ঢাকা, ৩ মে ২০২৪, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রথম পাতা

৪ঠা মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া

স্টাফ রিপোর্টার
২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার
mzamin

ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে। ট্রেনের যাত্রীদের ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে গেলে ভাড়ার ক্ষেত্রে ছাড় (রেয়াত) দিতো বাংলাদেশ রেলওয়ে। কিন্তু আগামী ৪ঠা মে থেকে এ ছাড় প্রত্যাহার করায় বাড়ছে সব প্রকার ট্রেনের ভাড়া। গতকাল বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাৎ আলী গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। বাংলাদেশ রেলওয়ে এ সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে। রেলওয়ের মহাপরিচালক বলেন, আগামী ৪ঠা মে থেকে রেয়াত প্রত্যাহার করায় ট্রেনের ভাড়া সমন্বয় করা হবে। ভাড়ার হার রেলওয়ের বাণিজ্যিক শাখা নির্ধারণ করবে।

রেলওয়ের সূত্র জানায়, ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে একজন যাত্রীর রেয়াত কর ২০ শতাংশ, ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ২৫ শতাংশ আর ৪০০ কিলোমিটারের উপরে ৩০ শতাংশ। সূত্র আরও জানায়, ৪ঠা মে থেকে যদি একজন যাত্রী ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ করেন তাহলে তাকে ভাড়া বেশি দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলের এই প্রস্তাবনা পাস করেছেন,  যা এই মাসের ১ তারিখ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। বাংলাদেশ রেলওয়ে এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি প্রদান করা হয়।

বিজ্ঞাপন
২০১২ সালে ‘সেকশনাল রেয়াত’ রহিত করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সমপ্রতি বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রীবাহী ট্রেনসমূহে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তৎপ্রেক্ষিতে সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনে বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি আগামী ৪ঠা মে থেকে কার্যকর করা হবে।

গত ১৬ই মার্চ বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাৎ আলী রেলের ভাড়া বাড়ছে বলে আভাস দিয়েছিলেন। তবে সে সময় ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির গুঞ্জন ওঠার পর রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, রেলের ভাড়া বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই। ২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়িয়েছিল রেলওয়ে। ২০১২ সালের অক্টোবরে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হয়। পরে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেক দফায় রেলের ভাড়া বাড়ানো হয় ৭ থেকে ৯ শতাংশ। এর প্রায় সাত বছর পর ২০২৩ সালের শেষার্ধে রেলওয়ের বিভিন্ন সেতু ও ভায়াডাক্টে পন্টেজ চার্জ আরোপের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। আর রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু হয়েছিল ১৯৯২ সালে। এর মধ্যে সেকশনভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহার করা হয় ২০১২ সালে।
 

পাঠকের মতামত

এই সব সিদ্ধান্ত গরীবদের মারার সিদ্ধান্ত, আল্লাহ তাআলা আমাদের কে হেফাজত করুন আমীন, আর জালিমদের কে হেদায়েত দেন আর যদি কপাল পোড়া হয় তাহলে ধংস করে দিন

ZIAUR RAHMAN
২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ৪:০৩ অপরাহ্ন

এটি ভুল সিদ্ধান্ত। বরং ট্রেনে কেউ যেন টিকেট ছাড়া আরোহণ করতে না পারে এই ব্যবস্হা নেয়া দরকার। ঈদের সময় টিকেট বিহীন প্রচুর যাত্রী ট্রেনে আরোহণ করেছে ।ট্রেনে নিযুক্ত টিটি ও কর্মচারীরা তাদের কাছ থেকে ১০০/২০০/৩০০ টাকা করে আদায় করেছে কিন্তু কোন টিকেট প্রদান করে নাই,এসব টাকা সরকারি ফান্ডে গেলে অনেক ভাল হতো। আমি মনে করি যারা সিট পাবে না তারা যেন সবাই কমপক্ষে স্টান্ডিং টিকেট কেটে ট্রেনে আরোহণ করে, তাহলে দেশের অনেক লাভ হবে।স্টান্ডিং টিকেটের কোন লিমিট থাকা উচিত নয়,যারা ভ্রমণ করবে তারা সবাই যেন কাটতে পারে এই ব্যবস্হা করা উচিত। ট্রেনের টিটি ও কর্মচারীরা যেন টিকেট না দিয়ে কোন টাকা গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকে এই ব্যবস্হা করা অত্যন্ত জরুরি।

صالح احمد سهيل
২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন

দেশটা এখন মগের মুল্লুক। আর আমরা জনগণরা সার্কাসে পরিণত হয়েছি। পকেটে যতক্ষণ টাকা আছে দাম বাড়াতে থাকুক, চুপচাপ মুখ বুজে থাকবো।

Salam Gazi
২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ৯:১৬ পূর্বাহ্ন

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status