ঢাকা, ২১ মে ২০২৪, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

প্রথম পাতা

অটোরিকশার সিরিয়াল নিয়ে সংঘর্ষ

রণক্ষেত্র বানিয়াচং নিহত ৩

স্টাফ রিপোর্টার, হবিগঞ্জ ও বানিয়াচং প্রতিনিধি
১০ মে ২০২৪, শুক্রবার
mzamin

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সিএনজি স্ট্যান্ডে অটোরিকশার সিরিয়াল দেয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। নিহতরা হলেন- আগোয়া গ্রামের আব্দুল কাদির (২৫), সিরাজ মিয়া (৫০) ও লিলু মিয়া (৪০)। বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে ১৩নং মন্দরী ইউনিয়নের আগুয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। 

সূত্রমতে, আগুয়া এলাকার একটি সিএনজি স্ট্যান্ডে অটোরিকশার সিরিয়াল দেয়াকে কেন্দ্র করে সিএনজি অটোরিকশার ম্যানেজার বদির মিয়ার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় ড্রাইভার কাদির মিয়ার। পরে এ ঘটনার জের ধরে দুইপক্ষ তীর-বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হয়। এরমধ্যে গুরুতর আহত আগুয়া গ্রামের সিএনজি অটোরিকশার ড্রাইভার কাদির মিয়া, সিরাজ মিয়া এবং লিলু মিয়াকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে বানিয়াচং থানা পুলিশ, হবিগঞ্জ পুলিশ লাইনের রিজার্ভ পুলিশসহ বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।  সংঘর্ষের সময় দু’পক্ষের লোকজন বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

বিজ্ঞাপন
সংঘর্ষে আহতদের হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। 

আগুয়া গ্রামের বাসিন্দা মাহতাব মিয়া বলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও আগুয়া গ্রামের বাসিন্দা সোহেল মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের বদরুল আলমের (সিএনজি স্ট্যান্ডের তত্ত্বাবধায়ক) আধিপত্য বিস্তারসহ নানা বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। দুপুরে সোহেলের চাচাতো ভাই অটোরিকশাচালক কাদির মিয়ার সঙ্গে যাত্রীর সিরিয়াল দেয়া নিয়ে বদরুলের কথা কাটাকাটি হয়। গ্রামে ওই খবর পৌঁছালে দুই পক্ষের পুরোনো বিরোধ চাঙা হয় এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সোহেল মিয়া বলেন, নিহত তিনজনের মধ্যে কাদির ও সিরাজ তার চাচাতো ভাই। মারা যাওয়া লিলু মিয়া সম্পর্কে তার মামা হন। 
বানিয়াচং থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, আগুয়া বাজারে অটোরিকশার স্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ম্যানেজার বদির মিয়া ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সোহেল মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে আরও জানান, দাঙ্গার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশি অভিযান চলছে। গ্রেপ্তার এড়াতে গ্রামের পুরুষ লোকজন পালিয়ে গেছেন। 
 

পাঠকের মতামত

এসব বিষয়ে ধৈর্য ধারণ করা উচিত। সংঘর্ষে চলে যাওয়া জীবন আর ফিরে পাওয়া যাবে না। ওই পরিবারগুলো কি হবে। তাছাড়া সংঘর্ষে জড়িত আসামি গুলো এখন পালিয়ে বেড়াতে হবে অথবা গ্রেফতার হতে হবে।

Zulfikar Ali
১০ মে ২০২৪, শুক্রবার, ৯:৫৪ পূর্বাহ্ন

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

   

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status