বাংলারজমিন
বারহাট্টায় জনবলের অভাবে আটকে আছে উন্নত চিকিৎসাসেবা
বারহাট্টা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবারনেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যার প্রশাসনিক অনুমোদন পেলেও দীর্ঘদিনেও চালু হয়নি। পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় মানুষ এর সেবা থেকে বঞ্চিত। উন্নতমানের ৫০টি বেড ও সমানসংখ্যক ডায়েড থাকার পরও রোগীরা পুরাতন বেড ও ফ্লোরে চিকিৎসা সেবা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। ইসিজি, এক্সরে ও আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন থাকলেও নেই টেকনিশিয়ান। পুরুষ রোগীদের ইসিজি করেন ওয়ার্ড বয়। তবে মহিলা রোগীদের বাধ্য হয়ে বাইরে ইসিজি করতে হয়। তাই কাগজে-কলমে ৫০ শয্যা হলেও এি ট চলছে ৩১ শয্যার জনবল ও চিকিৎসক দিয়ে। জানা যায়, নিয়মানুযারী একটি ৫০ শয্যার হাসপাতালে মোট ২৮ জন চিকিৎসক থাকার কথা। এর মধ্যে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এবং একজন করে জুনিয়র কনসালট্যান্ট শিশু, গাইনি, কার্ডিওলজি, অ্যানেসথেশিয়া, দন্ত, চক্ষু, ইউনানি, চর্ম ও যৌনসহ ১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ রয়েছে। এ ছাড়া ১৭ জন মেডিকেল অফিসার, ৩১ জন সেবিকা (নার্স), তৃতীয় শ্রেণির ৭৩ এবং চতুর্থ শ্রেণির ২৮ জন কর্মচারী থাকার কথা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগে নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন এই উপজেলার মানুষ। উপজেলার জনসংখ্যা এবং ভৌগলিক অবস্থা বিবেচনায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। তবে দীর্ঘ সময়ে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ করা হয়নি। ফলে রোগীদের দুর্ভোগ থেকেই যাচ্ছে। রোগীরা জানান, হাসপাতালে চিকিৎসকের সংকট ও রোগ নির্ণয়ে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। নারী ও শিশু ওয়ার্ডের অবস্থা আরও নাজুক। কিছু ওষুধ পাওয়া গেলেও বাকি সব বাইরে থেকে কিনতে হয়। রোগীর সংখ্যা বেশি থাকলেও বেড সংকট থাকার কারণে মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসাসেবা নিতে হয়।এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জনবলের অভাবে ৫০ শয্যার নতুন বিল্ডিংয়ের প্রশাসনিক অনুমোদনের পরও আমরা সেখানে যেতে পারছি না। জনবল সংকটসহ নানা সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি, দ্রুতই সংকট কেটে যাবে। তবে কম জনবল নিয়েও ভালো মানসম্মত চিকিৎসাসেবা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।