ঢাকা, ২০ মে ২০২৪, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

অনলাইন

সংসদে প্রধানমন্ত্রী

আমাকে জনগণ থেকে দূরে সরাতে পারবেন না

সংসদ রিপোর্টার

(১ সপ্তাহ আগে) ৯ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৯:৫২ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:১০ অপরাহ্ন

mzamin

সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাকে জনগণ থেকে দূরে সরাতে পারবেন না। এই দেশের জনগণই আমার শক্তি। জনগণের কল্যাণে আমি কাজ করি, সেটা জনগণ বোঝেন, সে কারণে তারা আমার সঙ্গে আছেন। আমি কাউকে পরোয়া করি না। বৃহস্পতিবার সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে সমাপনি ভাষণে সংসদ নেতা এসব কথা বলেন। সংসদ নেতার বক্তব্যের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৭ মিনিটের একটি অডিও রেকর্ড সংসদে শোনানো হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কর্তৃক অধিবেশন সমাপ্তের ঘোষণাটি পড়ে শোনান স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী । 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করি। দেশের জনগণের প্রতি আমার আস্থা বিশ্বাস আছে। কাজেই ভোট করবেন সবাই, কথায় কথায় প্রশ্ন তুলবেন, সেটা হবে না। কে কোন দল করেন, দলের জন্ম বৃত্তান্ত আগে জানবেন, তারপর সরকারের সমালোচনা করবেন।

বিজ্ঞাপন
একমাত্র আওয়ামী লীগই দেশের কল্যাণে কাজ করছে। সে কারণেই টানা ক্ষমতায় আছে। আওয়ামী লীগ ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকে না। জনগণই ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনে। তিনি বলেন, দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে দেশের কল্যাণে যা যা করণীয় তা করবো। আমি কাউকে পরোয়া করি না। আমি জানি, আমার বাবার সাথেও এমন হয়েছে। মাত্র সাড়ে তিন বছর ক্ষমতায় ছিলেন। এই সময়ে এমন কোন কাজ নেই তিনি করে যাননি। কিন্তু তারপরও তাঁর বিরুদ্ধে অনেক কথা বলা হয়েছে। কৎৃসা রটানো হয়েছে, লেখা হয়েছে। তাও যখন পারেনি, তখন হত্যা করা হয়েছে। আর আমাকে তো বার বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি জনগণের জন্য কাজ করছি। জনগণ থেকে আমাকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। দেশের কল্যাণে কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতাসহ ১৫ আগস্ট ঘাতকের হাতে নির্মমভাবে নিহত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদদের স্মরণ করেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াত স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকে কেউ কেউ গণতন্ত্রের প্রবক্তা হয়ে গেছেন। তারা কি গণতন্ত্র বোঝে? তাদের জন্ম কি গণতন্ত্রে হয়েছিল? সেনা ছাউনি থেকে বের হয়ে দল করে। হ্যা না ভোট। হ্যাতে ভোট আছে, না তে ভোট নাই। এটা ছিল তাদের গণতন্ত্র। তাদের কাছ থেকে শুনতে হয় গণতন্ত্রের ছবক। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের ক্ষমতার সময়ে হাজার হাজার সৈনিক হত্যা করা হয়। সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনীর সৈনিকদের হত্যা করা হয়। ১৯টি ক্যু হয়েছিল সে সময়। পিতা হারা সন্তানের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারি ছিল। জিয়া সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় এসেছিল, জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার যেন না সেজন্য ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছিল। খুনিদের রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেওয়া হয়। সে সময় বিচারের সংস্কৃতি ছিল না। এলিট শ্রেণী তৈরি করা হয়। আজকে ঋণ খেলাপীর কথা বলা হয়। এটা জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন। তিনি বলেন, অবৈধভাবে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সেনা আইন ভঙ্গ করে রাষ্ট্রপতির ভোট করে। জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া জিয়াউর রহমানের আমল থেকে শুরু। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে আমরা অংশ গ্রহণ করেছি, অনেক প্রতিকূল অব¯’ায়। এরপর আবারও ৮৮ সালে ভোটার বিহীন রাষ্ট্রপতি ভোট করলেন এরশাদ সাহেব। এর বিপরিতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমরাই আন্দোলন করি। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোট করেছিল খালেদা জিয়া। ভোটার বিহীন ভোট। কিন্তু সেই ভোটে তিনি টিকতে পারেনি। জনগণের রুদ্ররোষে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলো। এরপর বিদ্যুতের দাবিতে কৃষককে গুলি করে হত্যা করে। পানির জন্য ঢাকা শহরে হাহাকার ছিল। বিএনপির এক নেতাকে পানির জন্য মানুষ দৌড়ানি দেয়। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মানুষ বুঝতে পারে ক্ষমতা জনগণের কল্যাণের জন্য। ২০০১ সালের আগে আমার কাছে প্রস্তাব আসে, গ্যাস বিক্রির। আমি রাজি হয়নি। তাই ক্ষমতায় আসতে পারিনি। এই নির্বাচনের আগে আমাদের নেতাকর্মীদের অত্যাচার করা হয়েছে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের রেহাই দেওয়া হয়নি। এরপর ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। বিএনপি আওয়ামী লীগের উপর অত্যাচার করে। ৬ বছরের রজুফা, ফাহিমা, পূর্নিমাকে ধর্ষন করেছিল। তাদের বাবা-মা আওয়ামী লীগে ভোট দিয়েছিল বলেই তাদের অপরাধ। কিবরিয়া, আহসানুল উল্লাহ মাস্টার, মমতাজ উদ্দিনসহ অনেকেই হত্যা করে।  শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এসে দেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান করেছিল। এরপর নির্বাচন, ভূয়া ভোটার তৈরি করে ভোট করার প্রস্তুতি। এরপর জনগণ আন্দোলন করে। বাধ্য হয় ক্ষমতা ছেড়ে দিতে। এরপর খালেদা জিয়ার প্রিয় লোক ফখরুদ্দিনকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করে। মঈন উ আহমেদকে সেনা প্রধান বানায় ৯জন অফিসারকে ডিঙ্গিয়ে। কথা ছিল তাদের নির্বাচন দেবে। কিন্তু টালবাহানা করে। তারা গ্রেফতারসহ নানা অপকর্ম শুরু করে। আমি প্রতিবাদ করি। আমাকেও গ্রেফতার করে। এরপর খালেদা জিয়াকেও গ্রেফতার করা হয়। গত বছর বিএনপির সমাবেশ থেকে পুলিশ রেহাই পায়নি। সাংবাদিকরাও রেহাই পায়নি। প্রেসক্লাবে ঢুকে সাংবাদিকদের পিটিয়েছে। পুলিশকে হত্যা করেছে। প্রধান বিচারপতির বাড়িও রক্ষা পায়নি। প্রধান বিচারপতির কামরায় বিএনপির লাথি দেয়ার অভ্যাস আছে।

পাঠকের মতামত

দারুন বলেছেন।

সামসুর রহমান
১০ মে ২০২৪, শুক্রবার, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

১০

ইউকে-বাংলাদেশ ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তিতে সম্মত / বৃটেন থেকে ফেরত পাঠানো হবে ১১ হাজার বাংলাদেশিকে

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status