দেশ বিদেশ
সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবি শিবিরের
স্টাফ রিপোর্টার
২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবারবিএসএফ কর্তৃক সীমান্তে হত্যা অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানিয়েছে ছাত্রশিবির। মঙ্গলবার ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলামের এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি ও এই ঘটনার প্রতিবাদ জানান।
২২শে এপ্রিল সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুঁটিয়া সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক গুলি করে হাসান (২৬) নামে এক বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা এবং একই দিন রাত ৮টার দিকে কুমিল্লার বুড়িচং সীমান্তে বিল্লাল হোসেন (২৮) নামের আরেকজন বাংলাদেশিকে গুলি করায় ছাত্রশিবির কর্তৃক এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, যখন তখন নির্বিচারে বাংলাদেশিদের হত্যা করছে বিএসএফ। এসব নির্মম ও অপমানজনক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ পরিসংখ্যানে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩রা এপ্রিল পর্যন্ত ভারত সীমান্তে ১৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে। সীমান্তে এমন নির্বিচার হত্যা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
তারা বলেন, ভারতের সদিচ্ছার অভাব ও বাংলাদেশ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশিরা হরহামেশা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের শিকার হচ্ছে। ২০০০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১ হাজার ১৮৫ জন বাংলাদেশি বিএসএফের হাতে খুন হয়েছেন। আহত ও নির্যাতনের শিকার অসংখ্য বাংলাদেশি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিবাদ করা হয়নি। অবৈধ সরকারের নীরবতাই সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ঘটাতে বিএসএফকে উৎসাহিত করছে। ফলে প্রতিনিয়তই বাংলাদেশ সীমান্তে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ, নির্যাতন, অপহরণ ও চুরি, ডাকাতি, দখলের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে বিএসএফ। অথচ অন্য কোনো দেশের সীমান্তে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার সাহস দেখাতে পারে না ভারত।