অনলাইন
'ভারতের বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার স্পষ্ট চেষ্টা হচ্ছে', ২১ প্রাক্তনী চিঠি দিলেন প্রধান বিচারপতিকে
মানবজমিন ডিজিটাল
(২ সপ্তাহ আগে) ১৫ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার, ২:৫২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:৫৪ অপরাহ্ন
বিচার ব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে। আদালতের উপর দোষ চাপাতে ব্যস্ত একটি স্বার্থান্বেষী মহল। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের ২১ জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারকের একটি দল। তাদের দাবি, বিচার বিভাগ গণতন্ত্রের একটি স্তম্ভ, তাকে যেন ক্ষণস্থায়ী রাজনৈতিক স্বার্থের অভিলাষ থেকে মুক্ত রাখা হয়। নিজেদের অভিপ্রায় জানিয়ে দেশের ২১ জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখেছেন। ২০২৪ এর ১৪ এপ্রিল ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের কাছে একটি দুই পৃষ্ঠার চিঠিতে, তারা সুপ্রিম কোর্টের নেতৃত্বে বিচার বিভাগকে এই ধরনের চাপের বিরুদ্ধে শক্তিশালী করার এবং আইনি ব্যবস্থার পবিত্রতা এবং স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করেন । যারা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন তাদের মধ্যে মধ্যে রয়েছেন বিচারপতি দীপক ভার্মা, কৃষ্ণ মুরারি, দিনেশ মহেশ্বরী এবং এম আর শাহ- এর মতো বিশিষ্টজনেরা । প্রাক্তন বিচারপতিরা বলেন, "এটা আমাদের নজরে এসেছে যে সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ এবং ব্যক্তিগত লাভের দ্বারা উদ্বুদ্ধ কিছু উপাদান আমাদের বিচার ব্যবস্থার উপর জনগণের আস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করছে।'
চিঠিতে আরো বলা হয়েছে -'এই ধরনের কর্মকাণ্ড শুধুমাত্র আমাদের বিচার বিভাগের পবিত্রতাকে অসম্মান করে না বরং ন্যায়বিচারের নীতির প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ তৈরি করে। আইনের রক্ষক হিসাবে, বিচারকের কর্তব্য নিরপেক্ষতা বজায় রাখা। তারা সেই শপথ নেন '।
প্রাক্তন বিচারপতিরা আরো দাবি করেছেন যে, বিচার বিভাগের সুনাম নষ্ট করার উদ্দেশ্যে ভিত্তিহীন তত্ত্বের প্রচার থেকে শুরু করে বিচারিক ফলাফলগুলিকে প্রভাবিত করার প্রকাশ্য এবং গোপন প্রচেষ্টা জারি রয়েছে ।
প্রাক্তন বিচারপতিরা বলেছেন যে, তারা বিচার বিভাগের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বিচার বিভাগের মর্যাদা, সততা এবং নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় যে কোনও উপায় সমর্থন করতে প্রস্তুত। তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে প্রাক্তন বিচারপতি ও বিশিষ্ট আইনজীবীদের খোলা চিঠি লেখার সময়টি তাৎপর্যপূর্ণ। দেশের বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার ইডি, সিবিআইয়ের মতো এজেন্সিগুলিকে বারে বারে ব্যবহার করছে। নির্বাচনের সময়ও তাতে বিরাম নেই। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি তদন্ত হচ্ছে আদালতের নির্দেশে। সরকারের কোনও হাত নেই।
সূত্র : ডেকান হেরাল্ড
we saw reflection of injustice about Babri masjid trial , ex judges are right.