অনলাইন
ফিলিস্তিনে ইসরাইলি হামলায় জামায়াতের নিন্দা
স্টাফ রিপোর্টার
(১ সপ্তাহ আগে) ৯ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৫:৪৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন
ফিলিস্তিনের রাফায় দখলদার ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এবং ফিলিস্তিনে জাতিগত নিধন বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, দখলদার ইসরাইলি বাহিনী ১৯৪৮ সাল থেকেই ফিলিস্তিনের মুসলমানদের ঘর-বাড়ি ও ভূমি জবর দখল করে তাদের উৎখাত করে দখলদারিত্ব চালিয়ে আসছে। দীর্ঘ ৭৫ বছর যাবৎ ইসরাইলিরা ফিলিস্তিনে বর্বর গণহত্যা ও সন্ত্রাস চালাচ্ছে। পুরো ফিলিস্তিনে গত বছর ৭ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত ২৫ হাজার বেসামরিক সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এবং ৮০ হাজার মানুষকে আহত করা হয়েছে, যাদের ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। লক্ষ লক্ষ মানুষকে বাস্তুচ্যূত করা হয়েছে।
শফিকুর রহমান বলেন, বর্বর ইসরাইলিদের হাত থেকে হাসপাতাল, মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ, আশ্রয় কেন্দ্র কোনো কিছুই রেহাই পায়নি। গাজায় এ পর্যন্ত ৭টি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে এবং এসব গণকবর থেকে ৫২০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ফিলিস্তিনের নির্যাতিত-নিপীড়িত মুসলমানদের ওপর অবৈধ ইসরাইলি বাহিনীর এসব আগ্রাসী হামলার নিন্দা জানানোর কোনো ভাষা আমাদের জানা নেই। আমরা মানবতার দুশমন ইসরাইলি বাহিনীর এসব বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, গাজায় হামলার পর থেকে এ পর্যন্ত রাফাতে ১৫ লাখ বাস্তুচ্যূত নিরীহ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তারা সেখানে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। খাদ্য ও পানির অভাব দেখা দিয়েছে।
জামায়াতের আমীর বলেন, জাতিসংঘসহ সকল আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে ইসরাইলিরা অব্যাহতভাবে আন্তর্জাতিক আইন-কানুন, রীতিনীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আসছে। বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশ এবং জাতিসংঘ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসন থামাতে বার বার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বিশ্ববাসীর কাছে এ কথা দিবালোকের মত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ফিলিস্তিন সমস্যার কোনো সমাধান হবে না।
ফিলিস্তিনীদের স্বাধীন আবাস ভূমি সহ তাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনাকাল থেকেই জামায়াতে ইসলামী তাদেরকে নৈতিক সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে এবং ইসরাঈলী বর্বরতার প্রতিবাদ এবং নিন্দা জানিয়ে আসছে। জামায়াতে ইসলামী শুধু দেশে নয় বিশ্ব মানবতার আন্দোলন নীতি নৈতিকতা এবং জনগণের ন্যায় সংগত অধিকারের পক্ষে আপোষহীনতার সাথে সোচ্চার এবং মুখর। তদসংক্রান্ত অগনিত সভা সমাবেশ সেমিনার সিম্পোজিয়াম মিছিল মিটিং তার প্রমান। এটাই জামায়াতের প্রথম বিবৃতি বা সংহতি মূলক বক্তব্য নয়। তানভির------ অভিযোগ করেছেন জামায়াতে ইসলামী ৭১ সনের ভূমিকা নিয়ে এখনো কোন ন্যারেটিভ দাড়ঁ করাতে পারেনি। জামায়াতে ইসলামীর ইতিহাস ঐতিহ্য আর ভূমিকা নিয়ে যাদের অজ্ঞতা অন্ধকারের বিভীষিকায় আবর্তিত তারাই জামায়াতের ৭১ এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। যাদের চোখ কান খোলা এবং রাজনীতির কিছুটা আক্ষর জ্ঞান আছে স্বাধীনতর অর্ধশতাব্দির পর তাদের জামায়াত নিয়ে অস্পষ্টতা আর ধূম্রজালের বিলুপ্তি ঘটতে শুরু করেছে। ভারতীয় আগ্রাসন আর আধিপত্যবাদের রাজনীতির কি ফলাফল এর প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে কারা জাতিকে দিকদর্শন নির্দেশনা দিয়েছে কারা জাতিকে তাদের স্বকীয়তা জাগ্রতের মূখ্য ভূমিকা পালন করেছে কারা ভবিষ্যত্বাণি করেছে ভারতীয় নগ্ন হস্তক্ষেপের ভয়াবহতা নিয়ে------ তা জানতে বুঝতে আর হৃদয়াঙ্গম করতে হলে জামায়াতে ইতিহাস পড়ুন। জামায়াতের ৭১ এর ভূমিকার জবাব কারো মুখ থেকে নয় নিজের বিবেক থেকেই পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
বিশ্ব মানবতার নৃশংসতর শত্রু মনুষ্যত্বের দুশমন নেতানিয়াহুর সরকার এবং সামরিক বাহিনী স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনি নারী পুরুষ শিশু বৃদ্ধ সহ আবাসভূমি অফিস আদালত স্কুল কলেজ মাদ্রাসা হাসপাতাল মসজিদ মন্দির গির্জার উপর ভয়াবহ বর্বরতম সামরিক হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ধ্বংশযজ্ঞ চালাচ্ছে তাতে গোটা ফিলিস্তিন এক বিরান ভূমিতে পরিণত হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। আহত নিহত পঙ্গু মানুষের খাদ্য চিকিৎসার অভাবে জনতার আর্তনাদ আর হাহাকারে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে পড়েছে। এক ভয়াবহ মৃত্যুপুরীতে রূপ নিয়েছে গোটা ফিলিস্তিন। এই মানবিক বিপর্যয় রোধে মানবিক বিশ্বের এখনি প্রতিরোধে এগিয়ে না আসলে ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম পরিস্থিতি সামাল দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে। দেশে দেশে স্বৈরশাসক এক নায়কতান্ত্রিক ক্ষমতাখোর শাসকদল ইসরায়েলকে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ মদদ দিয়ে তাদের প্রাণসঞ্চার করে যা়চ্ছে আর ফিলিস্তিনকে ভয়ঙ্কর মরনফাঁদে ফেলার প্ররোচনা দিচ্ছে। ধর্ম বর্ণ জাতি নির্বিশেষে সকল মানবতাকামী দেশ মানুষ এবং নেতৃবৃন্দের এখনি বজ্রকঠিন সোচ্চার হতে হবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সেই পদক্ষেপেরই আকুল আর ব্যাকুল আবেদন জানাচ্ছে।
আপনাদের মিডিয়া সেল প্রো-এ্যাকটিভ হওয়া উচিত। গাজায় দখলদার ইজরায়েলের গণহত্যার ৭ মাস পর এইরকম সাদামাটা বিবৃতি অন্তত আপনাদের কাছে কাম্য নয়। সবকিছুতেই আপনাদের ঢিলেমি লক্ষ্য করার মতো। এমনকি আজ পর্যন্ত ১৯৭১ তে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে একটা সমন্বিত ন্যারেটিভ দাড় করাতে পারেননি। গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আপনাদের নেতৃত্বের এতো হেজিটেশন কেন ?
ঘুম ভেংগেছে, বড্ড দেরিতে!