প্রথম পাতা
সরজমিন
সিলেটে প্রার্থীদেরও প্রশ্ন ভোটার কোথায়?
ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে
৯ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবারভোটার নিয়ে খোদ প্রশ্ন তুললেন বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী গৌছ খান। বেলা এগারোটার দিকে তিনি যখন বিশ্বনাথ সরকারি কলেজ কেন্দ্র থেকে বের হচ্ছিলেন; তখন তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল- ‘ভোটার কই’। জবাব দিতে গিয়ে তিনিও ক্ষোভ জানালেন। নিজেও বললেন; ‘এত ভোটার গেল কই’। ভোটার না থাকলে নির্বাচন করার যৌক্তিকতা কী? প্রশ্নের জবাবে তিনি জানালেন, ‘ভোটাররা তো জোর করেই প্রার্থী করেছে। এখন তারা নেই।’ গৌছ খান বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপি’র সাবেক আহ্বায়ক ছিলেন। দলীয় নিষেধ অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় তিনি দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন। তবে ভোটের দিন এসে তিনি হতাশা ব্যক্ত করলেন। চেয়ারম্যান প্রার্থী শমসাদুর রহমান রাহীনের সঙ্গে দেখা হয় ওই কেন্দ্রে। তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা।
চা-বাগান কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সাময়িক স্থগিত: জালভোটের অভিযোগে সিলেটের চা-বাগানের ভেতরে দলদলি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। বেলা একটা থেকে ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হয়। কেন্দ্রটি সিলেট সদর উপজেলার টুকের বাজার ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কেন্দ্রে জালভোট দেয়ার অভিযোগ তুলে ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকেন চা-বাগানের ভোটাররা। পরে প্রিসাডাইডিং অফিসার ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেন। কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা পলাশ কুমার দত্ত এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য না করলেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছরীন আক্তার জানিয়েছেন, কিছু সমস্যা হয়েছে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ওই কেন্দ্রে রয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে কাপ-পিরিচ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক ওই কেন্দ্রে এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন।
উন্নত দেশে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসার আগ্রহ কম। বাংলাদেশ তো অনেক বেশী উন্নত হয়েছে তাই এখানে ৫ ভাগ মাত্র ভোটার আসে। বেশী উন্নয়নের প্রভাব
ভোট দেওয়ার পদ্ধতি পাল্টাতে হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে এক প্যাকেট বিরিয়ানি হাদিয়া দিয়ে ভোটার কে খুব তোষামোদ করে বাড়িতেই ভোট সংগ্রহ করলে আশা করা যায় ভোটের পরিমাণ বেড়ে যাবে!!!!!
দেশ প্রেমিক ভোটারগন বিএনপি ও বিরোধী দলের আহবানে ভোট বর্জন করে বাড়িতে ঘুমিয়েছে।এইটুকু বুঝার ক্ষমতা কি নাই??
ভোটের পারসেন্টেসের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনারগণ সাংবাদিক ও জনগণকে সব সময় মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকেন। আসল সত্য কথা হলো বিরোধী দলের ভোট বর্জনের আহবানে সাড়া দিয়ে জনগণ ভোট দিতে কেন্দ্রে আসেন না।
জয় বাংলা।
Digital BD. Voters digital.
আগামীতে আর সবদলের অংশগ্রহণেও ভোটার উপস্থিতি থাকবে না । বাংলাদেশের ভোটের সংস্কৃতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে করতে এখন এটা চুড়ান্ত পর্যায়ে এসে গেছে ।