ভারতে বাংলাদেশিসহ যৌনকর্মী গ্রেপ্তার

সম্প্রতি ভারতের গুরগাওয়ে যৌন ব্যবসায় জড়িত একটি চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। সেখান থেকে বাংলাদেশি নারীসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। স্থানীয় একটি হোটেলে গত মঙ্গলবার যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

পুলিশ বলেছে, স্থানীয় পুলিশ এবং সিএম ফ্লাইং স্কোয়াডের চৌকস একটি দল এই অভিযান পরিচালনা করে। এছাড়া হরিয়ানা রাজ্য সরকারের একটি স্বতন্ত্র দলও তাদের সঙ্গে ওই অভিযানে অংশ নেয়। মঙ্গলবার এক দালালের মাধ্যমে গুরগাওয়ের হোটেল রাও স্টেটে অভিযান পরিচালনা করে তারা। অপরাধীদের ধরতে গ্রাহক সেজে এক দালালের মাধ্যমে ওই হোটেলে প্রবেশ করে পুলিশ। প্রথমত চিহ্নিত এক দালালের সঙ্গে যোগাযোগ করে গ্রাহকের ছদ্মবেশে হোটেল কক্ষে পৌঁছায় পুলিশ সদস্যরা। পরে অপরাধীদের সেখান থেকে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে দুই বাংলাদেশি এবং উজবেকিস্তানের দুই নারী যৌনকর্মীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সিএম ফ্লাইং স্কোয়াডের ইন্সপেক্টর হরিশ বলেছেন, আটককৃত নারীরা যৌনবৃত্তির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
আটককৃতরা হলেন- হোটেলের ম্যানেজার সঞ্জীব যাদব, হোটেলবয় দিলবাগ, সঞ্জয়, রাম বাবু, সুহানি খান, মর্জিনা সুলতানা। এরা সকলেই ভারতীয় নাগরিক। বাংলাদেশি দুই যৌনকর্মীর নামও প্রকাশ করেছে পুলিশ। তারা হলেন- লতা ফারজানা খান এবং মোনা কুমারি। ইস্তরাবনু ও খাদিজাবনু দুজনেই উজবেকিস্তানের নাগরিক।

পুলিশ জানিয়েছে, এই যৌন অপরাধী চক্রের মূলহোতা দিলবাগ হরিয়ানা রাজ্যের মহেন্দ্রঘর এলাকার বাসিন্দা। দিলবাগ এই যৌন ব্যবসা করে প্রতিমাসে গড়ে এক থেকে দেড় লাখ রুপি আয় করেন তিনি। রাম বাবু হোটেল এলাকার একজন স্থানীয় বাসিন্দা। তিনি গ্রাহক হিসেবে এসেছিলেন। 

পুলিশ আরো জানায়, বাংলাদেশি নারীদের কোনো পাসপোর্ট বা ভিসা নেই। তাদেরকে অবৈধভাবে পাচার করে ভারতে  নেয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতের বিভিন্ন দণ্ডবিধি অনুযায়ী মামলা করেছে পুলিশ। মামলার এজহারে বলা হয়েছে, ভারতের ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগের একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি পতিতাবৃত্তির জন্য জনপ্রতি ১০ থেকে ১১ হাজার রুপির বিনিময়ে বিদেশ থেকে নারীদের ভারতে প্রবেশ করতে সাহায্য করে। তবে এখনও পর্যন্ত ওই অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।