বিশ্বজমিন
মারা গেছে গাজার সেই শিশু সাব্রিন
মানবজমিন ডেস্ক
২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবারগাজার দক্ষিণে ইসরাইলের বিমান হামলার পর মৃত্যুপথযাত্রী এক মায়ের গর্ভাশয় থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল শিশু সাব্রিন আল সাকানিকে। রোববার মধ্যরাতের সামান্য পরে রাফার একটি হাসপাতালে অপারেশন করে তাকে ভূমিষ্ঠ করানো হয়। তাকে দেখে অনেকের চোখই ছল ছল করে ওঠে। বিশ্বমিডিয়ায় মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সাব্রিনের ছবি, ভিডিও। ভয়াবহ যুদ্ধাবস্থার মধ্যেও তার দেহে প্রাণের সঞ্চার করেছিলেন চিকিৎসকরা। তারা ‘হ্যান্ড পাম্পের’ মাধ্যমে তার ফুসফুসে বাতাস চলাচল করান। রাখা হয় ইউকিউবেটরে। আশা জেগে ওঠে সাব্রিন বেঁচে থাকবে। কিন্তু না। সবাইকে কাঁদিয়ে বৃহস্পতিবারে সেও মারা গেছে।
শনিবার মধ্যরাতের সামান্য আগে নিজের বাড়িতে, স্বামী শুকরি এবং তিন বছর বয়সী মেয়ে মালাককে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন সাব্রিনের মা সাব্রিন। তিনি তখন সাড়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। রাতে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন তিনি ও অন্যরা। ঠিক তখনই আকাশ থেকে বোমা গিয়ে পড়ে তার বাড়ির ওপর। এতে বড় রকমের আহত হন সাব্রিন। তার স্বামী ও কন্যা মালাক নিহত হয়। তখনও তার পেটে জীবিত কন্যা সাব্রিন। সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তারা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে সিজারিয়ান অপারেশন করে তারা কন্যা সাব্রিনকে ভূমিষ্ঠ করান। তার শ্বাস-প্রশ্বাস চালু করেন চিকিৎসকরা। তখন দেখে মনে হয়েছিল, তার অবস্থা স্থিতিশীল। ফলে তাকে ইনকিউবেটরে রাখা হয়। তবে চিকিৎসকরা তার অবস্থাকে সংকটজনক বলে বর্ণনা করেন। কারণ, জন্মের সময় সাব্রিনের ওজন ছিল মাত্র ১.৪ কেজি। শ্বাস-প্রশ্বাসের বড় রকম সমস্যা ছিল। চিকিৎসকরা বলেন, অপরিণত বয়সে তাকে ভূমিষ্ঠ করানো হয়েছে বলে এসব জটিলতা দেখা দিচ্ছে। শিশুটির তার মায়ের গর্ভে থাকা উচিত ছিল। কিন্তু তার সেই অধিকারকে কেড়ে নেয়া হয়েছে। এমন মন্তব্য করেন রাফায় এমিরাতি হাসপাতালের জরুরি শিশু ইউনিটের প্রধান ডাক্তার মোহাম্মদ সালামা। শিশু সাব্রিনের নানী মিরবাত আল সাকানি বলেছেন, তারাই সাব্রিনকে লালন-পালন করার পরিকল্পনা করেছিলেন।
ধ্বংস হয়ে যাক বর্বর ইসরাইল
kothy human rights/??
সাবরিন বাবা-মা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জান্নাতে চিরন্তন সুখে থাক। যারা নারী -শিশুদের প্রতি এই নির্মম নির্যাতন করছে তাদের ইহ ও পরকাল ধংস হোক।