ভারত
সুশান্ত সিং রাজপুতের জীবনের শেষের কয়েকঘণ্টা, সিবিআই এর জেরায় উঠে এল সব তথ্য
বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা
৩০ আগস্ট ২০২০, রবিবার, ১০:১২ পূর্বাহ্ন
চৌদ্দ জুনের সেই তথাকথিত আত্মঘাতী হওয়ার দিনটিতে শেষের ক'ঘণ্টা সুশান্তের আচরণ কেমন ছিল তা জানতে উঠেপড়ে লেগেছে সিবিআই। এর জন্যেই সুশান্তের ফ্ল্যাটমেট সিদ্ধার্থ পিঠানি, কুক দ্বিপেশ সাওয়ান্ত ও ম্যান ফ্রাইডে নিরাজ কেশবকে তারা আলাদাভাবে জেরা করেছে। জেরায় দ্বীপেশ জানিয়েছেন, তের জুন রাতে সুশান্ত ডিনার করেননি। শুধু ম্যাংগো শেক খেয়েছিলেন। প্রায় রাতেই তিনি ডিনার স্কিপ করতেন। এরপর সাড়ে দশটায় ঘুমিয়ে পড়েন দ্বীপেশ। ভোর পাঁচটায় তাঁর ঘুম ভাঙে। সাড়ে ছটায় সুশান্তের ঘরে গিয়ে দেখেন, সুশান্ত খাটের ওপর বসে আছেন। এয়ারকন্ডিশনার বন্ধ। জানালা খোলা, ফ্যান চলছে। দ্বীপেশ সুশান্তকে এইসময় জিজ্ঞাসা করেন তিনি চা, কফি বা ব্রেকফাস্ট খাবেন কিনা। সুশান্ত তাঁকে না করে দেন। সাতটায় ঘুম থেকে ওঠেন সিদ্ধার্থ এবং নিরাজ। সুশান্তের প্রিয় কুকুরকে নিয়ে মর্নিং ওয়াক করে ফেরার সময় নিরাজকে সুশান্ত জিজ্ঞাসা করেন - সব ঠিক আছে তো? ড্রয়িংরুমের হলঘরটি পরিষ্কার আছে কিনা তাও জিজ্ঞাসা করেন সুশান্ত। সাড়ে নটায় নিরাজ সুশান্তের জন্যে ডাবের জল, ফলের রস এবং কলা নিয়ে যান। সুশান্ত ফলের রস ও ডাবের জলটা খান। তখনো সুশান্তকে স্বাভাবিক লেগেছিলো নিরাজের। সাড়ে দশটা নাগাদ সুশান্ত লাঞ্চে কি খাবেন তা জিজ্ঞাসা করতে তাঁর ঘরে ফের যাওয়ার চেষ্টা করেন নিরাজ। ঘরের দরজা সেই সময় ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। বাইরে থেকে জিজ্ঞাসা করেও নিরাজ কোনও উত্তর পাননি বলে সিবিআইকে জানিয়েছেন। এরপরই তিনি সিদ্ধার্থ পিঠানিকে দরজা বন্ধ থাকার খবরটি জানান। সিদ্ধার্থও এসে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু, সুশান্ত দরজা খোলেননি বা সাড়া দেননি। সিদ্ধার্থ সিবিআইকে জানিয়েছেন, সেই সময় তাঁর সন্দেহ হয়, কারণ ঘরে বান্ধবী থাকলে সুশান্ত দরজা বন্ধ রাখতেন। নয়তো দরজা খোলা রাখাটাই তাঁর অভ্যাস ছিল। এরপরই দরজা ভেঙে সুশান্তের নিষ্প্রাণ , ঝুলন্ত দেহটি দেখতে পাওয়া যায়। বাকিটা ইতিহাস।