বিশ্বজমিন
টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট
ভারতে শুরু হচ্ছে স্পুটনিক-৫ এর পরীক্ষা, রাশিয়ায় ৭ জনে ১ জন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত
মানবজমিন ডেস্ক
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, শুক্রবার, ৯:১৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, রাশিয়ায় তৈরি করোনা ভাইরাসের টিকা স্পুটনিক-৫ এর পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ভারতে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দেয়া হবে এমন কৌশলগত একটি চুক্তির পর ভারতে এই পরীক্ষা চালানো হবে এবং বিতরণ করা হবে। তবে এই টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে রয়েছে উদ্বেগ। যাদের ওপর এটা প্রয়োগ করা হয়েছে তার প্রতি ৭ জনের মধ্যে একজন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এতে বলা হয়, রাশিয়ায় সবার আগে সরকারিভাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে স্পুটনিক-৫। রিপোর্ট বলছে, হায়দরাভিত্তিক ড. রেড্ডি’স ল্যাবরেটরি ভারতে তৃতীয় দফার পরীক্ষায় ‘ইনচার্জ’ হিসেবে কাজ করবে। এরপর জনগণের মধ্যে এই টিকা বিতরণ করা হবে কিনা সেই অনুমোদন দেবে ডিজিসিআই। এই অনুমোদন ডিসেম্বরের শুরুর দিকে দেয়া হতে পারে। ভারতের জন্য এই টিকার কমপক্ষে ১০ কোটি ডোজ সংরক্ষণ করা হবে।
স্পুটনিক- ৫ নাকি এস্ট্রাজেনেকা ভাল?
ভারতের জন্য স্পুটনিক- ৫ হাতে পাওয়া অনেকটা সহজসাধ্য। তবে তা কতটা নিরাপদ হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়, বিশেষ করে বিভিন্ন জাতি ও জনসংখ্যাতত্ত্বের রয়েছে এক বিশাল বৈচিত্র ভারতে। রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, গবেষণালব্ধ রিপোর্টে দেখা গেছে রাশিয়ার এই টিকা ব্যবহার করার পর প্রতি ৭ জন মানুষের মধ্যে একজন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। মস্কো টাইমসকে রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাশকো এক বিবৃতিতে বলেছেন, যেসব মানুষের ওপর এই টিকা প্রয়োগ করা হয়েছিল তার মধ্যে শতকরা ১৪ ভাগ রোগী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তা অল্প এবং রুটিন বলে আখ্যায়িত করেছেন মিখাইল মুরাশকো। তবু তিনি দাবি করেছেন রাশিয়ার এই টিকা এখনও নিরাপদ। বিশ্বে তাদের যেসব প্রতিদ্বন্দ্বী আছে তাদের তুলনায় নিরাপদ। তিনি বলেছেন, যারা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে দুর্বলতা, ২৪ ঘন্টা মাংসপেশীর ব্যথা, কখনো কখনো শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি এসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াকে স্বাভাবিক বলে আখ্যায়িত করেছেন। দাবি করেছেন, এসব লক্ষণ পরের দিনই চলে যায়। রাশিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের এই টিকা আরো প্রয়োগ করার পর পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে আরো নিশ্চিত হওয়া যাবে। ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের ওপর এই টিকা প্রয়োগের জন্য বাছাই করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩০০ জনের ওপর তা সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। প্রথম ডোজের ২১ দিনের মধ্যে তাদেরকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার কথা রয়েছে।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও এস্ট্রাজেনেকার টিকাকে বিশ্বে এই টিকা প্রতিযোগিতায় শীর্ষ স্থানীয় হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু এই টিকা দেয়ার পর বৃটেনে একজন রোগী অসুস্থ হওয়ার পর এর তৃতীয় দফার পরীক্ষা স্থগিত করা হয় মাঝপথে। তবে পরে বলা হয়, ওই রোগী এই টিকার কারণে অসুস্থ হন নি। এরপর বিভিন্ন স্থানে এই টিকার পরীক্ষা আবার শুরু হয়েছে। ওদিকে আগামীমাস থেকে তৃতীয় দফা পরীক্ষার ডাটা ব্যবহার করে আগামী বছরের শুরুতে গণহারে রাশিয়া তার টিকা প্রয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছে। তাদের এই টিকা শুরু থেকেই ভীষণ বিতর্কের মধ্যে রয়েছে।
এতে বলা হয়, রাশিয়ায় সবার আগে সরকারিভাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে স্পুটনিক-৫। রিপোর্ট বলছে, হায়দরাভিত্তিক ড. রেড্ডি’স ল্যাবরেটরি ভারতে তৃতীয় দফার পরীক্ষায় ‘ইনচার্জ’ হিসেবে কাজ করবে। এরপর জনগণের মধ্যে এই টিকা বিতরণ করা হবে কিনা সেই অনুমোদন দেবে ডিজিসিআই। এই অনুমোদন ডিসেম্বরের শুরুর দিকে দেয়া হতে পারে। ভারতের জন্য এই টিকার কমপক্ষে ১০ কোটি ডোজ সংরক্ষণ করা হবে।
স্পুটনিক- ৫ নাকি এস্ট্রাজেনেকা ভাল?
ভারতের জন্য স্পুটনিক- ৫ হাতে পাওয়া অনেকটা সহজসাধ্য। তবে তা কতটা নিরাপদ হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়, বিশেষ করে বিভিন্ন জাতি ও জনসংখ্যাতত্ত্বের রয়েছে এক বিশাল বৈচিত্র ভারতে। রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, গবেষণালব্ধ রিপোর্টে দেখা গেছে রাশিয়ার এই টিকা ব্যবহার করার পর প্রতি ৭ জন মানুষের মধ্যে একজন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। মস্কো টাইমসকে রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাশকো এক বিবৃতিতে বলেছেন, যেসব মানুষের ওপর এই টিকা প্রয়োগ করা হয়েছিল তার মধ্যে শতকরা ১৪ ভাগ রোগী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তা অল্প এবং রুটিন বলে আখ্যায়িত করেছেন মিখাইল মুরাশকো। তবু তিনি দাবি করেছেন রাশিয়ার এই টিকা এখনও নিরাপদ। বিশ্বে তাদের যেসব প্রতিদ্বন্দ্বী আছে তাদের তুলনায় নিরাপদ। তিনি বলেছেন, যারা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে দুর্বলতা, ২৪ ঘন্টা মাংসপেশীর ব্যথা, কখনো কখনো শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি এসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াকে স্বাভাবিক বলে আখ্যায়িত করেছেন। দাবি করেছেন, এসব লক্ষণ পরের দিনই চলে যায়। রাশিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের এই টিকা আরো প্রয়োগ করার পর পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে আরো নিশ্চিত হওয়া যাবে। ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের ওপর এই টিকা প্রয়োগের জন্য বাছাই করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩০০ জনের ওপর তা সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। প্রথম ডোজের ২১ দিনের মধ্যে তাদেরকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার কথা রয়েছে।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও এস্ট্রাজেনেকার টিকাকে বিশ্বে এই টিকা প্রতিযোগিতায় শীর্ষ স্থানীয় হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু এই টিকা দেয়ার পর বৃটেনে একজন রোগী অসুস্থ হওয়ার পর এর তৃতীয় দফার পরীক্ষা স্থগিত করা হয় মাঝপথে। তবে পরে বলা হয়, ওই রোগী এই টিকার কারণে অসুস্থ হন নি। এরপর বিভিন্ন স্থানে এই টিকার পরীক্ষা আবার শুরু হয়েছে। ওদিকে আগামীমাস থেকে তৃতীয় দফা পরীক্ষার ডাটা ব্যবহার করে আগামী বছরের শুরুতে গণহারে রাশিয়া তার টিকা প্রয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছে। তাদের এই টিকা শুরু থেকেই ভীষণ বিতর্কের মধ্যে রয়েছে।