এক্সক্লুসিভ

৪ঠা অক্টোবর থেকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু

স্টাফ রিপোর্টার

২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, শুক্রবার, ৮:৩১ পূর্বাহ্ন

আগামী ৪ থেকে ১৭ই অক্টোবর পর্যন্ত দুই সপ্তাহব্যাপী ধাপে ধাপে সারা দেশে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হবে। ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দেশজুড়ে এই ক্যাম্পেইন চলবে। আর ক্যাম্পেইন শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত আরো চারদিন দুর্গম এলাকায় চলবে এই ক্যাম্পেইন। অন্যান্য বছর এই ক্যাম্পেইন জুন মাসে হলেও চলতি বছরে করোনা মহামারির কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। ২৩শে সেপ্টেম্বর জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানের লাইন ডিরেক্টর ডা. এসএম মোস্তাফিজুর রহমান এই তথ্য জানান। তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় একেক দিন একেক কেন্দ্রে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তিন দিন আগে স্থানীয় প্রশাসন এই সূচি ঘোষণা করবে। লাইন ডিরেক্টর জানান, ৪ঠা অক্টোবর থেকে ক্যাম্পেইন শুরু হবে। শহর ও গ্রামে এক লাখ ২০ হাজার ইপিআই কেন্দ্রে আগামী ১৭ই অক্টোবর পর্যন্ত ধাপে ধাপে তা চলবে। ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তবে এ বছর অন্যান্য বছরের মতো কোনো ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র থাকছে না। প্রতি সপ্তাহে যে সব কেন্দ্রে ইপিআর টিকার কার্যক্রম থাকবে, সেসব কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন বন্ধ থাকবে। সেই হিসেবে প্রতি সপ্তাহে চার দিন করে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন চলবে। তিনি বলেন, এ বছর ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ২ লাখ ৯৩ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ক্যাম্পেইন পরিচালনা করবেন। এবার কোনো ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র থাকছে না। এর বাইরেও ক্যাম্পেইন শেষ হওার পর দুর্গম এলাকা (হার্ড টু রিচ) এলাকাগুলোতে আরো চার দিন এ ক্যাম্পেইন চলবে। ডা. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, চলতি বছর করোনা মহামারির কারণে গত জুনে এই ক্যাম্পেইন স্থগিত করা হয়। একইসঙ্গে সব শিশুকে এই ক্যাম্পেইনের আওতায় সম্ভব হবে কিনা সে বিষয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, যেহেতু আট দিনের ক্যাম্পেইন, আমরা আশা করছি ৯০ শতাংশ শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো সম্ভব হবে। তিনি জানান, ক্যাম্পেইন চলাকালে করোনার সাবধানতা হিসেবে মাঠপর্যায়ে কাজ করা স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীদের সার্জিক্যাল মাস্ক সরবরাহ করা হবে। ৬ থেকে ১২ মাস বয়সী আনুমানিক ২০ লাখ ৪০ হাজার শিশুকে নীল রঙের ক্যাপসুল, এক থেকে ৫ বছর বয়সী প্রায় এক কোটি ৯৩ লাখ শিশুকে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৬ মাসের কম এবং ৫ বছরের বেশি বয়সী এবং কোনো শিশু অসুস্থ থাকলে তাকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে না। ক্যাম্পেইন চলাকালে কোনো শিশু বাদ পড়লে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াবে। ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সের সকল শিশু কোভিড-১৯ পজেটিভ বা নেগেটিভ হোক না কেন, তবুও তাকে ভিটামিন-এ খাওয়াতে হবে। শুধুমাত্র শিশুর যদি শ্বাসনালীর অসুস্থতা বা শ্বাসকষ্ট অথবা অন্য কোনো মারাত্মক অসুস্থতা থাকে, তবে শিশুকে ভিটামিন-এ খাওয়ানো যাবে না। নীল ক্যাপসুলটি জার্মানি থেকে বিনামূল্যে এবং লাল ক্যাপসুুল দেশের রেনেটা এবং গ্লোব কোম্পানি থেকে কেনা হয়েছে। জানা যায়, ভিটামিন ‘এ’ শুধুমাত্র অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুদের রক্ষা করে তাই নয়, ভিটামিন ‘এ’ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা কমায় এবং শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। বাংলাদেশে ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবজনিত সমস্যা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় পুষ্টি সেবা, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান প্রতি বছরই জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন করে থাকে।
ক্যাম্পেইনের আগের দিন ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় মাইকিং করা হবে।
এ ছাড়াও তার আগের শুক্রবার জুমার নামাজের সময়ে ভিটামিন এ ক্যাপসুলের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অবহিত করে কাছের টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা হবে। একইসঙ্গে অন্যান্য উপাসনালয় থেকেও একই কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কেন্দ্রগুলোতে অবশ্যই প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। কোনোভাবেই অভিভাবকদের কাছে এ ক্যাপসুল দেয়া হবে না।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status