বাংলারজমিন
নদীতে ভাসছে কোরবানী পশুর চামড়া, হুমকিতে হাকালুকি হাওর
স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার থেকে
৪ আগস্ট ২০২০, মঙ্গলবার, ৮:২৬ পূর্বাহ্ন
এবারের কোরবানীর ঈদে পশুর চামড়া নিতে ক্রেতা না আসায় এবং উপযুক্ত দাম না পাওয়ায় কুরবানির পশুর চামড়া জুড়ী নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জায়ফরনগর ইউনিয়নের বেলাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা হাবিব চৌধূরীর বলেন আমরা দুই দিন অপেক্ষা করেও কেউ চামড়া নিতে আসেনি। ধীরে ধীরে চামড়া থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে সেজন্য নদীতে ফেলে দেই।একারনে ব্যবসায়ীরা যেমন লোকসানের মুখোমুখি হচ্ছেন তেমনি নদীতে চামড়া ফেলার কারণে নদীও দূষিত হচ্ছে। আর এই জুড়ী নদীটির পানি যায় হাকালুকি হাওরে সেজন্য পানি মারাত্মক দূষিত হচ্ছে। নষ্ট হবে হাওরের জীববৈচিত্রও। জুড়ীর ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ী শিমুল আহমদ জানান এবার আমি ৩৪টি বড় গরুর চামড়া কিনে মাত্র ৫ হাজার ৫শ’ টাকায় বিক্রি করেছি। আগে যেখানে প্রতিটি বড় গরুর চামড়া ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা বিক্রি করা যেত সেই একই চামড়া বর্তমানে ১শ’ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি করা যায় না। এরকম চলতে থাকলে আমরা আগামী ঈদে আর চামড়া কিনবো না।
এদিকে মৌলভীবাজারের কোরবানির পশুর চামড়া নামমাত্র মূল্যে বিক্রয় হয়েছে। এতে করে এলাকার অসহায় দুস্থ ও এতিমরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন। জানা যায় বিভিন্ন এলাকায় কোরবানী দাতারা ফড়িয়া বা মৌসুমি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের নিকট তাদের কোরবানী কৃত বড় গরুর চামড়া ১০০-১৮০ টাকা। মাঝারি চামড়া ৭০-৮০ টাকা এবং ক্ষেত্র বিশেষে এর চেয়েও কম দামে বিক্রয় করছেন। একটু ত্রুটিপূর্ণ চামড়া ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকায়ও বিক্রয় হয়েছে। আর ছাগলের চামড়ার ৫০-৬০ টাকা করে বেচাকেনা হয়েছে। চামড়ার দাম না থাকায় পশু কোরবানী দাতাদের অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেছেন। চামড়ার পুরোপুরি মূল্য না পেয়ে মলিন হয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকার এতিমখানা, মাদ্রাসা, দুস্থ ও অসহায় মানুষের মুখ। মৌসুমী ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, এলাকায় ক্ষুদ্র ক্রেতা ছাড়া চামড়ার অন্য কোনো ক্রেতা না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে মৌলভীবাজারের কোরবানির পশুর চামড়া নামমাত্র মূল্যে বিক্রয় হয়েছে। এতে করে এলাকার অসহায় দুস্থ ও এতিমরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন। জানা যায় বিভিন্ন এলাকায় কোরবানী দাতারা ফড়িয়া বা মৌসুমি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের নিকট তাদের কোরবানী কৃত বড় গরুর চামড়া ১০০-১৮০ টাকা। মাঝারি চামড়া ৭০-৮০ টাকা এবং ক্ষেত্র বিশেষে এর চেয়েও কম দামে বিক্রয় করছেন। একটু ত্রুটিপূর্ণ চামড়া ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকায়ও বিক্রয় হয়েছে। আর ছাগলের চামড়ার ৫০-৬০ টাকা করে বেচাকেনা হয়েছে। চামড়ার দাম না থাকায় পশু কোরবানী দাতাদের অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেছেন। চামড়ার পুরোপুরি মূল্য না পেয়ে মলিন হয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকার এতিমখানা, মাদ্রাসা, দুস্থ ও অসহায় মানুষের মুখ। মৌসুমী ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, এলাকায় ক্ষুদ্র ক্রেতা ছাড়া চামড়ার অন্য কোনো ক্রেতা না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।