ঢাকায় বৃটিশ প্রতিমন্ত্রীর সকল আলোচনায় গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও নাগরিক পরিসর

যুক্তরাজ্যের ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান বাংলাদেশে তার সব আলোচনাতেই গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং নাগরিক পরিসরের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশের নারী নেত্রী, মানবাধিকারকর্মী এবং যুব কর্মীরা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ওই দলে ছিলেন- সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিচালক ফারুখ ফয়সাল, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. ফাহমিদা খাতুন, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি ডানা এল ওল্ডস ও চাকমা রানি ইয়ান ইয়ান প্রমুখ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (আগের টুইটার) নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করে অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান লিখেছেন, "বাংলাদেশের নারী নেত্রী, মানবাধিকারকর্মী এবং যুব কর্মীরা আমার সঙ্গে লিঙ্গ সমতা এবং মৌলিক স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় নাগরিক পরিসর সম্পর্কে কথা বলেন।" বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক এবং বৃটিশ হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) ভেনেসা বিউমন্ট সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র জানায়, বুধবার (৮ই মে) বিকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৃটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং বৃটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাত করেছিলেন।

এ বিষয়ে বৃটিশ প্রতিমন্ত্রী এক্সে লিখেন, "সমৃদ্ধি এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধির জন্য গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি সমর্থন অত্যাবশ্যক। বিএনপির সঙ্গে কথা বলার সময় আমি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার গুরুত্বের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছি। বাংলাদেশে টেকসই রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এবং প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থনের কথা পুনর্নিশ্চিত করেছি।" বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এবং মানবাধিকার সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে একই দিন গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান। সেখানেও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

এ বিষয়ে তিনি এক্সে লিখেন, "বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফের দেখা করে ভালো লাগছে। আমাদের অভিবাসন সহযোগিতা জোরদার করার জন্য পারস্পরিক প্রচেষ্টা, আত্মবিশ্বাসী বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের গুরুত্ব এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য যুক্তরাজ্যের অনির্দিষ্টকালীন সমর্থন নিয়ে আলোচনা করেছি।"

একই দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকে অভিবাসন এবং রোহিঙ্গা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়েও ফলপ্রসূ আলোচনা হয় বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যের ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান মঙ্গলবার (৭ই মে) দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন। এর আগেও তিনি একাধিকবার ঢাকা সফর করেছেন।