বাংলারজমিন
‘বাজার করতেই পারছি না, আবার ঈদের কেনাকাটা’
এম.এ রাজ্জাক, সুনামগঞ্জ থেকে:
২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার১৫ রোজা দেখতে দেখতে চলে গেছে। আর কয়েকদিন পরেই ঈদুল ফিতর। অথচ জেলার বাজারগুলোতে এখনো ঈদের বাজার জমে ওঠেনি। গত বছর এই সময়ে ঈদের কেনাকাটার ধুম ছিল, আমরা দোকানিরা হিমশিম খেয়েছি। কিন্তু এবার সে রকম বিক্রি নেই। মানুষের হাত খালি, টাকা নেই। মানুষের মধ্যে ঈদের আমেজ নেই। দোকানে তেমন ক্রেতাও নেই। বিক্রিও নেই। ঈদের বাজার ভালো না হলে পথে বসতে হবে অনেক দোকানিদের।
বাদাঘাট বাজারের ব্যবসায়ী সারোয়ার ইবনে গিয়াস বলেন, জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে ১০টি উপজেলা হাওর কেন্দ্রিক।
বিজ্ঞাপন
বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় নেই। মাঝে মধ্যে ক্রেতারা মার্কেটে ঢুকছেন, আবার দাম শুনেই খালি হাতে বের হয়ে যাচ্ছেন। জেলা শহরের মৌ ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী মো. কুদ্দুস মিয়া বলেন, এবারের ঈদে বেচাকেনা অন্য বছরের তুলনায় কম। এখন পর্যন্ত দোকানে তেমন বিক্রি নেই। অথচ গেল বছর এমন সময়ে ভালো বিক্রি ছিল। তবে আসা করা যায় আস্তে আস্তে বিক্রি বাড়বে। রয়েল ফ্যাশনের মালিক রয়েল জানান, গত বছরের ঈদের তুলনায় এ বছর বিক্রি কিছুটা কম। কারণ, হাওরে এখনো বোরো ধান কাটা শুরু হয়নি। এ ছাড়া মানুষের হাতে টাকা নেই। চৈত্র মাসে এমনিতেই হাওরাঞ্চলে অভাব থাকে। তবে, আসা করা যায়, ২০ রোজার পর থেকে বিক্রি বাড়বে। কেনাকাটা করতে আসা শাহানারা বেগম বলেন, বাজারের দোকানিরা পোশাকের অতিরিক্ত দাম চাচ্ছেন। যার কারণে ইচ্ছা থাকলেও চাহিদামতো ঈদের কাপড় কিনতে পারছি না। রিকশাচালক কাদির মিয়া বলেন, দৈনন্দিন বাজার করেই কুল পাচ্ছি না। ঈদের বাজার করবো কখন। সারাদিন রিকশা চালিয়ে রোজগার করি ৪-৫শ’ টাকা। সন্ধ্যার সময় বাজার করলে আর কিছু থাকে না। গার্মেন্টস ব্যবসায়ী রফিক মিয়া বলেন, এ বছর ঢাকায় প্রতি পিস কাপড় ৩০০-৫০০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হয়েছে। ইচ্ছা থাকলেও আমরা ক্রেতাদের কাছে কম দামে বিক্রি করতে পারছি না।