বাংলারজমিন
৮ ঘণ্টা পর শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছালো ফেরিটি
শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, বুধবার, ৬:২৯ পূর্বাহ্ন
মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে ফেরি চলাচল। বুধবার সকাল ৭টার দিকে কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে একটি রো রো ফেরি নতুন নৌ-চ্যালেন দিয়ে ছাড়া হলে ফেরিটি দুপুর ২টা ৫০ মিটিনে শিমুলিয়া ঘাটে এসে পৌঁছায়।
এদিকে নতুন এই চ্যালেনে ফেরি চলাচলে কয়েকগুণ সময় বেশি লাগায় এই পথে ফেরি চলাতে চাইছে না ঘাট কর্তৃপক্ষ। বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা বলছেন, ‘পালের চর’ নামে নতুন এই চ্যালেনটি ২৮ কিলোমিটারের নৌপথ। আগের লৌহজং ও চায়না নৌ-চ্যালেনের দিয়ে করা নৌপথের দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ৯ কিলোমিটার। ফেরি পারাপারে সময় লাগতো এক থেকে দেড় ঘণ্টা। পালের চরের নতুন এই চ্যালেনটি দিয়ে পদ্মা পারাপার সময় লাগবে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা। নদীতে স্রোত বেশি থাকলে লেগে যায় ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা।
বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাট সূত্র জানায়, বুধবার সকাল ৭টার দিকে রো রো ফেরি জাহাঙ্গীর কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে শিমুলিয়া উদ্দেশ্যে ছাড়া হয়। ফেরিটিতে একটি যাত্রীবাহী বাস, ১১টি পণ্যবাহী ট্রাক ও স্বল্পসংখ্যক মোটরসাইকেল বহন করে। নতুন পালের চর নৌ-চ্যালেনটি অতিক্রম করতে গিয়ে তীব্র স্রোতের মুখে পড়ে ফেরিটি। পরে স্রোতের বেগ সামলে শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছাতে লেগে যায় প্রায় ৮ ঘন্টা।
এর আগে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথে পূর্বের নৌ-চ্যালেনে নাব্যতা-সংকট থাকায় ৩ সেপ্টম্বর থেকে টানা ৯দিন বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল। এরপর দুদিন ছোট কয়েকটি ফেরি চললেও আবারও অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ চ্যালেনে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা থাকায় নতুন একটি নৌ-চ্যালেন (পালের চর) দিয়ে মঙ্গলবার বেলা ১২টায় কে-টাইপের ফেরি ক্যামেলিয়া স্বল্প যানবাহন লোড নিয়ে ছাড়া হয়। ফেরিটি শরীয়তপুরের জাজিরা হয়ে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে আসে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে। এরপর বুধবার নতুন এই নৌপথে মাত্র একটি ফেরি ছাড়া হয়।
প্রায় ৮ ঘন্টা পরে শিমুলিয়া ঘাটে আসা রো রো ফেরি জাহাঙ্গীরের মাস্টার মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘নতুন চ্যালেন দিয়ে ফেরিটি ঘাটে আনতে আমাকে নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে। নদীতে প্রচণ্ড স্রোত। সকাল ৭টায় ছাড়া ফেরি আসতে প্রায় তিনটা বেজে গেলো। এত সময় ইঞ্জিন চললে দুর্ঘটনার ঝুঁকির পাশাপাশি ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়তে পারে। তাই এই পথে ফেরি চলানো খুবই মুশকিল।’
ফেরিটির ইঞ্চিন কক্ষে কর্মরত গ্রিজার অজয় রায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘এক টানা ৭-৮ ঘন্টা ফেরির ইঞ্চিন চললে ইঞ্জিন ভয়বাহ গরম হয়। এমনকি মাঝে মধ্যে আগুনও ধরে যায়। খুবই ঝুঁকি নিয়ে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে।’
বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. আব্দুল আলিম দৈনিক মানবজমিনকে বলেন, ‘নতুন নৌ-চ্যালেন (পালের চর) দিয়ে আমরা ফেরি চলাতে চাইছি না। শিমুলিয়া থেকে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে ফেরি ৫ ঘন্টার মধ্যে এলেও কাঁঠালবাড়ি থেকে শিমুলিয়া যেতে ৮ থেকে ৯ ঘন্টা চলে যাবে। কারণ শিমুলিয়া থেকে ফেরি ছাড়লে স্রোতের টানে দ্রুত আসতে পারে। কিন্তু কাঁঠালবাড়ি থেকে ফেরি স্রোতের উল্টো মুখে পড়ে। এই কারণে এই পথে ফেরি ছাড়লে নানা সমস্যার মুখে পড়তে হবে।’
এদিকে নতুন এই চ্যালেনে ফেরি চলাচলে কয়েকগুণ সময় বেশি লাগায় এই পথে ফেরি চলাতে চাইছে না ঘাট কর্তৃপক্ষ। বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা বলছেন, ‘পালের চর’ নামে নতুন এই চ্যালেনটি ২৮ কিলোমিটারের নৌপথ। আগের লৌহজং ও চায়না নৌ-চ্যালেনের দিয়ে করা নৌপথের দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ৯ কিলোমিটার। ফেরি পারাপারে সময় লাগতো এক থেকে দেড় ঘণ্টা। পালের চরের নতুন এই চ্যালেনটি দিয়ে পদ্মা পারাপার সময় লাগবে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা। নদীতে স্রোত বেশি থাকলে লেগে যায় ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা।
বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাট সূত্র জানায়, বুধবার সকাল ৭টার দিকে রো রো ফেরি জাহাঙ্গীর কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে শিমুলিয়া উদ্দেশ্যে ছাড়া হয়। ফেরিটিতে একটি যাত্রীবাহী বাস, ১১টি পণ্যবাহী ট্রাক ও স্বল্পসংখ্যক মোটরসাইকেল বহন করে। নতুন পালের চর নৌ-চ্যালেনটি অতিক্রম করতে গিয়ে তীব্র স্রোতের মুখে পড়ে ফেরিটি। পরে স্রোতের বেগ সামলে শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছাতে লেগে যায় প্রায় ৮ ঘন্টা।
এর আগে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথে পূর্বের নৌ-চ্যালেনে নাব্যতা-সংকট থাকায় ৩ সেপ্টম্বর থেকে টানা ৯দিন বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল। এরপর দুদিন ছোট কয়েকটি ফেরি চললেও আবারও অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ চ্যালেনে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা থাকায় নতুন একটি নৌ-চ্যালেন (পালের চর) দিয়ে মঙ্গলবার বেলা ১২টায় কে-টাইপের ফেরি ক্যামেলিয়া স্বল্প যানবাহন লোড নিয়ে ছাড়া হয়। ফেরিটি শরীয়তপুরের জাজিরা হয়ে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে আসে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে। এরপর বুধবার নতুন এই নৌপথে মাত্র একটি ফেরি ছাড়া হয়।
প্রায় ৮ ঘন্টা পরে শিমুলিয়া ঘাটে আসা রো রো ফেরি জাহাঙ্গীরের মাস্টার মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘নতুন চ্যালেন দিয়ে ফেরিটি ঘাটে আনতে আমাকে নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে। নদীতে প্রচণ্ড স্রোত। সকাল ৭টায় ছাড়া ফেরি আসতে প্রায় তিনটা বেজে গেলো। এত সময় ইঞ্জিন চললে দুর্ঘটনার ঝুঁকির পাশাপাশি ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়তে পারে। তাই এই পথে ফেরি চলানো খুবই মুশকিল।’
ফেরিটির ইঞ্চিন কক্ষে কর্মরত গ্রিজার অজয় রায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘এক টানা ৭-৮ ঘন্টা ফেরির ইঞ্চিন চললে ইঞ্জিন ভয়বাহ গরম হয়। এমনকি মাঝে মধ্যে আগুনও ধরে যায়। খুবই ঝুঁকি নিয়ে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে।’
বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. আব্দুল আলিম দৈনিক মানবজমিনকে বলেন, ‘নতুন নৌ-চ্যালেন (পালের চর) দিয়ে আমরা ফেরি চলাতে চাইছি না। শিমুলিয়া থেকে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে ফেরি ৫ ঘন্টার মধ্যে এলেও কাঁঠালবাড়ি থেকে শিমুলিয়া যেতে ৮ থেকে ৯ ঘন্টা চলে যাবে। কারণ শিমুলিয়া থেকে ফেরি ছাড়লে স্রোতের টানে দ্রুত আসতে পারে। কিন্তু কাঁঠালবাড়ি থেকে ফেরি স্রোতের উল্টো মুখে পড়ে। এই কারণে এই পথে ফেরি ছাড়লে নানা সমস্যার মুখে পড়তে হবে।’