বাংলারজমিন
জমি কেনাই কাল হলো মেকানিক নাসিমের
স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে
২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবারজমি কেনাই কাল হলো মেকানিক নাসিমের। রাস্তা বন্ধ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে সস্তা দামে জমি কিনতে না পেরে প্রভাবশালী আনাম উদ্দিনের করা মিথ্যা মামলার আসামি খেটে খাওয়া মিস্ত্রি নাসিম দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। জমি নিয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে বিরোধের জেরে সন্ত্রাসী আখ্যা পেয়ে আদালতের কাঠ গোড়ায় প্রতিবেশী নাসিম। তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার পিতা-মাতা ভাইবোন কেউ নেই। ১৪-১৫ বছর বয়স থেকে একটি দোকানে চাকরি করে ফটোস্ট্যাট মেশিনের কাজ শেখেন। বিয়ে করে দুই সন্তানের জনক হয়ে ভাড়া বাসায় দিনাতিপাত করছিলেন। চলার পথে পরিচয় হয় ব্যবসায়ী আনিছুর রহমানের সঙ্গে। তাদের সখ্যতাও গড়ে ওঠে। আনিছুর তার পৈতৃক সূত্রে পাওয়া নগরীর ৩২নং ওয়ার্ডস্থ তালুক ধর্মদাস সরদার পাড়ার জে.এল নং ১৩৩, খতিয়ান দাগ: ৭৮৩৯’ এর ৭ শতক জমি বিক্রয় করেন নাছিমের কাছে। জমির পাশে যাতায়াতের রাস্তা দেখে নাসিম জমিটি ক্রয় করে খাজনা-খারিজ করেন।
এতে আনাম আরও ক্ষুব্ধ হয়ে নাসিমকে প্রধান আসামি ও আনিছুরকে ২নং আসামি করে তাজহাট থানা পুলিশের কাছে মিথ্যা অভিযোগ করে। তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় এসআই আব্দুল খালেক মণ্ডলকে। প্রভাবশালী আনামের মিথ্যা অভিযোগের বিষয়টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহাদাৎ হোসেন ও এসআই খালেককে কৌশলে ম্যানেজ করেছেন বলে অভিযোগ করেন নাসিম।
নাসিম বলেন, আমি ওই জমিটি আনামের কাছে বিক্রি করতেও চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমাকে বেকায়দা ফেলে রাস্তা নেই অজুহাতে নামমাত্র দাম দিতে চান। নাসিম পুলিশ প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে বলেন, মামলার আর্জিতে আমাকে সন্ত্রাসী চিহ্নিত করা হয়েছে। অথচ আমি অনাথ। ভাড়া বাসায় থাকি। আমার আপন বলতে কেউ নেই। শ্বশুরবাড়ি কুড়িগ্রামে। খেটে মজুরি পেয়ে সৎ পথে দুই ছেলেকে কলেজে ভর্তি করিয়েছি ও সংসার চালিয়ে আসছি। আমাকে বেকায়দা ফেলতে মামলা দেয়া হয়েছে। যদি মামলার সত্যতার প্রমাণ পাওয়া যায় তবে আমি যেকোনো বড় ধরনের শাস্তি নিজেই মাথা পেতে নেবো।