প্রথম পাতা
অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে পেটে ছুরি মেরে আত্মহত্যা
স্টাফ রিপোর্টার
২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবারমর্জিনা বেগম নির্বাক তাকিয়ে আছেন। কাঁদতেও যেন ভুলে গিয়েছেন মলিন চোখে ঢামেকের মর্গের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন স্বামীর মরদেহের অপেক্ষায়। অসুস্থ স্বামীসহ দুই সন্তান নিয়ে থাকতেন হাতিরঝিলের মধুবাগে। রিকশা চালিয়ে সংসারের খরচ চালাতেন স্বামী জয়নাল আবেদীন। ১৩ বছর আগে জয়নাল রংপুর থেকে ঢাকায় পাড়ি জমান। বসতভিটা ছাড়া বাড়িতে নেই কিছু। দীর্ঘদিন ধরে হাঁপানি, হার্ট ও কিডনিজনিত সমস্যা নিয়ে ভুগছিলেন তিনি। অর্থসংকটে ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে পারতেন না। অসুস্থতার জন্য রিকশা চালানো বন্ধ করে দেন। তার স্ত্রী সংসারের হাল ধরতে বাসা-বাড়িতে কাজ শুরু করেন।
জয়নালের স্ত্রী মর্জিনা বেগম বলেন, আমার আর কিছু বলার নেই, আমার স্বামী চলে গেল। আমি সংসারের খরচ চালাতে বাসা-বাড়িতে কাজও করি। ছোট মেয়েটাও একটি টেইলার্সে কাজ শুরু করে। আমি এখন কী নিয়ে বাঁচবো। আমার সন্তানদের কী হবে?
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে জয়নাল আবেদীন নিজের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নেতারা বলেন,দেশে কোন অভাব নাই,ভিক্ষা নেওয়ার মত লোক খুজে পান না,এই সব খবর তাদের জন্য চপটাঘাত মনে করি।
কতটা কস্ট আর নিরুপায় হলে এই কাজ করতে হয়
আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে বাসকরি।ডিজিটাল স্বাস্থ্য সেবা।টাকা আর টাকা।
আহ্, কোন দেশে থাকি?
Foreigners are looking at these developments in amazement.
এগুলো দেখার কেউ নেই ?
উন্নয়নের ফল
উন্নয়নের ফল