খেলা
জোন্সকে বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন ব্রেট লি
স্পোর্টস ডেস্ক
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, শুক্রবার, ১২:৩০ অপরাহ্ন
মুম্বইয়ে ট্রাইডেন্ট হোটেলে ডিন জোন্স হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর তার পাশে ছিলেন ব্রেট লি। চেষ্টা করেছিলেন তাকে সারিয়ে তোলার। কিন্তু জোন্সকে বাঁচাতে পারেননি। আর হৃদয়বিদারক ঘটনার পর সংবাদমাধ্যমকে ব্রেট লি বলেন, ‘বাস্তবিকভাবেই দিনটা ছিল সবার জন্য ভীষণ কঠিন। সে একজন প্রশ্নাতীত কিংবদন্তি।’
আইপিএলে ম্যাচ শুরুর আগে ‘সিলেক্ট ডাগ আউট’ শো তে বিশ্লেষকের ভূমিকায় জোন্সের সঙ্গে ছিলেন অজি সাবেক ফাস্ট বোলার ব্রেট লি ও নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার স্কট স্টাইরিস। আইপিএল ধারাভাষ্যের কাজে মুম্বাইয়ে ছিলেন তারা। হোটেল লবিতে জোন্স হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার সময় তার সঙ্গেই ছিলেন লি। তখন জোন্সকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেন তিনি। সাহায্য চেয়েছিলেন বাকিদের, ডেকেছিলেন অ্যাম্বুলেন্সও। পরে শোক কাটিয়ে নিজের কাজটা টিভিতে করেন লি পাশে জোন্সের চেয়ার খালি রেখে।
সংবাদমাধ্যমকে লি বলেন, ‘সে একজন প্রশ্নাতীত কিংবদন্তি। আজকের ডাগ আউট শো-টা জোন্সের জন্যই। আমি নিশ্চিত সে চাইতো, আমরা যে খেলাটিকে ভালোবাসি তার স্বার্থেই অনুষ্ঠান চালিয়ে যাই। তার পরিবার এবং বন্ধু বর্গের প্রতি সমবেদনা রইল। বাস্তবিকভাবেই আজকের দিনটা ছিল সবার জন্য ভীষণ কঠিন।’ জোন্সকে বাঁচাতে সিপিআর পরীক্ষার সময়ও পাশে ছিলেন লি। অ্যাম্বুলেন্সে করে পাশের হাসপাতালে তাকে নেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি।
স্কট স্টাইরিস জোন্সের কথা বলতে গিয়ে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি। ভেঙে পড়েন নিউজিল্যান্ডের সাবেক এ অলরাউন্ডার। বলেন, ‘কে ভেবেছিল...আজ (কাল) সকালে ঘুম ভাঙার পর ডিনোর সঙ্গে নাশতা করেছি। এরপর একটু দৌড়েছে। এভাবে সে নিজেকে ফিট রাখতো। হ্যাঁ, মুম্বইয়ে আমরা জৈব সুরক্ষিত পরিবেশের মধ্যেই রয়েছি। কে ভেবেছিল কয়েক ঘণ্টা পরই তার হার্ট অ্যাটাক কিংবা হৃদযন্ত্রে সমস্যা দেখা দেবে...।’
আইপিএলের ধারাভাষ্যে আছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ওপেনার মাইকেল স্লাটার। চ্যানেল সেভেনকে তিনি বলেন, ‘ব্রেট লি কেভিন পিটারসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। ব্রেট তার পাশেই ছিল এবং কিছু বন্ধুর সাহায্য চাচ্ছিল। অ্যাম্বুলেন্স আসার আগে আধ ঘণ্টা ধরে সে তাকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করেছে। বলতে বাধ্য হচ্ছি, খেলা সম্প্রচার করা কখনো এত কঠিন মনে হয়নি।’
অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা তারকা জোন্স ১৯৮৪ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত মাঠ মাতান। ৫২ টেস্টে ৩,৬৩১ রান আর ১৬৪টি ওয়ানডেতে তার সংগ্রহ ৬০৬৮ রান। টেস্টে ৪৬.৫৫ গড়ে রয়েছে ১১টি শতক। ওয়ানডেতেও তার ৭টি সেঞ্চুরি আর ৪৬টি ফিফটি। ২০১৯ সালে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের ‘হল অব ফেমে’ স্থান পান জোন্স। ক্রিকেট ছাড়ার পর কোচিং ও ধারাভাষ্যের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন।
আইপিএলে ম্যাচ শুরুর আগে ‘সিলেক্ট ডাগ আউট’ শো তে বিশ্লেষকের ভূমিকায় জোন্সের সঙ্গে ছিলেন অজি সাবেক ফাস্ট বোলার ব্রেট লি ও নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার স্কট স্টাইরিস। আইপিএল ধারাভাষ্যের কাজে মুম্বাইয়ে ছিলেন তারা। হোটেল লবিতে জোন্স হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার সময় তার সঙ্গেই ছিলেন লি। তখন জোন্সকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেন তিনি। সাহায্য চেয়েছিলেন বাকিদের, ডেকেছিলেন অ্যাম্বুলেন্সও। পরে শোক কাটিয়ে নিজের কাজটা টিভিতে করেন লি পাশে জোন্সের চেয়ার খালি রেখে।
সংবাদমাধ্যমকে লি বলেন, ‘সে একজন প্রশ্নাতীত কিংবদন্তি। আজকের ডাগ আউট শো-টা জোন্সের জন্যই। আমি নিশ্চিত সে চাইতো, আমরা যে খেলাটিকে ভালোবাসি তার স্বার্থেই অনুষ্ঠান চালিয়ে যাই। তার পরিবার এবং বন্ধু বর্গের প্রতি সমবেদনা রইল। বাস্তবিকভাবেই আজকের দিনটা ছিল সবার জন্য ভীষণ কঠিন।’ জোন্সকে বাঁচাতে সিপিআর পরীক্ষার সময়ও পাশে ছিলেন লি। অ্যাম্বুলেন্সে করে পাশের হাসপাতালে তাকে নেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি।
স্কট স্টাইরিস জোন্সের কথা বলতে গিয়ে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি। ভেঙে পড়েন নিউজিল্যান্ডের সাবেক এ অলরাউন্ডার। বলেন, ‘কে ভেবেছিল...আজ (কাল) সকালে ঘুম ভাঙার পর ডিনোর সঙ্গে নাশতা করেছি। এরপর একটু দৌড়েছে। এভাবে সে নিজেকে ফিট রাখতো। হ্যাঁ, মুম্বইয়ে আমরা জৈব সুরক্ষিত পরিবেশের মধ্যেই রয়েছি। কে ভেবেছিল কয়েক ঘণ্টা পরই তার হার্ট অ্যাটাক কিংবা হৃদযন্ত্রে সমস্যা দেখা দেবে...।’
আইপিএলের ধারাভাষ্যে আছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ওপেনার মাইকেল স্লাটার। চ্যানেল সেভেনকে তিনি বলেন, ‘ব্রেট লি কেভিন পিটারসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। ব্রেট তার পাশেই ছিল এবং কিছু বন্ধুর সাহায্য চাচ্ছিল। অ্যাম্বুলেন্স আসার আগে আধ ঘণ্টা ধরে সে তাকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করেছে। বলতে বাধ্য হচ্ছি, খেলা সম্প্রচার করা কখনো এত কঠিন মনে হয়নি।’
অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা তারকা জোন্স ১৯৮৪ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত মাঠ মাতান। ৫২ টেস্টে ৩,৬৩১ রান আর ১৬৪টি ওয়ানডেতে তার সংগ্রহ ৬০৬৮ রান। টেস্টে ৪৬.৫৫ গড়ে রয়েছে ১১টি শতক। ওয়ানডেতেও তার ৭টি সেঞ্চুরি আর ৪৬টি ফিফটি। ২০১৯ সালে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের ‘হল অব ফেমে’ স্থান পান জোন্স। ক্রিকেট ছাড়ার পর কোচিং ও ধারাভাষ্যের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন।