অনলাইন
উপজেলা নির্বাচন
নরসিংদীতে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ
মাধবদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি
(১ সপ্তাহ আগে) ৭ মে ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:৩১ পূর্বাহ্ন
নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাধবদীর আমদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ ইবনে রহিছ মিঠুর নেতৃত্বে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের নির্বাচনী প্রচারণার মাইক, কেন্দ্র ভাঙচুর ও কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার রাতে কান্দাইল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর হওয়া ক্যাম্পের ভিতর মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। একই উপজেলার চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. বাকিরের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার সমর্থকরা এই হামলা করেন বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। ঘটনার ভুক্তভোগী, কাউছার মিয়া (৩২) নামে একজন জানান, আমদিয়া ইউনিয়নের কান্দাইল এলাকায় কাপ-পিরিচ মার্কার ভোট চেয়ে মাইকিং করার সময় মিঠু চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তার লোকজন তাকে ব্যাপক মারধর ও তার ব্যাটারি চালিত অটো (ইজি বাইক) রিকশাটি ভাঙচুর করে উল্টিয়ে গর্তে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করে।
এছাড়াও এসময় তারা আশপাশের কাপ-পিরিচের ক্যাম্পগুলোতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। কাপ-পিরিচ প্রতীকের স্থানীয় কর্মী সমর্থকরা জানান, আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একটি পক্ষ নিয়ে বিভিন্নভাবে তার সন্ত্রাস বাহিনী দিয়ে এলাকার সাধারণ ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। এরই ফলশ্রুতিতে তারা সোমবার রাতে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। তার এই দৌরাত্ম্য প্রতিরোধ করা না গেলে নির্বাচনের স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত হবে বলে তারা জানান। এই ঘটনায় কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থী নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় ভেবে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছেন। তিনি আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আমার কাপ-পিরিচ এর কর্মী সমর্থকদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মারধর করিয়েছেন এবং তার দলবল দিয়ে আমার একাধিক ক্যাম্প ভাঙচুর করিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমাদের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে তারা প্রতিনিয়ত বাঁধা সৃষ্টি করে সাধারণ ভোটারদের মাঝে ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন, যা চলতে দেয়া যায় না।
এছাড়া নির্বাচনের স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখতে তারা সচেষ্ট রয়েছেন বলেও জানান। নরসিংদী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল আলম জানান তিনি কোনো খবর পাননি। এ ঘটনায় আনারস প্রতীকের প্রার্থী ও সমর্থকদের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, আগামীকাল বুধবার নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।