অনলাইন
কেন চাকরি ছাড়লেন বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদকের ৭২ কর্মকর্তা?
স্টাফ রিপোর্টার
(১ সপ্তাহ আগে) ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ১:২৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৭ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের ৭২ কর্মকর্তা চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এরমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫৭ জন কর্মকর্তা এবং দুদকের ১৫ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ এই দুই প্রতিষ্ঠানের বড় সংখ্যক কর্মকর্তা চাকরি ছাড়ায় নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। তারা কেন চাকরি ছেড়েছেন সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
যদিও প্রতিষ্ঠান দুটির সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসসহ (বিসিএস) অন্য চাকরিতে যোগ দেয়ার জন্য এসব কর্মকর্তা চাকরি ছেড়েছেন। কারো কারো অন্য কারণও আছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদত্যাগকারীদের মধ্যে রয়েছেন- একজন উপপরিচালক ও একজন অফিসার। বাকি ৫৫ জন সহকারী পরিচালক। তাদের মধ্যে ৪৮ জনের পদত্যাগ কার্যকর হয়েছে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল)।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন , অন্য যে কোনো চাকরির মধ্যে তুলনামূলকভাবে ব্যাংকের বেতন বেশি। ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরিতে নানাভাবে উৎসাহিত করার ব্যবস্থা ছিল। সব ক্ষেত্রে মেধাবীদের প্রাধান্য ছিল। ২০১৮ সাল পর্যন্ত সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদানের পর একাডেমিক রেজাল্টের ভিত্তিতে চারটি অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট দেয়া হতো।
এছাড়া ২০২২ সালের আগ পর্যন্ত তিন বছর পূর্ণ হলে পদ খালি থাকা সাপেক্ষে পরবর্তী ধাপে পদোন্নতির যোগ্য হতেন কর্মকর্তারা। এখন পদ খালি থাকলেও ৫ বছর না হলে পদোন্নতি পান না তারা। আগে যোগদানের পর ৯ মাসের ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণ করানো হতো। এখন এক থেকে তিন মাসে নামিয়ে আনা হয়েছে। আবার এই প্রশিক্ষণে ৮০ শতাংশ নম্বর পেলে অতিরিক্ত একটি ইনক্রিমেন্ট দেয়া হতো। সেটিও এখন বন্ধ। এসব কারণে কর্মকর্তারা প্রশাসন সহ সরকারের অন্যান্য চাকরিতে চলে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে দুদকের ১৫ জন কর্মকর্তা চাকরি ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (ডুসা) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিসিএসের বিভিন্ন ক্যাডারের চাকরিতে যোগ দেয়ার জন্য তারা দুদকের চাকরি ছেড়েছেন। বৃহস্পতিবার তাদের বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে ডুসা। দুদকের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত মো. আতাউর রহমান (প্রশাসন), আকিব রায়হান (প্রশাসন), শাওন হাসান অনিক (প্রশাসন), তালুকদার ইনতেজার (প্রশাসন), চৌধুরী বিশ্বনাথ আনন্দ (প্রশাসন), আশরাফুল হোসেন (পুলিশ), সুজনুর ইসলাম সুজন (পুলিশ) ও মো. ইমাম হোসেন (পুলিশ) সংশ্লিষ্ট ক্যাডারে যোগ দেবেন। উপ-সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত খাইরুল ইসলাম, শেখর রায়, সিদ্দিকা মারজান, আসিফ আরাফাত, পপি হাওলাদার ও রয়েল হোসেন শিক্ষা ক্যাডারে এবং মাহমুদুল হাসান তিতাস কৃষি ক্যাডারে যোগ দেবেন বলে জানানো হয়েছে।
মধুখালির মতো অনুসন্ধানী প্রতিবেদন আশা করছি মানবজমিনের কাছে পদত্যাগের বিষয়ে।
44 person from Bangladesh Biman
বাস্তবতা হচ্ছে বর্তমান সরকারের সময়ে মেধাবীরাই চাকরি পায় এবং বারবার পায়।
আসুন, আমরা বরং জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি নিয়ে কথা বলি।
সম্ভবত দুদকের যে কর্মকর্তাগন চাকুরী ছাড়ছেন… ওদের অন্য কোন মিশন থারতে পারে… বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যারা অন্য জায়গায় যাচ্ছেন তারা নিজেদেরকে কতটুকু সৎ রাখতে পারবেন বা নিজে কতটুকু সৎ থাকবেন সেটা দেখার বিষয়… ???? সর্বপরি লক্ষণ ভাল নয়
অন্য বিভাগে ইয়ে বেশী পাওয়া যাবে
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অতীতেও অনেক কর্মকর্তা বিসিএস ক্যাডারের চাকুরিতে যোগদান করেছেন। সম্ভবত এবারই একসাথে ৫৭ জন কর্মকর্তা ব্যাংকের চাকুরী ছেড়ে যাচ্ছেন তাই সবার নজরে এসেছে। বিষয়টি স্বাভাবিক ভাবেই দেখা যেতে পারে ।।
বাংলাদেশে মানুষের বদ্ধ ধারণা টাকা পয়সাই একমাত্র যোগ্যতা সরকারি চাকরির জন্য। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক এবং দুদকে যোগ্যরখ চাকরি পেয়েছিল বলেই ওরা বিসিএস এ চান্স পেয়েছে। দুদক থেকে যাহারা চাকরি ছেড়েছেন তাহাদের তো লিষ্ট ও দেয়া হলো।
তাদের কে স্বাধীন ভাবে মিডিয়ার সামনে বক্তব্য রাখেন বলেন। দেখা যাবে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসছে
ডালমে কুচ কালা হায়ে?
হয়তো দুর্নীতি লুটপাটের এমন ভয়াবহ তাণ্ডব চলেছে যে তারা আর নিজেদের নিরাপদ ভাবছেন না এসব প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদে থাকতে। সময় থাকতে গা বাঁচাতে এই পদত্যাগ!!
এটি ' খবর ' হওয়ার মতো কোনো বিষয় নয়।
ঝড়ের পূর্বাভাস......আসন্ন।