেই সংক্রান্ত একটা শুনানি চেয়েছিলাম।'

সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status