ম্যাক্সওয়েল-ক্যারির রেকর্ড জুটিতে সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার

দুঃস্বপ্নের মতো শুরুর পর জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরি ও ক্রিস ওকসের ঝোড়ো ফিফটিতে তিনশ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার শুরুটাও হয় নড়বড়ে। সেখান থেকে ষষ্ঠ উইকেটে রেকর্ড জুটি গড়লেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও অ্যালেক্স ক্যারি। দু’জনের অসাধারণ দুই সেঞ্চুরিতে সিরিজ নিজেদের করে নেয় অস্ট্রেলিয়া। বুধবার ম্যানচেস্টারে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ৩ উইকেটে জিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে সফরকারীরা। ইংল্যান্ডের করা ৭ উইকেটে ৩০২ রান ২ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় অ্যারন ফিঞ্চের দল। ২০১৫ সালের পর আবারো ইংল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল অস্ট্রেলিয়া।

৩০৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে অস্ট্রেলিয়া। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ক্যারি। ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে ষষ্ঠ উইকেটে গড়েন সর্বোচ্চ রানের জুটি (২১২ রান)। ম্যাক্সওয়েল তুলে নেন ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। আর ক্যারি প্রথম। ম্যাক্সওয়েল ক্যারিয়ার সেরা ৯০ বলে ১০৮ রানের ইনিংসটি সাজান ৭ ছক্কা ও ৪ বাউন্ডারিতে। ক্যারি প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পাওয়ার পর ফেরেন দুই ছক্কা ও ৭ বাউন্ডারিতে ১০৬ বলে ১১৪ রান করে। শেষ তিন ওভারে ২১ রান প্রয়োজন ছিল অস্ট্রেলিয়ার। হাতে ৫ উইকেট থাকলেও দ্রুতই ফিরে যান ম্যাক্সওয়েল ও ক্যারি। তবে মিচেল স্টার্কের ৩ বলে ১১ রানে জয় পেতে বেগ পেতে হয়নি অজিদের।

ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের শুরুটা হয় দুঃস্বপ্নের মতো। প্রথম দুই বলে মিচেল স্টার্কের শিকার হয়ে ফেরেন জেসন রয় ও জো রুট। অধিনায়ক এউইন মরগানকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন জনি বেয়ারস্টো। এরপর আবার জোড়া আঘাত। ৯৪ রান তুলতে ইংল্যান্ড হারায় আরো ২ উইকেট। মরগান ২৩ ও জস বাটলার করেন ৮ রান। স্যাম বিলিংসকে নিয়ে শতরানের জুটিতে জোড়া আঘাতের ধাক্কা সামাল দেন বেয়ারস্টো। ২১০ রানের মাথায় ফেরেন বিলিংস (৫৭ রান)। এরপর বেশিক্ষণ টেকেননি ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি তুলে নেয়া বেয়ারস্টো (১১২ রান)। ক্রিস ওকসের ৩৯ বলে অপরাজিত ৫৩ রানের ইনিংসে তিনশ পেরোয় ইংল্যান্ডের ইনিংস।

ম্যাচ সেরার সঙ্গে সিরিজ সেরাও হয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।