ঢাকা, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দেশ বিদেশ

টুপি আতর ও জায়নামাজের দোকানে ভিড়

স্টাফ রিপোর্টার
৯ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার

ঈদের শেষ সময়ের কেনাকাটায় সাধারণ মানুষের আগ্রহের তালিকায় থাকে আতর, টুপি ও জায়নামাজের দিকে। নতুন পোশাক কেনার পর ক্রেতারা ছুটছেন এইসব পণ্য সংগ্রহ করতে। নিজের ও স্বজনদের জন্য কিনছেন সুগন্ধি আতর, টুপি ও জায়নামাজ। পছন্দের সুগন্ধি আতরটি যাচাই করতে ক্রেতারা ঘুরে ফিরছেন এক দোকান থেকে আরেক দোকানে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি করা আতর, টুপি ও জায়নামাজের দাম এবার বেশ ঊর্ধ্বমুখী। কারণ, এসবেও ডলারের উচ্চ বিনিময় হারের প্রভাব পড়েছে।
তবে, দেশি ব্র্যান্ডের কদরও  ভালো। বেশির ভাগ ক্রেতা সাশ্রয়ী মূল্যে দেশি ব্র্যান্ডের টুপি-জায়নামাজ কিনছেন। দোকানদারদের দাবি, ঈদ মৌসুমে ব্যবসা বাড়লেও গতবারের তুলনায় অনেকটাই কম।
দুবাই, ভারতীয়, সৌদি আরবের বিভিন্ন কোম্পানির দুইশ’ ধরনের আতর বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর দোকানগুলোতে। মানভেদে এক তোলা আতরের দাম রাখা হচ্ছে ১০০ থেকে ১৬০০ টাকা। আছে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা তোলার আতরও।
এই তিন পণ্যের মধ্যে বিক্রির তালিকায় শীর্ষে আছে টুপি। ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় আছে সিন্ধি, রুমি, গুজরাটি, পাথর বাধাই সিন্ধি টুপি ও জিন্নাহ্‌ টুপি।

বিজ্ঞাপন
৮০০ থেকে ৩ হাজায় টাকায় মিলছে আমদানি করা এসব টুপি। এছাড়া ১০০ থেকে হাজার টাকার মধ্যে আছে বাংলাদেশি টুপি।
এছাড়া তুরস্ক, সৌদি আরব, কাতার, মালয়েশিয়া থেকেও টুপি আসে। নকশা, কাপড়ভেদে ৫০ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা দামের টুপিও পাওয়া যায়। ১৫০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে চীনা ও পাকিস্তানি  টুপি পাওয়া যায়। আমদানি-নির্ভর অন্য পণ্যের বাজারের মতোও এইসব পণ্যেও দামের প্রভাব পড়েছে ব্যাপক ভাবেই।
আতর-টুপির পাশাপাশি চাহিদা বেড়েছে জায়নামাজের। দেশে তৈরি জায়নামাজের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তানসহ মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমদানি করা জায়নামাজ আছে ক্রেতার পছন্দের তালিকায়। তবে এবার অন্যসব জিনিসের মতোই এইসব পণ্যের বাজারেও পড়েছে বাড়তি দাম নেয়ার খড়গ। দোকানিরা বলছেন, হরেক রকম সুগন্ধির দাম অন্তত দেড়গুণ বেড়েছে; কমেছে বেচাকেনাও। যে কারণে দাম না বাড়িয়ে উপায় নেই। 
ঢাকার পল্টনে বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেটে আতর বিক্রেতা কাজী নজরুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার কেনাবেচায় মন্দা চলছে। দাম দেখে ক্রেতারা অস্বস্তি বোধ করছেন। আমরা অসহায় বোধ করছি। প্রচুর পণ্যও এবার আনতে পারি নাই। তার পরেও যা এনেছি বেশির ভাগই পরে রয়েছে। ক্রেতারা নেড়ে-চেড়ে দেখে দাম শুনে রেখে দিচ্ছেন। বিক্রি নিয়ে তিনি হতাশা প্রকাশ করেন।
আতরের খোঁজ-খবর নিতে গিয়ে জানা যায় বাহারি সব নাম। সৌরভ ছড়ানো অনেক দামি সুগন্ধি যেমন পাওয়া যায়, তেমনি বাজেটের মধ্যেও রয়েছে বিভিন্ন নামের আতর।
দেশের বাজারে সাধারণত জেসমিন, হাসনা হেনা, রজনীগন্ধ্যা, এক্সকাচি বেলি, সিলভার, চকোলেট মাক্সসুলতান, আমির আল কুয়াদিরাজা ওপেন, জান্নাতুল ফেরদৌস, রয়েল, অরেঞ্জ, সফ্‌ট, লর্ডনিভিয়া মেন, রয়েল ম্যাবরেজজপি, রাসা, আল ফারিসবেস্ট, ফিগো, হাজরে আসওয়াদ নামের আতর বেশি বিক্রি হয় বলে জানালেন দোকানিরা। এগুলোর দাম প্রতি এমএল একশ’ থেকে দেড়শ’ টাকা।
ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেট, গুলিস্তান, কাঁটাবন মসজিদ মার্কেট, কাকরাইল মসজিদ মার্কেটসহ ফুটপাথের বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যায় এসব আতর। 
তবে বায়তুল মোকাররম মার্কেটের নিচতলায় আতর-টুপির দোকানের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। প্রতিটি দোকানে সাজানো বাহারি সব টুপি-জায়নামাজ। আতর, আতরদানি, সুরমা, পাঞ্জাবি, তসবিহর আলাদা দোকান রয়েছে।
আতর এখানে বেশি পাওয়া গেলেও অনেকে একটু ভালো ব্র্যান্ডের আশায় ভিড় জমান বায়তুল মোকাররম মার্কেটের ভেতরে। যদিও ওখানে একটু ধনিক শ্রেণির লোকেদের আসা যাওয়া বেশি। তার পরেও প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়তি হওয়ায় বিক্রি কমেছে গত বারের চেয়ে প্রতিটি পণ্যেরই।

 

দেশ বিদেশ থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

দেশ বিদেশ সর্বাধিক পঠিত

মৌলভীবাজারে জাতীয় পার্টির সম্মেলন সম্পন্ন / ‘আমরা আওয়ামী লীগে নেই, বিএনপিতেও নেই

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status