শেষের পাতা
পানিতে ডুবে ২৮ জনের মৃত্যু
বাংলারজমিন ডেস্ক
৫ আগস্ট ২০২০, বুধবার, ৯:৩১ পূর্বাহ্ন
ঈদের ছুটিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পানিতে ডুবে অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ঢাকার ধামরাইয়ে নৌকা নিয়ে ঈদ আনন্দ করতে গিয়ে কলেজছাত্রীসহ ৫ জন, নবীগঞ্জে ২ কিশোরী, মানিকগঞ্জে ভাই বোনসহ ৩ জন, বাউফলে পুকুরে ডুবে ৩ বোন, বানিয়াচংয়ে একই পরিবারের ৩ জন, বকশীগঞ্জে ২ শিশু, পাকুন্দিয়ায় ২ শিশু, বগুড়ায় ২, শাহজাদপুরে ১, নিকলীতে ২, কেন্দুয়ায় ১ তরুণী ও শ্যামনগরে ১ শিশু রয়েছে। এছাড়াও রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় সন্তানকে বাঁচাতে বন্যার পানিতে প্রাণ দিয়েছেন এক মা। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অনেকে। বিস্তারিত প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্টে-
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি জানান, ধামরাইয়ের সুয়াপুর ইউনিয়ন রৌহা ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের মান্দারচাপ এলাকায় ঈদের আনন্দ করতে নৌকা নিয়ে পানিতে ডুবে লাশ হয়েছে কলেজছাত্রীসহ ৫ জন। জানা গেছে, ধামরাইয়ের মান্দারচাপ গ্রামে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী মিম ও শিফা ঈদের দিন দুপুরে নৌকা নিয়ে পানিতে বেড়াতে যায়। কিছু দূর যাওয়ার পর নৌকা উল্টে ডুবে যায়। সাঁতার না জানায় তারা তীরে উঠতে পারেনি। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার দুপুরে সুয়াপুর ইউনিয়নের রৌহা কলেজ ছাত্রী আফরিন ও তার বান্ধবী নৌকা নিয়ে বেড়াতে যায়। এ সময় হালকা ঝড় হলে তাদের নৌকা উল্টে ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা আফরিন ও তার বান্ধবীর লাশ উদ্ধার করে। সোমবার সন্ধ্যায় সুয়াপুর ইউনিয়নের কুটির চর এলাকায় সোহাগ নামে এক শিশু খেলতে গিয়ে পানি ডুবে মারা গেছে।
ষ্টাফ রিপোর্টার,নবীগঞ্জ থেকে জানান, হাওরের পানিতে ডুবে দুই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার কালিয়ার ভাঙ্গা ইউনিয়নের মান্দারকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, ডিঙি নৌকায় হাওরে ঘুরতে গিয়ে প্রচণ্ড ঢেউয়ে নৌকা উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই পানিতে ডুবে মনই মিয়ার মেয়ে পপি আক্তার (১৬) ও আব্দুস সালাম মিয়ার মেয়ে মনি আক্তার (১২) মারা যায়। এছাড়া আহত ৩ শিশুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার,মানিকগঞ্জ থেকে জানান, মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে নৌকা ডুবে ভাই-বোনসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরো দুই শিশু। নিখোঁজ ও নিহতরা একে অপরের আত্মীয়। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলায় চরমাস্তল এলাকায় এই নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। দৌলতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসমত আলী জানান, আব্দুল হক ঈদের আগে সাভার থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে দৌলতপুর উপজেলা আবুডাঙ্গা গ্রামে শ্বশুর মামুদ আলীর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। মঙ্গলবার দুপুরে শ্বশুড় বাড়ি থেকে একই উপজেলার চরমাস্তল গ্রামে ভাইরাভাই (স্ত্রী বোনের স্বামী) সেলিমের বাড়িতে নৌকা যোগে বেড়াতে যান। নৌকা কিছু দুর যাওয়ার পর বেলা পৌনে দুইটার দিকে ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়। এতে মনির হোসেন নৌকা নিয়ন্ত্রন রাখতে না পারায় নৌকা ডুবে যায়। নৌকার ৯ জনের মধ্যে ৪ জন সাঁতিরে উঠতে পারলেও সাঁতার না জানার কারণে পানিতে তলিয়ে যায় ৫ জন। এর কিছুক্ষন পর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পানিতে তলিয়ে যাওয়া ৫ জনের মধ্যে রোকসানা, জিয়াউল হক জিয়া ও হনুফা বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই নিউজ লেখা পর্যন্ত মিথিলা ও শান্তর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি জানান, বাউফলে পুকুরে ডুবে তিন বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় কালাইয়া ইউনিয়নের কর্পুরকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, কালাইয়া হায়াতুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণির ছাত্রী মরিয়ম বেগম (১৪) ও তার বোন একই বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণির মারিয়া বেগম (১২) বাবা- মায়ের সঙ্গে গ্রামের বাড়ি কর্পুরকাঠী যায়। সোমবার বিকাল তিনটার দিকে চাচা আবদুর রাজ্জাক খানের মেয়ে কর্পুরকাঠি মানসুরা দাখিল মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণির ছাত্রী মাকসুদা বেগমকে নিয়ে বাড়ির পুকুরে গোসল করতে যায়। সন্ধ্যার পরেও তারা ঘরে ফিরে না আসায় বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজনরা তাদের খুঁজতে বের হন। এক পর্যায়ে পুকুরের ঘাটলায় তাদের স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয়। এরপর লোকজন পুকুরে খোঁজাখুঁজি করে ঘাটলা থেকে ৫০ ফুট দূরে তাদের লাশ উদ্ধার করে।
বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, বানিয়াচং উপজেলার রহমতপুর পাঁচকেরির হাওরে নৌকা ডুবে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা একজনের লাশ উদ্ধার করলেও দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় এ ঘটনাটি ঘটে। উদ্ধারকৃত লাশ আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা গ্রামের মৃত আ. আওয়াল মিয়ার কন্যা দুলেনা বেগম (২৫)-এর বলে পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন। এ ছাড়া নিখোঁজ আলী নূর (৩৮) মৃত দুলেনার ভাই এবং অপর নিখোঁজ খোকন (৭) আলী নূরের পুত্র।
বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি জানান, বকশীগঞ্জ উপজেলার নীলাক্ষিয়া ইউনিয়নে পানিতে ডুবে জান্নাত (৫) ও সিয়াম (৭) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলো নিলাক্ষিয়া মাঝিপাড়া গ্রামের রাশেদ মিয়ার মেয়ে জান্নাত ও আফাজ উদ্দিনের ছেলে সিয়াম। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বাড়ির পার্শ্বে পুকুরে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়। পরে মৃত্যু শিশুদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত্যু ঘোষণা করেন।
পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, পাকুন্দিয়ায় গত দুইদিনে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার কন্দরপদী গ্রামে বৃষ্টির পানি জমে থাকা গর্তে পড়ে এবং চণ্ডিপাশা সামুর দোকান সংলগ্ন ফিশারির পানিতে ডুবে ওই দুই শিশু মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়নের কন্দরপদী গ্রামের প্রবাসী কাজল মিয়ার ছেলে লামিম (৫) ও চণ্ডিপাশা ইউনিয়নের চণ্ডিপাশা আবির হাজী বাড়ির ফারুক মিয়ার ছেলে মারুফ (৭)। স্থানীয় সূত্র জানায়, ঈদের পরদিন রোববার বেলা ১২টার দিকে বাড়ির লোকজনের অজান্তে বৃষ্টির পানি জমে থাকা গর্তে পড়ে যায় কন্দরপদী গ্রামের শিশু লামিম। সে ওই গ্রামের প্রবাসী কাজল মিয়ার একমাত্র সন্তান। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক লামিমকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে সোমবার দুপুরে বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ির পাশের ফিশারিতে খেলতে নেমে সাঁতার কাটা ও লাফালাফি করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারুফ নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে চণ্ডিপাশা আবির হাজী বাড়ির ফারুক মিয়ার ছেলে।
নওগাঁ প্রতিনিধি জানান, বগুড়ার আদমদীঘির ঐতিহাসিক রক্তদহ বিলে নৌকা ডুবে মা-ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলো- মা চাঁদনী বেগম (২৯) ও ছেলে সাদ (৭)। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে এ নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। নিহতরা উপজেলার সান্দিড়া গ্রামের শহীদ হোসেনের স্ত্রী ও ছেলে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, চাঁদনী বেগম ছেলে সাদকে নিয়ে সপরিবারে ভাগ্নির বাড়ি করজবাড়ী গ্রামে যাওয়ার জন্য স্বামীর বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু দমদমার কিশোর সিহাব হত্যার ঘটনায় করজবাড়ী গ্রামে অটোরিকশা চলছে না জেনে পরিবারের সকলকে নিয়ে রক্তদহ বিলের সান্দিড়া ঘাট থেকে নৌকায় রওনা হন। নৌকাটি বিলের মাঝখানে পৌঁছলে হঠাৎ তলা ফেটে নৌকায় পানি উঠতে থাকে। এ সময় চাঁদনী ও তার ছেলে সাদ পানিতে ডুবে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে সান্তাহারে একটি চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, শাহজাদপুর উপজেলার পৌর সদরের নুলুয়া মহল্লায় বন্যার পানিতে ডুবে রজনী (৪) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশু রজনী পৌর সদরের নুলুয়া মহল্লার মনিরুল ইসলামের মেয়ে। জানা গেছে, এদিন সকালে বাড়ির পাশে বর্ষার পানিতে সহপাঠীদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল রজনী। কিন্তু এক সময় তার মা তাকে না দেখতে পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর নিজ বাসার ডুবে যাওয়া টয়লেটের নিচে তাকে দেখতে পায়, সেখান থেকে তুলে স্থানীয় পোতাজিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি জানান, কেন্দুয়ায় নৌকা ডুবে হাসিবা (১৮) নামে এক তরুণীর মৃত্যু ও আহত হয়েছেন এক ইউপি সদস্যসহ ৪ জন। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার নওপাড়া ইউপি’র বৌসুন বিলে এ ঘটনাটি ঘটে। কেন্দুয়া থানার ওসি রাশেদুজ্জামান মৃত পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, মৃত হাসিবা নওপাড়া ইউপি’র দুর্গাপুর গ্রামের খোকন মিয়ার শ্যালিকা। তার গ্রামের বাড়ি ঢাকার ডেমরার শারুলিয়া গ্রামে। বাবার নাম খবির উদ্দিন। নিহত হাসিবা ঈদের দিন বিকালে তার বাবার সঙ্গে দুর্গাপুর গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির পাশে বৌসুন বিলে কয়েকজন মিলে নৌকায় করে বেড়াতে যায়। এ সময় বাতাস এসে নৌকাটি উল্টে দিলে সবাই পানিতে ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসিবাকে মৃত ঘোষণা করেন। এবং আহত ইউপি সদস্য হানিফ (৩৫), মুক্তা (২০), সাবের (৮) ও সাব্বির (১৪)কে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
নিকলী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, নিকলীতে মঙ্গলবার দুপুরে পানিতে ডুবে জান্নাত আরা বাবুনী (৬) নামে আরো এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি উপজেলা সদরের পূর্বগ্রাম সর্দারহাটি গ্রামে। জানা যায়, নিকলী উপজেলা সদরের পূর্বগ্রাম সর্দারহাটি গ্রামের মজিদ আলী গত শুক্রবার হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। বাবার মৃত্যুর ৪ দিন না পেরোতেই জান্নাত আরা বাবুনী মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির পাশে পাতিলাধর হাওরে বর্ষার জলে সাথীদের সঙ্গে গোসল করতে যায়। এক পর্যায়ে বাবুনী ডুবে যায়। দীর্ঘ সময় সে না ভেসে উঠায় সাথীরা বাড়িতে খবর দেয়। দুপুর আড়াইটায় বাবুনীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনার আগের দিন সোমবার উপজেলার কারপাশা ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামের বাবা সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে বাড়ির পাশের নরসুন্দা নদীতে গোসল করতে যেয়ে চাঁদনী (৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়।
শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি জানান, শ্যামনগরে পানিতে ডুবে কাজল (৭) নামে এক শিশু কন্যার মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে বাড়ীর পাশে পুকুরে হাত ধুতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায় কাজল। কাজল উপজেলার পাতড়াখোলা গ্রামের অয়েজ উদ্দীন গাজীর কন্যা।
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে জানান, বাগমারা উপজেলায় কোলের সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে বন্যার পানিতে পড়ে আকলিমা বেগম (২৮) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার কোনাবাড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছনগাছা গ্রামের হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি দুই শিশু সন্তান নিয়ে বাগমারা উপজেলার কোনাবাড়িয়া গ্রামে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন। জানা যায়, বন্যার কারণে তার আত্মীয়ের (আব্দুল হান্নান) বাড়িতে যেতে নৌকায় চলাচল করতে হয়। সোমবার সকালে তার তিন বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে নৌকায় ওঠেন। হান্নানের দশ বছরের এক বাকপ্রতিবন্ধী ছেলে নৌকা চালাচ্ছিল। একপর্যায়ে নৌকা থেকে গড়িয়ে আকলিমার শিশু সন্তান পানিতে পড়ে যেতে লাগে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আকলিমা বেগম নৌকা থেকে পানিতে পড়ে তলিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা আকলিমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি জানান, ধামরাইয়ের সুয়াপুর ইউনিয়ন রৌহা ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের মান্দারচাপ এলাকায় ঈদের আনন্দ করতে নৌকা নিয়ে পানিতে ডুবে লাশ হয়েছে কলেজছাত্রীসহ ৫ জন। জানা গেছে, ধামরাইয়ের মান্দারচাপ গ্রামে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী মিম ও শিফা ঈদের দিন দুপুরে নৌকা নিয়ে পানিতে বেড়াতে যায়। কিছু দূর যাওয়ার পর নৌকা উল্টে ডুবে যায়। সাঁতার না জানায় তারা তীরে উঠতে পারেনি। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার দুপুরে সুয়াপুর ইউনিয়নের রৌহা কলেজ ছাত্রী আফরিন ও তার বান্ধবী নৌকা নিয়ে বেড়াতে যায়। এ সময় হালকা ঝড় হলে তাদের নৌকা উল্টে ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা আফরিন ও তার বান্ধবীর লাশ উদ্ধার করে। সোমবার সন্ধ্যায় সুয়াপুর ইউনিয়নের কুটির চর এলাকায় সোহাগ নামে এক শিশু খেলতে গিয়ে পানি ডুবে মারা গেছে।
ষ্টাফ রিপোর্টার,নবীগঞ্জ থেকে জানান, হাওরের পানিতে ডুবে দুই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার কালিয়ার ভাঙ্গা ইউনিয়নের মান্দারকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, ডিঙি নৌকায় হাওরে ঘুরতে গিয়ে প্রচণ্ড ঢেউয়ে নৌকা উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই পানিতে ডুবে মনই মিয়ার মেয়ে পপি আক্তার (১৬) ও আব্দুস সালাম মিয়ার মেয়ে মনি আক্তার (১২) মারা যায়। এছাড়া আহত ৩ শিশুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার,মানিকগঞ্জ থেকে জানান, মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে নৌকা ডুবে ভাই-বোনসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরো দুই শিশু। নিখোঁজ ও নিহতরা একে অপরের আত্মীয়। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলায় চরমাস্তল এলাকায় এই নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। দৌলতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসমত আলী জানান, আব্দুল হক ঈদের আগে সাভার থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে দৌলতপুর উপজেলা আবুডাঙ্গা গ্রামে শ্বশুর মামুদ আলীর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। মঙ্গলবার দুপুরে শ্বশুড় বাড়ি থেকে একই উপজেলার চরমাস্তল গ্রামে ভাইরাভাই (স্ত্রী বোনের স্বামী) সেলিমের বাড়িতে নৌকা যোগে বেড়াতে যান। নৌকা কিছু দুর যাওয়ার পর বেলা পৌনে দুইটার দিকে ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়। এতে মনির হোসেন নৌকা নিয়ন্ত্রন রাখতে না পারায় নৌকা ডুবে যায়। নৌকার ৯ জনের মধ্যে ৪ জন সাঁতিরে উঠতে পারলেও সাঁতার না জানার কারণে পানিতে তলিয়ে যায় ৫ জন। এর কিছুক্ষন পর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পানিতে তলিয়ে যাওয়া ৫ জনের মধ্যে রোকসানা, জিয়াউল হক জিয়া ও হনুফা বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই নিউজ লেখা পর্যন্ত মিথিলা ও শান্তর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি জানান, বাউফলে পুকুরে ডুবে তিন বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় কালাইয়া ইউনিয়নের কর্পুরকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, কালাইয়া হায়াতুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণির ছাত্রী মরিয়ম বেগম (১৪) ও তার বোন একই বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণির মারিয়া বেগম (১২) বাবা- মায়ের সঙ্গে গ্রামের বাড়ি কর্পুরকাঠী যায়। সোমবার বিকাল তিনটার দিকে চাচা আবদুর রাজ্জাক খানের মেয়ে কর্পুরকাঠি মানসুরা দাখিল মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণির ছাত্রী মাকসুদা বেগমকে নিয়ে বাড়ির পুকুরে গোসল করতে যায়। সন্ধ্যার পরেও তারা ঘরে ফিরে না আসায় বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজনরা তাদের খুঁজতে বের হন। এক পর্যায়ে পুকুরের ঘাটলায় তাদের স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয়। এরপর লোকজন পুকুরে খোঁজাখুঁজি করে ঘাটলা থেকে ৫০ ফুট দূরে তাদের লাশ উদ্ধার করে।
বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, বানিয়াচং উপজেলার রহমতপুর পাঁচকেরির হাওরে নৌকা ডুবে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা একজনের লাশ উদ্ধার করলেও দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় এ ঘটনাটি ঘটে। উদ্ধারকৃত লাশ আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা গ্রামের মৃত আ. আওয়াল মিয়ার কন্যা দুলেনা বেগম (২৫)-এর বলে পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন। এ ছাড়া নিখোঁজ আলী নূর (৩৮) মৃত দুলেনার ভাই এবং অপর নিখোঁজ খোকন (৭) আলী নূরের পুত্র।
বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি জানান, বকশীগঞ্জ উপজেলার নীলাক্ষিয়া ইউনিয়নে পানিতে ডুবে জান্নাত (৫) ও সিয়াম (৭) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলো নিলাক্ষিয়া মাঝিপাড়া গ্রামের রাশেদ মিয়ার মেয়ে জান্নাত ও আফাজ উদ্দিনের ছেলে সিয়াম। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বাড়ির পার্শ্বে পুকুরে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়। পরে মৃত্যু শিশুদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত্যু ঘোষণা করেন।
পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, পাকুন্দিয়ায় গত দুইদিনে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার কন্দরপদী গ্রামে বৃষ্টির পানি জমে থাকা গর্তে পড়ে এবং চণ্ডিপাশা সামুর দোকান সংলগ্ন ফিশারির পানিতে ডুবে ওই দুই শিশু মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়নের কন্দরপদী গ্রামের প্রবাসী কাজল মিয়ার ছেলে লামিম (৫) ও চণ্ডিপাশা ইউনিয়নের চণ্ডিপাশা আবির হাজী বাড়ির ফারুক মিয়ার ছেলে মারুফ (৭)। স্থানীয় সূত্র জানায়, ঈদের পরদিন রোববার বেলা ১২টার দিকে বাড়ির লোকজনের অজান্তে বৃষ্টির পানি জমে থাকা গর্তে পড়ে যায় কন্দরপদী গ্রামের শিশু লামিম। সে ওই গ্রামের প্রবাসী কাজল মিয়ার একমাত্র সন্তান। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক লামিমকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে সোমবার দুপুরে বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ির পাশের ফিশারিতে খেলতে নেমে সাঁতার কাটা ও লাফালাফি করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারুফ নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে চণ্ডিপাশা আবির হাজী বাড়ির ফারুক মিয়ার ছেলে।
নওগাঁ প্রতিনিধি জানান, বগুড়ার আদমদীঘির ঐতিহাসিক রক্তদহ বিলে নৌকা ডুবে মা-ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলো- মা চাঁদনী বেগম (২৯) ও ছেলে সাদ (৭)। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে এ নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। নিহতরা উপজেলার সান্দিড়া গ্রামের শহীদ হোসেনের স্ত্রী ও ছেলে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, চাঁদনী বেগম ছেলে সাদকে নিয়ে সপরিবারে ভাগ্নির বাড়ি করজবাড়ী গ্রামে যাওয়ার জন্য স্বামীর বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু দমদমার কিশোর সিহাব হত্যার ঘটনায় করজবাড়ী গ্রামে অটোরিকশা চলছে না জেনে পরিবারের সকলকে নিয়ে রক্তদহ বিলের সান্দিড়া ঘাট থেকে নৌকায় রওনা হন। নৌকাটি বিলের মাঝখানে পৌঁছলে হঠাৎ তলা ফেটে নৌকায় পানি উঠতে থাকে। এ সময় চাঁদনী ও তার ছেলে সাদ পানিতে ডুবে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে সান্তাহারে একটি চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, শাহজাদপুর উপজেলার পৌর সদরের নুলুয়া মহল্লায় বন্যার পানিতে ডুবে রজনী (৪) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশু রজনী পৌর সদরের নুলুয়া মহল্লার মনিরুল ইসলামের মেয়ে। জানা গেছে, এদিন সকালে বাড়ির পাশে বর্ষার পানিতে সহপাঠীদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল রজনী। কিন্তু এক সময় তার মা তাকে না দেখতে পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর নিজ বাসার ডুবে যাওয়া টয়লেটের নিচে তাকে দেখতে পায়, সেখান থেকে তুলে স্থানীয় পোতাজিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি জানান, কেন্দুয়ায় নৌকা ডুবে হাসিবা (১৮) নামে এক তরুণীর মৃত্যু ও আহত হয়েছেন এক ইউপি সদস্যসহ ৪ জন। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার নওপাড়া ইউপি’র বৌসুন বিলে এ ঘটনাটি ঘটে। কেন্দুয়া থানার ওসি রাশেদুজ্জামান মৃত পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, মৃত হাসিবা নওপাড়া ইউপি’র দুর্গাপুর গ্রামের খোকন মিয়ার শ্যালিকা। তার গ্রামের বাড়ি ঢাকার ডেমরার শারুলিয়া গ্রামে। বাবার নাম খবির উদ্দিন। নিহত হাসিবা ঈদের দিন বিকালে তার বাবার সঙ্গে দুর্গাপুর গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির পাশে বৌসুন বিলে কয়েকজন মিলে নৌকায় করে বেড়াতে যায়। এ সময় বাতাস এসে নৌকাটি উল্টে দিলে সবাই পানিতে ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসিবাকে মৃত ঘোষণা করেন। এবং আহত ইউপি সদস্য হানিফ (৩৫), মুক্তা (২০), সাবের (৮) ও সাব্বির (১৪)কে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
নিকলী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, নিকলীতে মঙ্গলবার দুপুরে পানিতে ডুবে জান্নাত আরা বাবুনী (৬) নামে আরো এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি উপজেলা সদরের পূর্বগ্রাম সর্দারহাটি গ্রামে। জানা যায়, নিকলী উপজেলা সদরের পূর্বগ্রাম সর্দারহাটি গ্রামের মজিদ আলী গত শুক্রবার হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। বাবার মৃত্যুর ৪ দিন না পেরোতেই জান্নাত আরা বাবুনী মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির পাশে পাতিলাধর হাওরে বর্ষার জলে সাথীদের সঙ্গে গোসল করতে যায়। এক পর্যায়ে বাবুনী ডুবে যায়। দীর্ঘ সময় সে না ভেসে উঠায় সাথীরা বাড়িতে খবর দেয়। দুপুর আড়াইটায় বাবুনীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনার আগের দিন সোমবার উপজেলার কারপাশা ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামের বাবা সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে বাড়ির পাশের নরসুন্দা নদীতে গোসল করতে যেয়ে চাঁদনী (৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়।
শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি জানান, শ্যামনগরে পানিতে ডুবে কাজল (৭) নামে এক শিশু কন্যার মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে বাড়ীর পাশে পুকুরে হাত ধুতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায় কাজল। কাজল উপজেলার পাতড়াখোলা গ্রামের অয়েজ উদ্দীন গাজীর কন্যা।
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে জানান, বাগমারা উপজেলায় কোলের সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে বন্যার পানিতে পড়ে আকলিমা বেগম (২৮) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার কোনাবাড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছনগাছা গ্রামের হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি দুই শিশু সন্তান নিয়ে বাগমারা উপজেলার কোনাবাড়িয়া গ্রামে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন। জানা যায়, বন্যার কারণে তার আত্মীয়ের (আব্দুল হান্নান) বাড়িতে যেতে নৌকায় চলাচল করতে হয়। সোমবার সকালে তার তিন বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে নৌকায় ওঠেন। হান্নানের দশ বছরের এক বাকপ্রতিবন্ধী ছেলে নৌকা চালাচ্ছিল। একপর্যায়ে নৌকা থেকে গড়িয়ে আকলিমার শিশু সন্তান পানিতে পড়ে যেতে লাগে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আকলিমা বেগম নৌকা থেকে পানিতে পড়ে তলিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা আকলিমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।