বাংলারজমিন
হাটহাজারীতে ভিক্ষুকের জমানো টাকা ফেরৎ চাওয়ায় ছুরিকাঘাত
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, সোমবার, ১২:২৪ অপরাহ্ন
দীর্ঘ পাঁচ (৫) বছরের ভিক্ষার জমানো টাকা ফেরৎ চাওয়ায় ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহতের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত ও মারধরে গুরুতর আহত হন ফতেপুর রিয়াজ উদ্দিন খন্দকার বাড়ির মৃত মুন্সি মিয়ার স্ত্রী সত্তোরর্ধ্ব লায়লা বেগম। অচেতন অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলেও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে চমেক রেফার করে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
জানা গেছে, ভিক্ষুক লায়লা বেগম পাঁচ বছর ধরে আপন বোনের মেয়ে ৬নং ওয়ার্ডস্থ মতিন সাহেবের বাড়ির মৃত জাফরের স্ত্রী রাজু প্রকাশ রাইজ্জুনির কাছে তার ভিক্ষা, বয়স্ক ভাতা ও ঈদের সময় যাকাত ফিৎরার টাকা জমা রাখে। যার পরিমাণ পাঁচ বছরে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকা। ঐ টাকা চাওয়ার জের ধরেই বৃহস্প্রতিবার ভিক্ষা করার সময় তার উপর হামলা হয়। ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করা হয়।
ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিতে গিয়ে আহতের একমাত্র মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস (২৪) বলেন, আমার মা পেটের তাড়নায় ভিক্ষা করেন। কোন পুত্র সন্তান না থাকায় সম্পূর্ন একা আমার মা। বাধ্য হয়ে ভিক্ষা করেন। আর ভিক্ষার প্রতিদিনের জমানো টাকা, বয়স্ক ভাতার টাকা এবং প্রতি ঈদের যাকাত ফিতরার টাকা বিশ্বাস করে জমা দেন মায়ের আপন বোনের মেয়ে রাজু প্রকাশ রাইজ্জুনিকে। এভাবে দীর্ঘ পাঁচ (৫) বছর যাবৎ প্রায় ৪থেকে ৫লক্ষ টাকা জমা দেন তার হাতে। একইভাবে এক আমেরিকান প্রবাসীর দেয়া কাফনের কাপড়, একটি বেতের পাঁটি, একটি বসার মোড়াও জমা রাখেন তার কাছে। মাস ৬মাস আগে তার কাছে টাকাগুলো ফেরৎ চাইতে গেলে টাকা তার ছেলেদের দিয়ে দিয়েছে, কোন টাকা নেই আর পাবেওনা বলে তাড়িয়ে দেয় মাকে। পরে স্থানীয় সর্দার জসিম কে বিষয়টি অবগত করায় তারা সর্দারকে জানায় ৩হাজার টাকা পেত তা দিয়ে দিয়েছে। কোন টাকা পাবেনা।
বুধবার বিষয়টি ইউপি সদস্যকে জানালে তিনি লিখিতভাবে পরিষদে একটি অভিযোগ দায়ের করতে বলেন। কিন্তু তার পরদিনই আমার মাকে ছুরিকাঘাত ও মারধর করে চিরতরে নিস্তব্ধ করে দিতে চাইল রাইজ্জুনির পরিবার।
আহতের বরাত দিয়ে মেয়ে আরো বলেন, বৃহস্প্রতিবার (১৭সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে হাটহাজারী ১১মাইল এলাকায় ভিক্ষা করার সময় কেউ পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে অচেতন করে দেয়। তবে অচেতনের আগে রাজুর ছেলে জাহেদকে দেখতে পায়। সে ঐ সময় একটি দোকানে বসে ছিল। পরে আলিফ হাসপাতালের পেছনে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য অচেতন অবস্থায় মাকে চোখের উপরে ছুরিকাঘাত ও সারা শরীরে ধাতব কোন বস্তু দিয়ে পিঠিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তির পর প্রাথমিক চিকিৎসা দিলে মায়ের জ্ঞান ফিরে আসে। এদিকে লোক মারফত খবর পেয়ে আমি হাটহাজারী গিয়ে মাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করাই। তিনদিন চিকিৎসা শেষে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে মাকে নিয়ে বাড়ি ফেরৎ আসি।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে জান্নাত বলেন, আমার বাবা নেই অনেক বছর ধরে ভাইটিও নিখোঁজ ভিক্ষা করে মা পেট চালায়। বিশ্বাস করে টাকা বোনের মেয়ের কাছে জমা রাখে আর সে টাকার জন্য মাকে হত্যাচেস্টা করা হল। অসহায় মা এখন কি করবে ভিক্ষাও করতে পারবেনা জর্জরিত এ শরীর নিয়ে। আমার মায়ের কস্টের টাকা ফেরৎ চাই একইসাথে হত্যাচেস্টাকারীর বিচার চাই। আপনারা আমাদের সাহায্য করুন।
জানতে চাইলে ইউপি সদস্য হামিদ জানান, বুধবার আমার কাছে এসেছিল আমি লিখিতভাবে পরিষদে অভিযোগের পরামর্শ দিই কিন্তু তার আগেই তার উপর নৃশংস হামলা। দোষিদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন ইউপি সদস্য হামিদ।
সত্যতা স্বীকার করে চেয়ারম্যান এডভোকেট মোহাম্মদ শামিম বলেন একজন বয়স্ক ভিক্ষুকের উপর এভাবে হামলা সত্যিই ব্যথিত করেছে। দোষিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন যে কোন সহযোগিতা লাগুক আমি করব।
অভিযুক্তদের ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য ৬নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ সাজ্জাদ বলেন, আমি খুব অসুস্থ। বাসায় আছি। তারপরও খবর নিয়েছিলাম তারা বাড়িঘরে নেই।
এদিকে রোববার রাতে হাটহাজারী মডেল থানায় হামলার শিকার লায়লা বেগম লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান থানার ডিউটি অফিসার এসআই বাশার।
জানা গেছে, ভিক্ষুক লায়লা বেগম পাঁচ বছর ধরে আপন বোনের মেয়ে ৬নং ওয়ার্ডস্থ মতিন সাহেবের বাড়ির মৃত জাফরের স্ত্রী রাজু প্রকাশ রাইজ্জুনির কাছে তার ভিক্ষা, বয়স্ক ভাতা ও ঈদের সময় যাকাত ফিৎরার টাকা জমা রাখে। যার পরিমাণ পাঁচ বছরে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকা। ঐ টাকা চাওয়ার জের ধরেই বৃহস্প্রতিবার ভিক্ষা করার সময় তার উপর হামলা হয়। ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করা হয়।
ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিতে গিয়ে আহতের একমাত্র মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস (২৪) বলেন, আমার মা পেটের তাড়নায় ভিক্ষা করেন। কোন পুত্র সন্তান না থাকায় সম্পূর্ন একা আমার মা। বাধ্য হয়ে ভিক্ষা করেন। আর ভিক্ষার প্রতিদিনের জমানো টাকা, বয়স্ক ভাতার টাকা এবং প্রতি ঈদের যাকাত ফিতরার টাকা বিশ্বাস করে জমা দেন মায়ের আপন বোনের মেয়ে রাজু প্রকাশ রাইজ্জুনিকে। এভাবে দীর্ঘ পাঁচ (৫) বছর যাবৎ প্রায় ৪থেকে ৫লক্ষ টাকা জমা দেন তার হাতে। একইভাবে এক আমেরিকান প্রবাসীর দেয়া কাফনের কাপড়, একটি বেতের পাঁটি, একটি বসার মোড়াও জমা রাখেন তার কাছে। মাস ৬মাস আগে তার কাছে টাকাগুলো ফেরৎ চাইতে গেলে টাকা তার ছেলেদের দিয়ে দিয়েছে, কোন টাকা নেই আর পাবেওনা বলে তাড়িয়ে দেয় মাকে। পরে স্থানীয় সর্দার জসিম কে বিষয়টি অবগত করায় তারা সর্দারকে জানায় ৩হাজার টাকা পেত তা দিয়ে দিয়েছে। কোন টাকা পাবেনা।
বুধবার বিষয়টি ইউপি সদস্যকে জানালে তিনি লিখিতভাবে পরিষদে একটি অভিযোগ দায়ের করতে বলেন। কিন্তু তার পরদিনই আমার মাকে ছুরিকাঘাত ও মারধর করে চিরতরে নিস্তব্ধ করে দিতে চাইল রাইজ্জুনির পরিবার।
আহতের বরাত দিয়ে মেয়ে আরো বলেন, বৃহস্প্রতিবার (১৭সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে হাটহাজারী ১১মাইল এলাকায় ভিক্ষা করার সময় কেউ পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে অচেতন করে দেয়। তবে অচেতনের আগে রাজুর ছেলে জাহেদকে দেখতে পায়। সে ঐ সময় একটি দোকানে বসে ছিল। পরে আলিফ হাসপাতালের পেছনে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য অচেতন অবস্থায় মাকে চোখের উপরে ছুরিকাঘাত ও সারা শরীরে ধাতব কোন বস্তু দিয়ে পিঠিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তির পর প্রাথমিক চিকিৎসা দিলে মায়ের জ্ঞান ফিরে আসে। এদিকে লোক মারফত খবর পেয়ে আমি হাটহাজারী গিয়ে মাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করাই। তিনদিন চিকিৎসা শেষে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে মাকে নিয়ে বাড়ি ফেরৎ আসি।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে জান্নাত বলেন, আমার বাবা নেই অনেক বছর ধরে ভাইটিও নিখোঁজ ভিক্ষা করে মা পেট চালায়। বিশ্বাস করে টাকা বোনের মেয়ের কাছে জমা রাখে আর সে টাকার জন্য মাকে হত্যাচেস্টা করা হল। অসহায় মা এখন কি করবে ভিক্ষাও করতে পারবেনা জর্জরিত এ শরীর নিয়ে। আমার মায়ের কস্টের টাকা ফেরৎ চাই একইসাথে হত্যাচেস্টাকারীর বিচার চাই। আপনারা আমাদের সাহায্য করুন।
জানতে চাইলে ইউপি সদস্য হামিদ জানান, বুধবার আমার কাছে এসেছিল আমি লিখিতভাবে পরিষদে অভিযোগের পরামর্শ দিই কিন্তু তার আগেই তার উপর নৃশংস হামলা। দোষিদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন ইউপি সদস্য হামিদ।
সত্যতা স্বীকার করে চেয়ারম্যান এডভোকেট মোহাম্মদ শামিম বলেন একজন বয়স্ক ভিক্ষুকের উপর এভাবে হামলা সত্যিই ব্যথিত করেছে। দোষিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন যে কোন সহযোগিতা লাগুক আমি করব।
অভিযুক্তদের ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য ৬নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ সাজ্জাদ বলেন, আমি খুব অসুস্থ। বাসায় আছি। তারপরও খবর নিয়েছিলাম তারা বাড়িঘরে নেই।
এদিকে রোববার রাতে হাটহাজারী মডেল থানায় হামলার শিকার লায়লা বেগম লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান থানার ডিউটি অফিসার এসআই বাশার।