খেলা

ফিকা’র প্রতিবেদন মানতে নারাজ বিসিবি

স্পোর্টস রিপোর্টার

৫ আগস্ট ২০২০, বুধবার, ৮:৩৪ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক জটিলতার বিষয় উঠে এসেছে খেলোয়াড়দের সংগঠন ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার্স এসোসিয়েশনের (ফিকার) জরিপে। তাদের দাবি, সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে বিশ্বজুড়ে মোট ছয়টি টুর্নামেন্টে। ফিকার অভিযোগে থাকা ছয় টুর্নামেন্টের মধ্যে আছে আইসিসি’র পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লীগ- বিপিএল। বাকি পাঁচ টুর্নামেন্ট হলো গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি কানাডা, আবুধাবী টি-টেন, কাতার টি-টেন, ইউরো টি-টোয়েন্টি এবং মাস্টার্স চ্যাম্পিয়ন্স লীগ। ফিকার সবশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টগুলোতে খেলা এক-তৃতীয়াংশের বেশি ক্রিকেটারের পারিশ্রমিক পেতে দেরি হয় কিংবা একেবারেই পায় না। যেখানে বিপিএলের এমন অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ আছে। তবে এমন প্রতিবেদন মানতে নারাজ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এরই মধ্যে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিসিবি দাবি করেছে ফিকা’র প্রকাশিত প্রতিবেদন বিভ্রান্তিমূলক ও ভিত্তিহীন। তবে কিছু বিছিন্ন ঘটনার কথা স্বীকারও করে নিয়েছে বিসিবি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- ‘বিসিবি লক্ষ্য করেছে যে এফআইসিএ’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে ক্রিকেটারদের অর্থ প্রদান সংক্রান্ত বিভ্রান্তিমূলক এবং ভুল তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ‘মেনস গ্লোবাল এমপ্লয়মেন্ট রিপোর্ট ২০২০’ প্রকাশ করে ফিকা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগকে এমন একটি টুর্নামেন্ট হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। যেখানে দেরিতে অর্থ প্রদান বা তা না করার সমস্যা অব্যাহত রয়েছে।’ বিষয়টিকে বিচ্ছিন্ন বলে দাবি করে বিসিবি জানায়, ‘এ বিষয়ে বিসিবি স্পষ্টভাবে বলতে চায় যে বিপিএলে একমাত্র অমীমাংসিত আর্থিক লেনদেনের ঘটনা ঘটেছে চারজন ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে। এরমধ্যে তিনজন বিদেশি খেলোয়াড় এবং একজন কোচ রয়েছেন যারা ২০১৮তে বিপিএল’র ৬ষ্ঠ আসরে অংশ নিয়েছিলেন। এটা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা, কেননা বিপিএল একটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট যেখানে ১৭০’র অধিক দেশি এবং বিদেশি খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফ চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন।’ এর আগে বিপিএলের প্রথম তিন আসরে ক্রিকেটারদের পাওনা সংক্রান্ত অনিয়ম নিয়ে ফিকা বিসিবিকে চিঠি দিয়েছিল। তবে শেষ তিন আসরে ধীরে ধীরে এমন অনিয়ম কমে এসেছে বলেই দাবি বিপিএল সংশ্লিষ্টদের। অন্যদিকে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশও (কোয়াব) ফিকার বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয়। এই বিষয়ে কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল বলেন, ‘আমরা কোয়াবের পক্ষ থেকে বলতে পারি শেষ তিন আসরে দেশি কোনো ক্রিকেটারেরই পারিশ্রমিক বকেয়া থাকেনি। আমরা বিষয়গুলো শক্তভাবে দেখছি। তবে হ্যাঁ, ফিকা যে যে বিদেশি ক্রিকেটারদের কথা জানিয়েছে তা হতে পারে। ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক এই সংগঠন  আমাদের কিছুই জানায়নি। যদি তারা আমাদের জানায় তাহলে কোয়াব বিসিবির সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিবো।’ অন্যদিকে ফিকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টম মোফাট বলেন, ‘চুক্তি ও পারিশ্রমিকের বিষয়ে জটিলতা নিয়ে আইসিসির উচিত নজরদারি করা। এখন সময় এসেছে ক্রিকেটের এসব সমস্যার বিষয়ে আইসিসির দায়িত্বশীলদের কিছু একটা করার।’ ফিকা’র তৈরি করা পুরুষ ক্রিকেটারদের ২০২০ সালের গ্লোবাল এমপ্লয়মেন্ট রিপোর্টে দেখা গেছে, ৩৪ শতাংশ ক্রিকেটার তাদের প্রাপ্য টাকা পেতে ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিপিএলে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে একসময় ছিল অভিযোগের পাহাড়। তবে গত কয়েক বছরে সেটি নেই বলেই বারবার দাবি করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। এই সময়টায় ক্রিকেটারদের কাছ থেকে অভিযোগও তেমন শোনা যায়নি। বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের মধ্যে বিপিএলের শেষ দুটি আসরে পারিশ্রমিক নিয়ে কোনো অভিযোগও ছিল না। যদিও প্রথম ৩ আসরে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্জাইজির কাছে এখনো অনেক ক্রিকেটারই বড় অঙ্কের পারিশ্রমিক পাওনা রয়েছেন। তবে সেই সব ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা এখন বিপিএলে না থাকায় পাওনা টাকার বিষয়টি অমীমাংসিতই থেকে গেছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status