বাংলারজমিন
গাজীপুরে বিআরটি প্রকল্পের গণশুনানিতে সাবেক মেয়রের ক্ষোভ
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর থেকে
২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবারনগরে ছন্দময় পথচলার অঙ্গীকার নিয়ে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে দেশের প্রথম বাস র্যাপিড ট্রানজিড (বিআরটি) প্রকল্প। এই প্রকল্পের অগ্রগতি ও সম্ভাবনা এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের চাহিদা বাস্তবায়ন নিয়ে গণশুনানিতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উপদেষ্টা ও সিটির সাবেক মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ উপস্থিত অনেকেই ভোগান্তিসহ নানা অব্যবস্থাপনা তুলে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ গণশুনানি ও পাখি বৈঠকে প্রেস ব্রিফিংয়ে যোগ দেন সড়ক ও সেতু বিভাগের অতিরিক্ত সচিব একেএম শামীম আক্তার। এতে গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, বিআরটি প্রকল্পের ব্যবস্থানা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, জিএমপি’র উপ- কমিশনার (ট্রাফিক) আলমগীর হোসেনসহ বিআরটি প্রকল্পের শীর্ষ কর্মকর্তা, নগর পরিকল্পনাবিদ, শিক্ষাবিদ ও স্থানীয় সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন। গণশুনানিতে অংশ নেয়া সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি সিটির উপদেষ্টা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম দীর্ঘমেয়াদের এই প্রকল্প নিয়ে নগরবাসী এবং মহাসড়ক হয়ে উত্তরবঙ্গ ও উত্তরাঞ্চলে চলাচলকারী মানুষের ভোগান্তিসহ প্রকল্পের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরেন। এ ছাড়া অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, সরু লেন, ফুটপাথ না থাকা, স্টেশন ব্যবহারের নানা ভোগান্তির শঙ্কা এবং প্রকল্পের ডিজাইনের বিভিন্ন ত্রুটির কথা উল্লেখ করেন। শুনানিতে অংশগ্রহণকারী অনেকেই দ্রুত এই প্রকল্প শেষ করে চালুর পাশাপাশি রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দ্রুত সময়ে চলাচলের স্বার্থে বিকল্প সড়ক নির্মাণের দাবি জানান। গণশুনানিতে আয়োজকরা জানিয়েছেন, যানজট নিরসনে গাজীপুরের শিববাড়ি থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার বিআরটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ডিসেম্বরে চালু হচ্ছে বিআরটি প্রকল্প। এতে ২৫টি স্টেশনের মাধ্যমে যাত্রীরা ৩০-৪০ মিনিটে বিমান বন্দরে যেতে পারবেন। বিআরটি লেনে কোনো সিগন্যাল বা ক্রসিং থাকবে না।
প্রসঙ্গত: ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত মহাসড়কের যানজট দূর করতে ২০১২ সালে হাতে নেয়া হয় বিআরটি প্রকল্প। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে আবদুল্লাহপুর থেকে টঙ্গীর চেরাগআলী পর্যন্ত ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার উড়াল সড়ক ও ৮টি ফ্লাইওভার নির্মাণ। সড়কের প্রধান করিডোরের সঙ্গে সংযোগের জন্য বিভিন্ন অংশে ১১৩টি সংযোগ সড়ক নির্মাণ, ২৫টি বিআরটি স্টেশন নির্মাণ, ঢাকা বিমানবন্দর ও গাজীপুরের শিববাড়ী এলাকায় দুটি বাস টার্মিনাল নির্মাণ। বাস স্টপেজে প্রবেশ ও বের হওয়া এবং পথচারী পারাপারের জন্য ৩০টি আন্ডারপাস নির্মাণ, সড়কের দুই পাশে উচ্চ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৪১ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ। ইতিমধ্যে প্রকল্পের ৯১ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে বিআরটি কর্তৃপক্ষ।