খেলা
শ্রীলঙ্কার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় বিসিবি
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৮:২৪ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কা সফর হবে তো! ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ক্রিকেটপ্রেমী সবারই এখন এক প্রশ্ন। বেশিরভাগ ক্রিকেটবোদ্ধা মনে করেন, লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের যে শর্ত তাতে শেষ পর্যন্ত সিরিজটি বাতিল কিংবা স্থগিত হতে পারে। যদিও সমস্যা সমাধানে আলোচনা চলছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডে। তারা এরই মধ্যে ক্রীড়ামন্ত্রী নামাল রাজা পাকসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এরপর তারা লঙ্কান প্রেসিডেন্টসিয়াল কোভিড-১৯ টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। যার প্রধান হিসেবে আছেন শ্রীলঙ্কা আর্মির একজন কমান্ডার। তবে সেই আলোচনায় কোনো ফলাফল আসেনি। জানা গেছে, লঙ্কান বোর্ড তাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে শেষ আলোচনা করেই বাংলাদেশকে সিদ্ধান্ত জানাবে। যদিও গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ‘কোনো চিঠি পাইনি’ বলেই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। অপেক্ষা ছাড়া কিছু করার নেই বলে জানান তিনি। দৈনিক মানবজমিনকে সুজন বলেন, ‘আমরা এখনো পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা বোর্ডের তরফ থেকে কোনো ধরনের চিঠি পাইনি। তারা কী উত্তর দেবে, সে আশায় আছি। এখন অপেক্ষা ছাড়া কিছুই করার নেই।’
দু’দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো সমাধান না আসায় সফরটি শেষ পর্যন্ত নাও হতে পারে। বিসিবি’র একটি সূত্রে জানা গেছে, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড যে শর্ত দিয়েছে তাতে খুব একটা পরিবর্তন আসবে বলে মনে হয় না। আর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন পালন করতে হলে বিসিবি কোনোভাবেই সফর করবে না। অন্যদিকে লঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান শাম্মি সিলভা ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন নিয়ে তাদের কোনোকিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন। বাংলাদেশের সঙ্গে ৭ দিনের কোয়ারেন্টিনের বিষয়ে কোনো কথা হয়নি বলেও দাবি করেছেন সিলভা। লঙ্কান বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, ‘যদি তারা (বাংলাদেশ) শ্রীলঙ্কায় আসার আগে কোয়ারেন্টিন করেও আসে, তারপরও কলম্বোয় পা রাখার পর হোটেলে ১৪ দিন বাধ্যতামূলক থাকতে করতে হবে। আর তার সার্বিক খরচ শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটই বহন করবে।’
অন্যদিকে, টাস্কফোর্সের সঙ্গে আলোচনাতেও বাংলাদেশের জন্য সুখবর নেই। সেখানে বলা হয়েছে ২৬ জনের স্কোয়াড নিয়ে বাংলাদেশ দল সফর করতে পারবে। কিন্তু সেটি কোনোভাবেই সম্ভব নয় টাইগারদের জন্য। করোনাভাইরাসের কারণে লম্বা সময় মাঠের বাইরে ছিল ক্রিকেটাররা। গেল দুই মাস ধরে অনুশীলন শুরু করলেও এখনো ম্যাচ খেলার মতো ফিটনেস ফিরে পায়নি সবাই। একটি প্রস্তুতি ম্যাচ পর্যন্ত খেলেটি বাংলাদেশ দল। তাই কোনো রকম ম্যাচ অনুশীলন ছাড়া মাঠে নামা সহজ হবে না ক্রিকেটারদের জন্য। যদি শ্রীলঙ্কায় শেষ পর্যন্ত ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন করতেই হয় তাহলে এতদিন যা ব্যক্তিগত অনুশীলন করেছে সেটিও কোনো কাজে আসবে না বলে মনে করেন জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটার। নাম প্রকাশ না করা শর্তে জাতীয় দলের এক ক্রিকেটার বলেন, ‘আমরা এখানে যে অনুশীলন করছি সেটি যথেষ্ট নয়। বলা হয়েছিল শ্রীলঙ্কায় অনুশীলনের সুযোগ হবে। প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবো। এখন শুনছি অনেক কিছুরই সুযোগ পাবো না। এমনকি ১৪ দিন বন্দি থাকতে হবে। তাহলে বন্দি থাকার পর আবার আমরা আগের অবস্থানে ফিরে যাবো। টেস্টের আগে খুব একটা অনুশীলনেরও সুযোগ পাবো না। এমন অবস্থায় ক্রিকেট খেলা হবে ভীষণ কঠিন।’ তার কথায় স্পষ্ট ১৪ দিন বন্দি থেকে মাঠে নামতে চাইছেন না ক্রিকেটাররা। তাই শেষ পর্যন্ত লঙ্কানরা তাদের অবস্থানে অনড় থাকলে এ সিরিজের ভাগ্য ঝুলেই থাকবে। তবে বাংলাদেশ দল তাদের প্রস্তুতি বন্ধ করেনি। গতকালও ক্রিকেটাররা বিদেশি কোচদের অধীনে অনুশীলন করেছে। বিসিবিও তাদের সফরের জন্য সব কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এখন শুধু শ্রীলঙ্কার নমনীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।
দু’দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো সমাধান না আসায় সফরটি শেষ পর্যন্ত নাও হতে পারে। বিসিবি’র একটি সূত্রে জানা গেছে, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড যে শর্ত দিয়েছে তাতে খুব একটা পরিবর্তন আসবে বলে মনে হয় না। আর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন পালন করতে হলে বিসিবি কোনোভাবেই সফর করবে না। অন্যদিকে লঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান শাম্মি সিলভা ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন নিয়ে তাদের কোনোকিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন। বাংলাদেশের সঙ্গে ৭ দিনের কোয়ারেন্টিনের বিষয়ে কোনো কথা হয়নি বলেও দাবি করেছেন সিলভা। লঙ্কান বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, ‘যদি তারা (বাংলাদেশ) শ্রীলঙ্কায় আসার আগে কোয়ারেন্টিন করেও আসে, তারপরও কলম্বোয় পা রাখার পর হোটেলে ১৪ দিন বাধ্যতামূলক থাকতে করতে হবে। আর তার সার্বিক খরচ শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটই বহন করবে।’
অন্যদিকে, টাস্কফোর্সের সঙ্গে আলোচনাতেও বাংলাদেশের জন্য সুখবর নেই। সেখানে বলা হয়েছে ২৬ জনের স্কোয়াড নিয়ে বাংলাদেশ দল সফর করতে পারবে। কিন্তু সেটি কোনোভাবেই সম্ভব নয় টাইগারদের জন্য। করোনাভাইরাসের কারণে লম্বা সময় মাঠের বাইরে ছিল ক্রিকেটাররা। গেল দুই মাস ধরে অনুশীলন শুরু করলেও এখনো ম্যাচ খেলার মতো ফিটনেস ফিরে পায়নি সবাই। একটি প্রস্তুতি ম্যাচ পর্যন্ত খেলেটি বাংলাদেশ দল। তাই কোনো রকম ম্যাচ অনুশীলন ছাড়া মাঠে নামা সহজ হবে না ক্রিকেটারদের জন্য। যদি শ্রীলঙ্কায় শেষ পর্যন্ত ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন করতেই হয় তাহলে এতদিন যা ব্যক্তিগত অনুশীলন করেছে সেটিও কোনো কাজে আসবে না বলে মনে করেন জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটার। নাম প্রকাশ না করা শর্তে জাতীয় দলের এক ক্রিকেটার বলেন, ‘আমরা এখানে যে অনুশীলন করছি সেটি যথেষ্ট নয়। বলা হয়েছিল শ্রীলঙ্কায় অনুশীলনের সুযোগ হবে। প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবো। এখন শুনছি অনেক কিছুরই সুযোগ পাবো না। এমনকি ১৪ দিন বন্দি থাকতে হবে। তাহলে বন্দি থাকার পর আবার আমরা আগের অবস্থানে ফিরে যাবো। টেস্টের আগে খুব একটা অনুশীলনেরও সুযোগ পাবো না। এমন অবস্থায় ক্রিকেট খেলা হবে ভীষণ কঠিন।’ তার কথায় স্পষ্ট ১৪ দিন বন্দি থেকে মাঠে নামতে চাইছেন না ক্রিকেটাররা। তাই শেষ পর্যন্ত লঙ্কানরা তাদের অবস্থানে অনড় থাকলে এ সিরিজের ভাগ্য ঝুলেই থাকবে। তবে বাংলাদেশ দল তাদের প্রস্তুতি বন্ধ করেনি। গতকালও ক্রিকেটাররা বিদেশি কোচদের অধীনে অনুশীলন করেছে। বিসিবিও তাদের সফরের জন্য সব কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এখন শুধু শ্রীলঙ্কার নমনীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।