বাংলারজমিন
অরকা হোমে বেড়ে উঠছে রানা প্লাজায় হতাহত শ্রমিকদের ২১ শিশু
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবারসাভারের রানা প্লাজায় ভবন ধসে কেউ হারিয়েছে মা কেউ হারিয়েছে বাবা। এমন ২১ জন শিশু বেড়ে উঠছে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের অরকা হোমসে। এরমধ্যে ৯ জন মেয়ে, ১২ জন ছেলে। সেখানে লেখাপড়া, খেলাধুলা, বিনোদন ও মাতৃস্নেহে বেড়ে উঠছে এসব শিশুরা। বিগত ২০১৩ সালের ২৪শে এপ্রিল ঘটেছিল ঢাকা জেলার সাভারস্থ রানা প্লাজা ধসে পড়ার ঘটনা। ভয়াবহ এ ট্র্যাজেডির ১১ বছর পূর্ণ হলো। অরকা-হোমস কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন (ওল্ড রাজশাহী ক্যাডেট এসোসিয়েশন) এর সদস্যরা ২০১৪ সালে ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে ‘অরকা হোম’ নামের এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন।
পরবর্তীতে প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনতলা বিশিষ্ট দু’টি এবং দুই কোটি টাকা ব্যয়ে চারতলা বিশিষ্ট অপর একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। এখানে উন্নত পরিবেশে ২১ জন শিশু বসবাস করছে। তাদের জন্য মানসম্মত আবাসিক ব্যবস্থাসহ প্রজেক্টরের মাধ্যমে পাঠ গ্রহণ, বিনোদন, ক্রীড়া ও পাঠাগার রয়েছে। এই ২১ জনের বাইরেও আরও ৩১ জন এতিম ছেলে-মেয়ে এখানে বাস করে।
সূত্রটি আরও জানায়, অরকা হোমের মাঠেই রয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হোসেনপুর মুসলিম একাডেমি।
গাইবান্ধা অরকা হোমসের পরিচালক মো. জাহিদুল হক জানান, এখানে বসবাসকারী শিশুদের লেখাপড়া শেষ করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি মেয়েদের বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়। শিশুরা যেন বাবা-মায়ের মতো স্নেহ পায় সেজন্য সবরকমের ব্যবস্থা এখানে রয়েছে। একজন ম্যানেজার, সহকারী ম্যানেজার, কেয়ারটেকার, এক্সিকিউটিভ, নিরাপত্তাকর্মীসহ ৩ জন বাবুর্চি শিশু-কিশোরদের দেখভালের জন্য হোমসে দায়িত্বপালন করছেন। এখানকার শিশুরা যেদিন সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে, সেদিনই আমাদের উদ্দেশ্য সফল হবে।