প্রথম পাতা
শফীপুত্রের বহিষ্কারের দাবিতে উত্তাল হাটহাজারী
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৯:২২ পূর্বাহ্ন
হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা আহমদ শফী ও তার পুত্র কেন্দ্রীয় হেফাজতের প্রচার সম্পাদক মাওলানা আনাস মাদানীকে অপসারণের দাবিতে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় সাধারণ ছাত্র ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেছে। এ সময় হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর অনুসারীরা আল্লামা আহমদ শফী, মাদ্রাসার সহযোগী পরিচালক আল্লামা শেখ আহমদ, মাওলানা আনাস মাদানী, সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা আহাম্মদ দিদার কাসেমীসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র মুহাদ্দিস আলেমদের মাদ্রাসায় অবরুদ্ধ এবং মাদ্রাসার সকল গেট তালাবদ্ধ করে রাখে। মাদ্রাসার বাইরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। প্রশাসন যাতে মাদ্রাসার ভেতরে ঢুকে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ না করে সেজন্য ছাত্ররা মসজিদের মাইকে মাইকিং করেন। গতকাল জোহরের নামাজের পর থেকে মাদ্রাসার ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।
তাদের দাবিগুলো হচ্ছে, আল্লামা শফীর পুত্র মাওলানা আনাস মাদানীকে অনতিবিলম্বে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করতে হবে। সাধারণ ছাত্রদের প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ-সুবিধা বাস্তবায়নে সরকারের সকল প্রকার হয়রানি বন্ধ করতে হবে। আল্লামা আহমদ শফী সাহেবকে মাজোর বা অক্ষম হওয়ায় পরিচালকের পদ থেকে সম্মানজনক অব্যাহতি দিয়ে জের পুরস্ত বা উপদেষ্টা বানাতে হবে। ওস্তাদদের পূর্ণ অধিকার ও বিনিয়োগ নিয়োগকে শূরার নিকট পূর্ণ ন্যস্ত করতে হবে। বিগত শূরার হাক্কানী আলেমদেরকে পুনর্বহাল ও বিতর্কিত সদস্যদের পদত্যাগ করতে হবে। এসব দাবি-দাওয়া মসজিদের মাইকে মাইকিং করে বারবার তারা জানান দিচ্ছে। তারা মসজিদের মাইকে আরো বলেছে, আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে প্রশাসনের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করা যাবে না। যদি পুলিশ প্রশাসন কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করার জন্য মাদ্রাসার ভেতরে প্রবেশ করে তাহলে আমাদের সাধারণ ছাত্রদের লাশের উপর দিয়ে যেতে হবে। এই বলে বারবার আনাস মাদানীর রুমের দিকে এগিয়ে যায় এবং বিক্ষোভকারীরা মাওলানা আনাস মাদানীর রুম ভাঙচুর করে।
আন্দোলন-বিক্ষোভের বিষয়ে জানতে চাওয়ার জন্য মাদ্রাসার সকল শিক্ষকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সকলের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য মাদ্রাসার বাইরে মোতায়েন ছিল চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম রশিদুল হক (পিপিএম), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল, সরকারি পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন শামীম, মেজর মাকসুদুর রহমান, হাটহাজারী মডেল থানা ওসি মাসুদ আলম, হাটহাজারী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) রাজিব শর্মা, অপারেশন ওসি তৌহিদুল করিম, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন, গোয়েন্দা সংস্থা, এনএসআই, পুলিশের ডিএসবি সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
তাদের দাবিগুলো হচ্ছে, আল্লামা শফীর পুত্র মাওলানা আনাস মাদানীকে অনতিবিলম্বে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করতে হবে। সাধারণ ছাত্রদের প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ-সুবিধা বাস্তবায়নে সরকারের সকল প্রকার হয়রানি বন্ধ করতে হবে। আল্লামা আহমদ শফী সাহেবকে মাজোর বা অক্ষম হওয়ায় পরিচালকের পদ থেকে সম্মানজনক অব্যাহতি দিয়ে জের পুরস্ত বা উপদেষ্টা বানাতে হবে। ওস্তাদদের পূর্ণ অধিকার ও বিনিয়োগ নিয়োগকে শূরার নিকট পূর্ণ ন্যস্ত করতে হবে। বিগত শূরার হাক্কানী আলেমদেরকে পুনর্বহাল ও বিতর্কিত সদস্যদের পদত্যাগ করতে হবে। এসব দাবি-দাওয়া মসজিদের মাইকে মাইকিং করে বারবার তারা জানান দিচ্ছে। তারা মসজিদের মাইকে আরো বলেছে, আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে প্রশাসনের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করা যাবে না। যদি পুলিশ প্রশাসন কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করার জন্য মাদ্রাসার ভেতরে প্রবেশ করে তাহলে আমাদের সাধারণ ছাত্রদের লাশের উপর দিয়ে যেতে হবে। এই বলে বারবার আনাস মাদানীর রুমের দিকে এগিয়ে যায় এবং বিক্ষোভকারীরা মাওলানা আনাস মাদানীর রুম ভাঙচুর করে।
আন্দোলন-বিক্ষোভের বিষয়ে জানতে চাওয়ার জন্য মাদ্রাসার সকল শিক্ষকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সকলের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য মাদ্রাসার বাইরে মোতায়েন ছিল চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম রশিদুল হক (পিপিএম), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল, সরকারি পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন শামীম, মেজর মাকসুদুর রহমান, হাটহাজারী মডেল থানা ওসি মাসুদ আলম, হাটহাজারী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) রাজিব শর্মা, অপারেশন ওসি তৌহিদুল করিম, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন, গোয়েন্দা সংস্থা, এনএসআই, পুলিশের ডিএসবি সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।