শেষের পাতা
মাস্ক কেলেঙ্কারি
জেএমআই চেয়ারম্যান রিমান্ডে
স্টাফ রিপোর্টার
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, বুধবার, ৯:২২ পূর্বাহ্ন
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে নকল এন৯৫ মাস্ক সরবরাহের মামলায় জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. নূরুল হুদা আসামিকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর, মীর আহাম্মদ আলী সালাম রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামি পক্ষের এক আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন শুনানি করতে চান। ওকালতনামায় সাক্ষ্য না থাকায় আদালত তাকে শুনানি করতে দেননি। এর আগে গতকাল দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ কেন্দ্রীয় ঔষুধাগারের (সিএমএসডি) ছয় কর্মকর্তা ও আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন নূরুল হুদা। মামলায় সিএমএসডির যে ৬ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে তারা হলেন-উপ-পরিচালক ডা. জাকির হোসেন, সহকারী পরিচালক (স্টোরেজ অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন) ডা. শাহজাহান সরকার, চিফ কো-অর্ডিনেটর ও ডেস্ক অফিসার জিয়াউল হক, ডেস্ক অফিসার (বর্তমানে মেডিকেল অফিসার, জামালপুর) সাব্বির আহমেদ, স্টোর অফিসার (পিআরএল ভোগরত) কবির আহমেদ এবং সিনিয়র স্টোর কিপার ইউসুফ ফকির। মামলা দায়েরের পরপরই জেএমআই গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে গ্রেপ্তার করে দুদকের পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বাধীন একটি দল। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, চিকিৎসক-নার্স এবং অন্যদের করোনা থেকে রক্ষার জন?্য এন৯৫ মাস্ক সরবরাহের জন্য জেএমআই গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করেছিল সরকার। জেএমআই গ্রুপ ২০ হাজার ৬১০টি মাস্ক সরবরাহ করে। পরে দেখা যায়, ওই মাস্কগুলো এন৯৫ মাস্ক নয়। সেগুলো ১০টি প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হয়েছিল। মাস্ক কেলেঙ্কারিতে আরো একাধিক মামলা হতে পারে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে। নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনা, সেসব সরঞ্জাম বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ঔষুধাগারের (সিএমএসডি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গত ১০ই জুন অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।