দেশ বিদেশ
সাবেক ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে বাসে আগুন- সিটিটিসি
স্টাফ রিপোর্টার
২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার২০২৩ সালের ২৮শে অক্টোবর দিবাগত রাতে ডেমরা এলাকায় অছিম পরিবহনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ বিভাগের এন্টি ইললিগ্যাল আর্মস অ্যান্ড ক্যানাইন টিম। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- ছাত্রদল নেতা নুরুল ইসলাম মনির ওরফে মনির মুন্সী (৩৭), নারায়ণগঞ্জের যুবদল নেতা সাহেদ আহমেদ (৩৮) ও বিএনপি কর্মী মাহবুবুর রহমান সোহাগ (৩৩)। সোহাগ মনির মুন্সীর ব্যক্তিগত গাড়িচালক। গাড়িতে আগুন দেয়ার কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
সিটিটিসি’র অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান গতকাল বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে রাজধানীর পল্টন এলাকায় নারকীয় তাণ্ডব চালায় বিএনপি’র নেতাকর্মীরা। তারা ২৮শে অক্টোবর মহাসমাবেশের নামে রমনায় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করার মতো জঘন্য কাজসহ অসংখ্য গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। এরই ধারাবাহিকতায় ২৯শে অক্টোবর ভোরবেলায় ডেমরা থানার দেইল্লা বাসস্ট্যান্ডে পার্কিং করে রাখা অছিম পরিবহনের একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এতে ঐ বাসে ঘুমিয়ে থাকা হেল্পার মো. নাঈম (২২) ঘটনাস্থলে আগুনে পুড়ে মারা যান এবং অপর হেল্পার মো. রবিউল (২৫) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন। এই ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে কাজ শুরু করে সিটিটিসি’র স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের এন্টি ইললিগ্যাল আর্মস অ্যান্ড ক্যানাইন টিম মামলা তদন্ত শুরু করে।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, নিহত নাঈমের গ্রামের বাড়ি বরিশালের কোতোয়ালি থানা এলাকায়। নিহত নাঈমের বাবার নাম আলম চৌকিদার এবং মায়ের নাম পারভীন বেগম।
তদন্তভার গ্রহণের পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনাস্থলের চারপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। উক্ত ফুটেজ বিশ্লেষণ করে একটি হ্যারিয়ার গাড়ি শনাক্ত করতে সক্ষম হয় যা ঐদিন অগ্নিসংযোগে ব্যবহৃত হয়েছিল। এই গাড়ির সূত্র ধরে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মূল অগ্নিসংযোগকারী ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার এবং ঘটনায় ব্যবহৃত গাড়িটি জব্দ করা হয়।