বিশ্বজমিন
আমরা জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক তদন্তকে ভয় পাই না- মিয়ানমার
মানবজমিন ডেস্ক
১০ অক্টোবর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ১২:২৪ অপরাহ্ন
মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তের পরিবর্তে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনে অধিক অর্থ ব্যয় করার জন্য জাতিসংঘের কাছে আহ্বান জানিয়েছে মিয়ানমার সরকার। বুধবার এমন আহ্বান জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের উপ স্থায়ী প্রতিনিধি হমওয়ে হমওয়ে খিনে। তিনি মিয়ানমারে আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন সহ সাতটি সংস্থার তদন্তকাজে ৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার খরচের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। হমওয়ে হমওয়ে খিনে বলেন, মিয়ানমারের সম্মতি ও সহযোগিতা ছাড়া কোনো তদন্তই বাস্তব ফল বয়ে আনবে না। এক্ষেত্রে তিনি বলেন, শুধু ২০২০ সালের জন্য এ খাতে প্রস্তাবিত বাজেট হলো এক কোটি ৫০ লাখ ডলার। এর মধ্যে শতকরা প্রায় ২৬ ভাগ জাতিসংঘ ব্যয় করবে আইনগত বিষয়ে। তার ভাষায়, আমরা জানি না এসব তদন্ত শেষ হতে আর কত বছর সময় লাগবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন মিয়ানমার টাইমস।
গত মাসে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন তার ডকুমেন্টগুলো হস্তান্তর করেছে মিয়ানমারের ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইনভেস্টিগেটিভ মেকানিজমের (আইআইএম) হাতে। আইআইএম রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের আরো তদন্ত অব্যাহত রাখবে। আইআইএম বলেছে, যারা অপরাধ করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা নিশ্চিত করতে কাজ করবে তারা। রাখাইনে গুরুত্বর অপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার জন্য উচ্চ মানের প্রমাণ প্রয়োজন। তারা তা অর্জনের জন্য সংগ্রাম করছে এবং তথ্য বিশ্লেষণ করবে।
হমওয়ে হমওয়ে খিনে বলেছেন, আমরা আন্তর্জাতিক ও জাতিসংঘের তদন্তকে ভয় করি না। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বহুবিধ অবিচার করা হচ্ছে এবং অনাকাঙ্ঘিত রাজনৈতিক চাপ দেয়া হচ্ছে ভিত্তিহীন অভিযোগে। এ অবস্থায় ওইসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করা ছাড়া আমাদের সামনে কোনো বিকল্প নেই।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২ শে আগস্ট রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনী নৃশংস অভিযান চালায়। এতে বাধ্য হয়ে কমপক্ষে ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। এর পরে ওই বছরের নভেম্বরে দুই দেশের মধ্যে একটি প্রত্যাবর্তন বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে এখনও প্রত্যাবর্তন শুরু হয় নি।
গত মাসে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন তার ডকুমেন্টগুলো হস্তান্তর করেছে মিয়ানমারের ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইনভেস্টিগেটিভ মেকানিজমের (আইআইএম) হাতে। আইআইএম রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের আরো তদন্ত অব্যাহত রাখবে। আইআইএম বলেছে, যারা অপরাধ করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা নিশ্চিত করতে কাজ করবে তারা। রাখাইনে গুরুত্বর অপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার জন্য উচ্চ মানের প্রমাণ প্রয়োজন। তারা তা অর্জনের জন্য সংগ্রাম করছে এবং তথ্য বিশ্লেষণ করবে।
হমওয়ে হমওয়ে খিনে বলেছেন, আমরা আন্তর্জাতিক ও জাতিসংঘের তদন্তকে ভয় করি না। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বহুবিধ অবিচার করা হচ্ছে এবং অনাকাঙ্ঘিত রাজনৈতিক চাপ দেয়া হচ্ছে ভিত্তিহীন অভিযোগে। এ অবস্থায় ওইসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করা ছাড়া আমাদের সামনে কোনো বিকল্প নেই।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২ শে আগস্ট রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনী নৃশংস অভিযান চালায়। এতে বাধ্য হয়ে কমপক্ষে ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। এর পরে ওই বছরের নভেম্বরে দুই দেশের মধ্যে একটি প্রত্যাবর্তন বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে এখনও প্রত্যাবর্তন শুরু হয় নি।