ঢাকা, ১৪ মে ২০২৪, মঙ্গলবার, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

বাংলারজমিন

চকরিয়ায় সমাজসেবা কার্যালয়ের অফিস সহকারীর ঘুষ নেয়ার ভিডিও ভাইরাল

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
২৯ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার
mzamin

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের অফিস সহকারী মমতাজ বেগমের ঘুষের টাকা নেয়ার এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যার পরে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, মমতাজ বেগম তার অফিসের একটি কক্ষে গুনে গুনে টাকা নিচ্ছেন। তবে রোববার চকরিয়া উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের অফিস সহকারী মমতাজ বেগম বলেন, তিনি কারও কাছ থেকে টাকা নেননি এবং ভিডিওটি এডিট করে প্রচার করা হয়েছে। মমতাজ দাবি করেন, ‘ভিডিওতে আমি টাকা নিচ্ছি, এমন দেখা যাচ্ছে না। তবে গুনছি, সেটা দেখা যাচ্ছে। আমার স্বামী বিদেশ থাকে। তিনি বিকাশে টাকা পাঠিয়েছেন, সেই টাকা গুনতেছিলাম।’ এলাকার একটি এতিমখানার বরাদ্দ করা অনুদানের টাকা তুলতে গিয়ে সমাজসেবা কার্যালয়ের অফিস সহকারী মমতাজ বেগমকে টাকা দিতে হয়েছে বলে জানান ওই এতিমখানার সভাপতি রফিকুল ইসলাম। ভিডিওটি ৮ই এপ্রিল ধারণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। ৬ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, সমাজসেবা কার্যালয়ের অফিস সহকারী মমতাজ বেগমের ডেস্কের সামনে হারবাং ইউনিয়নের মধ্যম পহরচাঁদা এতিমখানার সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও আরেকজন লোক বসে আছেন।

বিজ্ঞাপন
এমন সময় আরেকজন মধ্যবয়স্ক নারী তার কক্ষে ঢোকেন। একপর্যায়ে মমতাজ বেগম তার চেয়ার থেকে উঠে ইশারায় রফিকুল ইসলামকে পাশের কক্ষে ডেকে নেন। সেখানে দুজনের মধ্যে কথা হয়। এ সময় মমতাজ বেগমকে রফিকুল তার পকেট থেকে বের করে এক হাজার টাকার নোটের একটি বান্ডিল দেন। তখন মমতাজ বেগম জানতে চান, এখানে কত দিয়েছেন? তখন ওই ব্যক্তি গুনে নিতে বললে, মমতাজ টাকাগুলো গুনতে থাকেন। ওই সময় রফিকুল বলেন, ‘আমি টাকা তুলতে পারিনি। অনেক কষ্ট করে টাকা এনেছি। প্রথম কিস্তির বরাদ্দ বাবদ ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা তুলতে পারিনি।’ তখন মমতাজ বেগম রফিকুলকে বলেন, ‘আপনি ঠকে যাবেন। আপনার প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে।’ রফিকুল অনুরোধ করে বলেন, ‘আমি বেঁচে থাকলে টাকা পাবেন।’ টাকা গোনা শেষে মমতাজ বেগম কেউ একজনকে ফোন করে বলেন, ‘স্যার, রফিক মেম্বার ৮০ হাজার দেওয়ার কথা ছিল, ৪০ হাজার দিয়েছে। স্যার, এক মাস পর আবার বিল আছে, তখন কেটে রাখতে হবে।’ রফিকুল চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্যও। তিনি বলেন, ‘এতিমখানার বরাদ্দের টাকা তুলতে গিয়ে অফিস সহকারী মমতাজ বেগমের সঙ্গে আমার কয়েক দফা বৈঠক হয়। ২০২৩-২৪ সালের প্রথম কিস্তির ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করা হয়। অন্যথায় এতিমখানার টাকা ফেরত পাঠিয়ে দেবে। পরে ৮ এপ্রিল সমাজসেবা অফিসে গিয়ে দুপুর ১২টার দিকে অফিস সহকারী মমতাজ বেগমকে ৪০ হাজার দেই।’
 

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status