বাংলারজমিন
হাওরে ধান কাটার শ্রমিক সংকট, দুশ্চিন্তায় কৃষকরা
এমএ রাজ্জাক, সুনামগঞ্জ থেকে
২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবারসুনামগঞ্জের হাওরগুলোতে পাকা ধানের শীষ বাতাসে দুলছে। বোরো ধান ভালো হওয়ায় কৃষকরা মহাখুশি। তবে, হাওরে ধান কাটার শ্রমিক সংকট এবং সরকারের দেয়া হারভেস্টার মেশিন পর্যাপ্ত না থাকায় কৃষকরা রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। তারা বলছেন, চোখের সামনে পাকা ধান দুলছে, অথচ ঘরে তুলতে পারছেন না। পাকা ধান কাটা হচ্ছে ধীরগতিতে। ৫০০ টাকার শ্রমিক হাজার টাকা দিয়েও মিলছে না। এইদিকে নদীতে ধীরে ধীরে পানি বাড়ছে। যা দেখে আতঙ্কে পাকা ধান অতিরিক্ত টাকা দিয়েই কাটার চেষ্টা করছেন কৃষকরা। গতকাল মাটিয়ান হাওর ঘুরে দেখা গেছে, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ পরিবারের লোকজন প্রচণ্ড দাবদাহ উপেক্ষা করে ধান কাটছেন। কোনো কোনো গৃহস্থ শ্রমিকদের অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ধান কাটাচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
বিশ্বম্ভপুর করচার হাওরে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষেতে ফসল ভালো হলেও ধান তোলা নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন কৃষকরা। শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। ধান কাটার ভরা মৌসুমে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। অভিযোগ উঠেছে, সরকারের কাছ থেকে ৭০ ভাগ টাকা ভর্তুকি নিয়ে কেনা জেলার ৮৭৩টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের বড় একটি অংশ গোপনে অনত্র বিক্রি করার। এসব ধান কাটার যন্ত্র স্ব স্ব এলাকায় নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম জানান, এবার ২ লাখ ২৩ হাজার ৪০৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধান হয়েছে। গত বুধবার পর্যন্ত ১ লাখ ২৪ হাজার ৬১০ হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। আর কয়দিন আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে হাওরে ধান কাটা শেষ হয়ে যাবে।