অনলাইন
১৫ বছরে ভারতের মোট আমদানির তুলনায় চীন থেকে আমদানি ২.৩ গুণ বেশি
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ সপ্তাহ আগে) ৮ মে ২০২৪, বুধবার, ১২:৪৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:০২ পূর্বাহ্ন
চীন থেকে ভারতের আমদানির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়ছে। ২০১৮-১৯ সালে যা ছিল প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলার, ২০২৩-২৪ সালে তা ১০১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। অন্যদিকে, গত ১৫ বছরে চীন থেকে ভারতের শিল্প পণ্য আমদানিও ২১% থেকে বেড়ে ৩০% হয়েছে। সম্প্রতি গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (জিটিআরআই) এর একটি রিপোর্ট অনুসারে এ তথ্য দিয়ে ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য হিন্দু বলেছে: ধারণা করা হচ্ছে যে, চীন থেকে আমদানির পরিমাণ সামনের বছরগুলোতে দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়: গত ১৫ বছরে ভারতের মোট আমদানির তুলনায় চীন থেকে পণ্য আমদানি ২.৩ গুণ দ্রুত বেড়েছে। কেবল ইলেকট্রনিক্স খাতে চীন থেকে ভারতের আমদানির পরিমাণ বেশি- এই সাধারণ ধারণাকে অমূলক প্রমাণ করে দেখা গেছে- মেশিনারি, রাসায়নিক, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং টেক্সটাইল সহ আটটি প্রধান শিল্প খাতে চীন-ই ভারতের জন্য শীর্ষ সরবরাহকারী।
চীন থেকে ভারতের ক্রমবর্ধমান শিল্প খাতের আমদানি বিশ্লেষণ করে থিঙ্ক ট্যাঙ্কটিতল্র রিপোর্ট বলছে, "চীনের সাথে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ঘাটতি (ভারতের জন্য) উদ্বেগের কারণ।" ২০১৮-১৯ এবং ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে, চীনে ভারতের রপ্তানি বার্ষিক প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলারে স্থির হয়ে থাকলেও আমদানির পরিমাণ বেড়েছে, যার ফলে এই ছয় বছরে ক্রমবর্ধমানভাবে বাণিজ্য ঘাটতি ৩৮৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
সমীক্ষা অনুসারে, ভারত ২০০৫ সালে চীনে ১০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছিল এবং ২০০৩ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে দেশটি চীন থেকে আমদানির তুলনায় বেশি রপ্তানি করতো। কিন্তু, ২০০৫ সালের পর চীনা পণ্য বাণিজ্য প্রবাহে আধিপত্য বিস্তার করে, যা ক্রমাগতভাবে ভারতের জন্য বাণিজ্য ঘাটতিকে বৃদ্ধি করে।
ওই সমীক্ষায় ভারতের আমদানি কৌশলগুলো পুনর্মূল্যায়ন করা হয়েছে জানিয়ে বলা হয়ঃ এই নির্ভরতার কৌশলগত প্রভাব 'গভীর' এবং তা শুধু অর্থনৈতিক নয়, জাতীয় নিরাপত্তার মাত্রাগুলোকেও প্রভাবিত করে।
মোদী সরকার অনেক চেষ্টা করেছিলো চিন থেকে যাতে কোন কিছু আমদানি না করে চলা যায় কিন্ত সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।