অনলাইন
জার্মানি-যুক্তরাষ্ট্র কেজরিওয়াল ইস্যুতে কথা বলায় দূতাবাস কর্মকর্তাদের তলব করলো দিল্লি
মানবজমিন ডিজিটাল
(৪ সপ্তাহ আগে) ২৭ মার্চ ২০২৪, বুধবার, ১১:১২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৩ পূর্বাহ্ন
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার নিয়ে কিছুদিন আগে মুখ খুলেছিল জার্মানি। তারপরই, ভারতে অবস্থিত জার্মানির দূতাবাসের কর্মকর্তাকে তলব করে দিল্লি জানিয়েছিল, বিষয়টি ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রও কেজরিওয়ালের গ্রেফতার নিয়ে মুখ খুলেছে। তাই, এবার ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ গ্লোরিয়া বারবানাকে ডেকে পাঠালো ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওয়াশিংটনের প্রতি বার্তায় দিল্লি সাফ জানাচ্ছে, ‘কূটনীতিতে রাষ্ট্রগুলো অন্যের সার্বভৌমত্ব এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে, এমনটাই আশা করা যায়। এই দায়িত্ব সহকর্মী গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে আরও বেশি, নয়তো অস্বাস্থ্যকর নজির স্থাপন করতে পারে।’ এমন বিবৃতি ভারতের তরফে জারি করা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস এর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়ঃ
জয়শঙ্করের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে বলা হয়েছে, ভারতের আইনের প্রক্রিয়া একটি স্বতন্ত্র বিচারব্যবস্থার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, ‘যা বস্তুনিষ্ঠ ও সময়মতো ফল প্রকাশ করে।’ দিল্লির সাফ দাবি, এই ইস্যুতে খোঁচা, একেবারে অযৌক্তিক।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের তরফে আসা এক মন্তব্যকে ঘিরে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে বলা হয়েছিল, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারের রিপোর্টের দিকে নজর আরও কড়া করছে আমেরিকা।
উল্লেখ্য, এর আগে দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ২০২১-২২ সালের বিতর্কিত আবগারি নীতি নিয়ে তদন্তের জেরে এই গ্রেফতার। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতারের পরই জার্মানি থেকে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। তারপরই মোদি সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে তলব করা হয়েছিল জার্মানির দূতাবাসের কর্মকর্তাকে।
মার্কিন মুখপাত্র বলেছিলেন, ‘আমরা মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের জন্য একটি ন্যায্য, স্বচ্ছ এবং সময়োপযোগী আইনি প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করি।’
গ্লোরিয়া বারবানার আগে জার্মানির দূতাবাসের ডেপুটি চিফ জর্জ এনজুয়েলারকে ডেকে পাঠিয়ে দিল্লি সাফ জানিয়েছিল, জার্মানির মন্তব্যকে ভারতের বিচারব্যবস্থায় নাক গলানোর শামিল বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে সেই জায়গা থেকে যেন জার্মানি বিরত থাকে। ভারতের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, জার্মানির মন্তব্য 'আমাদের বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করা এবং আমাদের বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করা'র শামিল। এছাড়াও বার্লিনের প্রতি বার্তায় দিল্লি জানিয়েছিল, ‘এই প্রেক্ষাপটে করা পক্ষপাতমূলক অনুমানগুলো সবচেয়ে অযৌক্তিক।