বাংলারজমিন
ট্রেন সুবিধায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল দক্ষিণবঙ্গ: রেলমন্ত্রী
শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
৫ মে ২০২৪, রবিবাররাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ করতে এই পথে দুটি কমিউটার ট্রেন চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আজ সকাল থেকে যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হবে রাজবাড়ী-ভাঙ্গা-ঢাকা রুটে। গতকাল মাদারীপুরের শিবচরে এক অনুষ্ঠানে ট্রেন দুটি উদ্বোধন ঘোষণা করেন রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী, রেল মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী।
জিল্লুল হাকিম বলেন, ‘ভবিষ্যতে এই পথে আরেকটি ট্রেন আমরা চালু করবো। পরের ট্রেনটি নতুন বগি দিয়ে শুরু করবো। আবার আগামী দুই মাসের মধ্যে ভাঙ্গা থেকে খুলনা, যশোর হয়ে বেনাপোল পর্যন্ত আরেকটি ট্রেন চালু হবে। ওই ট্রেন প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন।’ রেলমন্ত্রী জানান, ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর পর্যন্ত একটি রেললাইন বানানো হবে। সেটি ৮টি জেলাকে যুক্ত করবে। কিন্তু এই অঞ্চলের মাটি ভালো না।
জিল্লুল হাকিম বলেন, ‘আমরা চিন্তা করছি, রেলে বর্তমানে দুইটা জোন আছে। আরও দুইটা জোন তৈরি করা হবে। এর একটা হবে ভাঙ্গা-ফরিদপুর। এটির জোনাল অফিস হবে ভাঙ্গায়। এতে করে ভাঙ্গায় রেলের সেবা আরও বাড়বে। এদিকে যে ট্রেনটি চলাচল করবে সেটি পুরাতন বগি ও ইঞ্জিন দিয়ে চলবে। ঢাকা থেকে রাজবাড়ী যাতায়াতে সময় লাগবে প্রায় দুই ঘণ্টা। শনিবার সকাল থেকেই শিবচর স্টেশনে ভিড় করেন স্থানীয়রা। উদ্বোধনী ট্রেনকেও সাজানো হয় নান্দনিক রূপে। নদীভাঙন অঞ্চলের মানুষ ট্রেন পেয়ে উচ্ছ্বসিত। স্থানীয়রা জানায়, শুধু যাতায়াত নয়, এ অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্য ও কৃষিতেও ভূমিকা রাখবে। ট্রেন যোগাযোগের মাধ্যমে নতুন নতুন শিল্পও গড়ে উঠবে এসব এলাকায়। ট্রেন উদ্বোধন উপলক্ষে শিবচর রেলস্টেশন চত্বরে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে যোগ দেন রেলের মহাপরিচালক, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরীসহ রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী জানান, অল্প দিনের মধ্যে ভাঙ্গা থেকে বরিশাল পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের কাজ শুরু হবে। পরে অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে ফিতা কেটে ট্রেনের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী। দুপুর ১২টার পর শিবচর রেলস্টেশন থেকে ঢাকা অভিমুখে যাত্রা শুরু করে ভাঙ্গা কমিউটার।
জানা যায়, ভাঙ্গা-ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে এক জোড়া এবং অপারেশনাল সুবিধার্থে একই রেক দ্বারা রাজবাড়ী-ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে এক জোড়া কমিউটার ট্রেন পরিচালনা করা হবে। এর মধ্যে ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ১২১ ও ১২৪ নম্বর ট্রেনটির নাম প্রস্তাব করা হয়েছে ভাঙ্গা এক্সপ্রেস। আর ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে ১২২ ও ১২৩ নম্বর ট্রেনের নাম নির্ধারণ করা হয়েছে চন্দনা এক্সপ্রেস। ট্রেনটিতে ২৪টি প্রথম, ৪৪টি শোভন চেয়ার এবং ৪২৪টি শোভন শ্রেণির আসন ব্যবস্থা থাকবে। উভয় পথে ভাঙ্গা জংশন, শিবচর, পদ্মা ও মাওয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতি থাকবে। সাপ্তাহিক বন্ধ শুক্রবার।