প্রথম পাতা

শনাক্ত ৩,৫০,০০০ ছাড়ালো, মৃত্যু ৫০০০ ছুঁই ছুঁই

দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে শঙ্কা যে কারণে

ফরিদ উদ্দিন আহমেদ

২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার, ১০:১৮ পূর্বাহ্ন

করোনার দ্বিতীয় দফার সংক্রমণের আশঙ্কা করেছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। তাই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রোধে এখনই প্রস্তুতি গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আসন্ন শীতকালে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে উল্লেখ করে এই মুহূর্ত থেকেই তা মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। আজ মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে করোনা বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে করোনার বর্তমান অবস্থা, সেকেন্ড ওয়েভ, বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতিসহ যাবতীয় বিষয়ে আলোচনা হবে জানা গেছে।

এদিকে, দেশে করোনার আক্রান্তের সংখ্যা থামছে না। মৃত্যুর মিছিলও দীর্ঘ হচ্ছে। করোনায় গত একদিনে আরো প্রাণ গেল ৪০ জনের। সংক্রমণ শুরুর ১৯৮ দিনের মাথায় করোনা শনাক্ত সাড়ে ৩ লাখ ছাড়ালো। গত ২০শে সেপ্টেম্বর কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ২০তম অনলাইন সভা কমিটির চেয়ারপারসন অধ্যাপক ডা.  মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভা থেকে পরামর্শক কমিটি সুপারিশ করে বলেছে, বিভিন্ন দেশে দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণও দেখা যাচ্ছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে সংক্রমণের মাত্রা অনেক বেশি। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ উন্মুক্ত হচ্ছে এবং হতে থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়েও জনসাধারণ এর মধ্যে এক ধরনের শৈথিল্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই সবগুলোর কারণে আমাদের দেশেও পুনরায় সংক্রমণের আশংকা রয়েছে। দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ প্রতিরোধের পাশাপাশি সংক্রমণ হলে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে রাখার পরামর্শ দেয়া হয়। দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ দ্রুত নির্ণয় এর লক্ষ্যে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে এখনই করণীয় বিষয়ে রোডম্যাপ প্রস্তুত করে সেই মোতাবেক পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করার পরামর্শ দেয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে রোডম্যাপ প্রস্তুতিতে জাতীয় পরামর্শক কমিটির সহযোগিতা কামনা করা হয়। জাতীয় পরামর্শক কমিটিও তার সাব-কমিটিগুলোর মাধ্যমে এই রোডম্যাপ প্রস্তুতিতে সহযোগিতা করার ব্যাপারে আশ্বাস দেয়।

সভায় জাতীয় পরামর্শক কমিটির সদস্যগণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলমের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বিস্তারিত আলোচনার শেষে বেশ কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় পরামর্শক কমিটি। কমিটি মতামতে বলেছে, কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে চ্যালেঞ্জ থাকলেও বর্তমানে পরীক্ষার সক্ষমতা বৃদ্ধি, হাসপাতালের সেবার পরিধি ও মান উন্নয়ন করা হয়েছে। সরকারের ও বিভিন্ন সংস্থার পদক্ষেপের কারণেই কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে বলে তারা মনে করে। যেসব দিকে এখনো উন্নয়ন প্রয়োজন সেসব দিকের ঘাটতিও চিহ্নিত হয়েছে, এখন ঘাটতি পূরণ করে পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে হবে বলে কমিটি সুপারিশ করেছে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আমাদের দেশে সংক্রমণের হার নিম্নমুখী, যদিও এই হার স্বস্তিকর মাত্রায় এখনো পৌঁছেনি। সমপ্রতি কিছু কিছু হাসপাতালের শয্যা খালি থাকছে আবার অন্যদিকে অন্যান্য রোগের রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোনো কোনো হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা একেবারেই কম, অন্যদিকে সেইসব হাসপাতালে অনেক সংখ্যায় চিকিৎসকসহ অনেক স্বাস্থ্যকর্মীরা যুক্ত রয়েছে, হাসপাতাল পরিচালনায় অনেক অর্থ ব্যয় হচ্ছে। অন্যান্য রোগের রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে এবং সাশ্রয় করতে  কোভিড-১৯ হাসপাতালের অব্যবহৃত শয্যা সংখ্যা সংকোচনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জাতীয় পরামর্শক কমিটি মনে করে এখনো  আইসোলেশন কেন্দ্রের প্রয়োজন রয়েছে। তাই সংকোচন করা হলেও পুরোপুরি বন্ধ না করে ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে যাতে পুনরায় ব্যবহার করা যায় সেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখার পরামর্শ দেয়া হয়।

কোভিড-১৯ চিকিৎসায় এক্স-রে ও রক্তের কিছু পরীক্ষার ভূমিকা রয়েছে। শহরের হাসপাতালগুলোতে এই ব্যবস্থা থাকলেও জেলা  পর্যায়ের হাসপাতালে তা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে পরামর্শক কমিটি সুপারিশ করেছে। দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ দ্রুত নির্ণয় এর লক্ষ্যে বর্ধিত হারে টেস্ট করা প্রয়োজন। পরামর্শক কমিটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ল্যাবরেটরি কমিটির সঙ্গে  যৌথভাবে কোভিড-১৯ টেস্টের নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করেছে। কোভিড-১৯ এর নমুনা পরীক্ষার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করতে সংক্রমিত ব্যক্তিকে দ্রুত চিহ্নিত করে আইসোলেট করতে হবে। সভায় কোভিড ভ্যাকসিন বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে অলোচনা করা হয় এবং সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে জাতীয় পরামর্শক কমিটির দেয়া পরামর্শ বাস্তবায়ন করার জন্য সুপারিশ করা হয়। কোভিড ভ্যাকসিন এর টেকনোলজি নিয়ে এই দেশেই উৎপাদন করার সরকারের পরিকল্পনার প্রশংসা করা হয়। যদিও টিকা উৎপাদনে সারা বিশ্ব সক্রিয় তারপরও কার্যকর টিকার প্রাপ্যতা সময়সাপেক্ষ এবং সময়সীমা এখনো অনিশ্চিত। যেহেতু লক ডাউন জীবিকার স্বার্থে সম্ভবপর নয় তাই এই মুহূর্তে সঠিকভাবে মাস্ক পরা, সাবান দিয়ে বারবার হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় চলাসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই কোভিড-১৯ প্রতিরোধের একমাত্র উপায়। এ ব্যাপারে জনসাধারণকে আরো সচেতন ও সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার করা প্রয়োজন। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে সমাজে যারা অনুকরণীয় তারাই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না অথবা ভুলভাবে পালন করছেন। এতে করে সমাজের কাছে ভুল তথ্য যাচ্ছে। জনসাধারণ সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সঠিক তথ্য দিয়ে জনসাধারণকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে যে মাস্ক বিষয়ক ক্যাম্পেইন করার পরিকল্পনা করছে তা দ্রুত বাস্তবায়ন এর পরামর্শ দেয়া হয়। প্রচারণায় বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিত্ব উপস্থাপন প্রয়োজন বলে মত দেয়া হয়। কোভিড-১৯ মহামারির পরিস্থিতিতে অল্প পরিসরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসন্ন দুর্গাপূজা উদ্‌যাপন করার পরামর্শ দেয়া হয়।

শীতে করোনা পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে: গত ২০শে সেপ্টেম্বর ৩৪টি বাণিজ্যিক ব্যাংকসহ বিভিন্ন সংগঠনের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ ফান্ডে অনুদান গ্রহণকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসন্ন শীতকালে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে উল্লেখ করে এই মুহূর্ত থেকেই তা মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শীতকাল আসন্ন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে করোনা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটতে পারে। আমাদেরকে এই মুহূর্ত থেকেই তা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই অনুদান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
দেশে শিগগিরই করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হচ্ছে: গতকাল সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক সভা শেষে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, চীনের প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাক বায়োটেকের করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল বাংলাদেশে শিগগিরই শুরু হবে। আজ-কালের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে তারা ট্রায়াল শুরুর দিনক্ষণ জানাবে। এক প্রশ্নের জবাবে সচিব জানান, করোনার ভ্যাকসিন সংক্রান্ত সর্বশেষ সংবাদটির ওপরও আমাদের চোখ আছে। আমরা সব খবর রাখছি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৯টি কোম্পানি এই ভ্যাকসিন আবিষ্কার নিয়ে কাজ করছে। এর মধ্যে ৫টি কোম্পানির সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। ভ্যাকসিন যদি আবিষ্কার হয়ে যায়, তাহলে আমরা যাতে দ্রুত আনতে পারি সেজন্য তাৎক্ষণিকভাবে কেনার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। তিনি বলেন, সিনোভ্যাককে আমরা ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছি। তারা অবিলম্বে কাজ শুরু করবে। আইসিডিডিআর,বি’র সঙ্গে মিলে কাজ করবে তারা। আইসিডিডিআর,বি’র সঙ্গে ট্রায়াল সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে তারা কথা বলেছে। সোমবার অথবা মঙ্গলবারের মধ্যে মন্ত্রণালয়কে লিখিত চিঠি দেবে সিনোভ্যাক। সেই চিঠিতে ট্রায়ালের সময় জানা যাবে। চিঠিতে ট্রায়াল সংক্রান্ত সব তথ্যের উল্লেখ থাকবে। সচিব আরো জানান, মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে করোনা বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আছে। সেখানে করোনার বর্তমান অবস্থা, সেকেন্ড ওয়েভ, বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতিসহ যাবতীয় বিষয়ে আলোচনা হবে। আমরা করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের সবকিছুই পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে। সব ধরনের প্রস্তুতি আছে।

দেশে করোনার আক্রান্তের সংখ্যা থামছে না। মৃত্যুর মিছিলও দীর্ঘ হচ্ছে। করোনায় গত একদিনে আরো প্রাণ গেল ৪০ জনের। সংক্রমণ শুরুর ১৯৮ দিনের মাথায় করোনা শনাক্ত সাড়ে ৩ লাখ ছাড়ালো। সংক্রমণ শুরুর ১৭২ দিনের (২৬শে আগস্ট) মাথায় এই সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ২ হাজার ১৪৭ জন। সাড়ে ৩ লাখ হতে সময় লেগেছে ২৬ দিন। শনাক্তের ১৫৩ দিনের মাথায় ছিল এই সংখ্যা ২ লাখ ৫২ হাজার ৫০২ জন। ৩ লাখ হতে সময় লেগেছে ১৯ দিন। ১৩৩ দিনের মাথায় (১৮ই জুলাই) শনাক্তের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ২ হাজার ৬৬ জন। এ সংখ্যা থেকে আড়াই লাখে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল ২০ দিন। দেড় লাখ থেকে ২ লাখ হতে সময় লেগেছে ১৬ দিন। ১১৭ দিনের মাথায় শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৫৩ হাজার ২৭৭ জন। শনাক্ত ১ লাখ থেকে দেড় লাখ হতে সময় লেগেছিল ১৪ দিন। ১০৩ দিনের মাথায় দেশে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২ হাজার ২৯২ জন। প্রকোপ শুরুর পর প্রথম ৫০ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছিল ৮৭ দিনের মাথায়। এরপর তা ১ লাখে পৌঁছাতে সময় লেগেছে মাত্র ১৬ দিন। গত ৮ই মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। আর প্রথম মারা যায় ১৮ই মার্চ।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনা বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭০৫ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৫০ হাজার ৬২১ জন শনাক্ত হলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৪০ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৪ হাজার ৯৭৯ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ১৫২ জন এবং এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৫৮ হাজার ৭১৭ জন। এতে আরো জানানো হয়, ৯৯টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৯৬৭টি এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৫৩টি। এখন পর্যন্ত ১৮ লাখ ৩৪ হাজার ৩২৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত ১৯ দশমিক ১১ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪১ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ২৭ জন পুরুষ এবং ১৩ জন নারী। এখন পর্যন্ত পুরুষ ৩ হাজার ৮৭৩ জন এবং নারী  মারা গেছেন ১ হাজার ১০৬ জন।

একদিনে মারা যাওয়াদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের উপরে ২০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ২ জন এবং শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন। বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৬, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯, রংপুর বিভাগে ২ এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে ১ জন করে রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৭ জন, মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে ১ জনকে এবং বাসায়  মারা গেছেন ২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৩ হাজার ৩২৯ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৬ হাজার ৪০২ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৬৬৩ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ৬২ হাজার ৮৯১ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৭৯ হাজার ২৯৩ জনকে। প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে ২৪ ঘণ্টায়  কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ১ হাজার ২৫৮ জনকে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন ১ হাজার ৫৯২ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৭২ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৫ লাখ ২৪ হাজার ৯৭৬ জনকে।  এখন কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৬ হাজার ৯০৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রান্ত ফোনকল এসেছে ৪৭ হাজার ১৫৩টি এবং এ পর্যন্ত মোট কল সংখ্যা ২ কোটি ৮ লাখ ৮ হাজার ৯২৫টি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status