বাংলারজমিন
বরগুনায় শ্বশুরের কাছে পাওনা টাকা চাওয়ায় শিকলবন্দী জামাতা
বরগুনা প্রতিনিধি
৩ আগস্ট ২০২০, সোমবার, ৭:২৭ পূর্বাহ্ন
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় শ্বশুরের কাছে পাওনা টাকা চাইতে এসে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন জামাই শফিকুল ইসলাম। তাকে শারীরিক নির্যাতন করে ১৬ দিন শিকলবন্দী করে রেখেছেন শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
পাথরঘাটা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন আবদুল হক মাস্টারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত শফিকুল ইসলাম বরগুনা সদর উপজেলার ১০ নং নলটোনা ইউনিয়নের শিয়ালিয়া গ্রামের আ. ছত্তার ফকিরের ছেলে।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবিরের কাছে শিকলবন্দী অবস্থায় গিয়ে শফিকুল ইসলাম তার শ্বশুর আবদুল হক মাস্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সুষ্ঠু বিচারের দাবি করেছেন। পরে ইউএনওর হস্তক্ষেপে তিনি শিকলমুক্ত হন।
শফিকুল ইসলাম জানান, তিনি ঢাকা তিতুমীর কলেজ থেকে ক্যামেষ্ট্রিতে মাস্টার্স পাস করে টেক্সটাইলের ওপর পিএইচডি করেন। লেখাপড়া শেষ করে বাংলাদেশ টেক্সফাইট বাইংহাউজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসাবে ব্যবসা শুরু করেন। বিয়ের পর তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে তিনি ওই কোম্পানির পরিচালক পদে বসান। এরপর ব্যবসা থেকে জেসমিন আক্তার তার বাবা আবদুল হক মাস্টারকে বিভিন্ন সময় বাড়ি নির্মাণ, ব্যবসার কাজে ও দুই ভাইকে বিদেশ পাঠানোসহ বিভিন্ন কারণে প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা ধার দিয়েছেন।
করোনা ভাইরাসে দেশ অচল হয়ে যাওয়ায় শফিকুলের ব্যবসায় ধস নামে। এসময় শ্বশুরকে টাকা ধার দেয়া নিয়ে স্বামী/ স্ত্রীর মাঝে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। স্বামীর সাথে রাগ করে স্ত্রী জেসমিন আক্তার ব্যবসার সকল টাকা/পয়সা নিয়ে তার বাবার বাড়ি চলে আসে।
পরে গত ১৪ জুলাই শফিকুল পাথরঘাটায় তার শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তানদের নিতে আসলে ধারের টাকা নিয়ে শ্বশুরের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় শফিকুল আইনের আশ্রয় নেয়ার কথা জানালে, শ্বশুর আবদুল হক, শ্যালক রুমান হোসেন ও স্ত্রী জেসমিন আক্তার শফিকুলকে মারধর করে ১৬ দিন ধরে শিকল দিয়ে ঘরে বেঁধে রাখে।
শফিকুল জানান, শনিবার শ্বশুর বাড়ির লোকজন কোরবানির পশু জবাইয়ে ব্যস্ত থাকায় আমি শিকলসহ ঘর থেকে বের হয়ে দৌড় দিয়ে ইউএনওর বাসায় গিয়ে তার কাছে বিষয়টি খুলে বলেছি। ইউএনও বিষয়টি ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু বকর সিদ্দিক মিল্লাতকে জানান। কাউন্সিলর এসে আমার পায়ে লাগানো শিকল খুলে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে শফিকুল ইসলামের শ্বশুর আবদুল হক মাস্টারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার জামাই শফিকুল আমার মেয়েকে নির্যাতন করেছে। তিনি অসুস্থ এ কারণে তাকে শিকল পড়ানো হয়েছে। তাকে কোন নির্যাতন করা হয়নি। জামাই কিছু টাকা পাবে তা পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, তিনি ঈদের দিন দুপুরে তার বাসায় মেহমান নিয়ে খাবার খাচ্ছিলেন, এমন সময় শিকল পড়া অবস্থায় এক লোক এসে তার কাছে নির্যাতনের মৌখিক নালিশ জানিয়ে গেছেন। পরে বিকেল ৫টার দিকে খবর নিয়ে জানা যায়, তার (শফিকুলের) পায়ের শিকল খুলে দেয়া হয়েছে। শফিকুল আইনের আশ্রয় নিলে তাকে সহযোগিতা করা হবে।
পাথরঘাটা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন আবদুল হক মাস্টারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত শফিকুল ইসলাম বরগুনা সদর উপজেলার ১০ নং নলটোনা ইউনিয়নের শিয়ালিয়া গ্রামের আ. ছত্তার ফকিরের ছেলে।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবিরের কাছে শিকলবন্দী অবস্থায় গিয়ে শফিকুল ইসলাম তার শ্বশুর আবদুল হক মাস্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সুষ্ঠু বিচারের দাবি করেছেন। পরে ইউএনওর হস্তক্ষেপে তিনি শিকলমুক্ত হন।
শফিকুল ইসলাম জানান, তিনি ঢাকা তিতুমীর কলেজ থেকে ক্যামেষ্ট্রিতে মাস্টার্স পাস করে টেক্সটাইলের ওপর পিএইচডি করেন। লেখাপড়া শেষ করে বাংলাদেশ টেক্সফাইট বাইংহাউজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসাবে ব্যবসা শুরু করেন। বিয়ের পর তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে তিনি ওই কোম্পানির পরিচালক পদে বসান। এরপর ব্যবসা থেকে জেসমিন আক্তার তার বাবা আবদুল হক মাস্টারকে বিভিন্ন সময় বাড়ি নির্মাণ, ব্যবসার কাজে ও দুই ভাইকে বিদেশ পাঠানোসহ বিভিন্ন কারণে প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা ধার দিয়েছেন।
করোনা ভাইরাসে দেশ অচল হয়ে যাওয়ায় শফিকুলের ব্যবসায় ধস নামে। এসময় শ্বশুরকে টাকা ধার দেয়া নিয়ে স্বামী/ স্ত্রীর মাঝে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। স্বামীর সাথে রাগ করে স্ত্রী জেসমিন আক্তার ব্যবসার সকল টাকা/পয়সা নিয়ে তার বাবার বাড়ি চলে আসে।
পরে গত ১৪ জুলাই শফিকুল পাথরঘাটায় তার শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তানদের নিতে আসলে ধারের টাকা নিয়ে শ্বশুরের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় শফিকুল আইনের আশ্রয় নেয়ার কথা জানালে, শ্বশুর আবদুল হক, শ্যালক রুমান হোসেন ও স্ত্রী জেসমিন আক্তার শফিকুলকে মারধর করে ১৬ দিন ধরে শিকল দিয়ে ঘরে বেঁধে রাখে।
শফিকুল জানান, শনিবার শ্বশুর বাড়ির লোকজন কোরবানির পশু জবাইয়ে ব্যস্ত থাকায় আমি শিকলসহ ঘর থেকে বের হয়ে দৌড় দিয়ে ইউএনওর বাসায় গিয়ে তার কাছে বিষয়টি খুলে বলেছি। ইউএনও বিষয়টি ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু বকর সিদ্দিক মিল্লাতকে জানান। কাউন্সিলর এসে আমার পায়ে লাগানো শিকল খুলে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে শফিকুল ইসলামের শ্বশুর আবদুল হক মাস্টারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার জামাই শফিকুল আমার মেয়েকে নির্যাতন করেছে। তিনি অসুস্থ এ কারণে তাকে শিকল পড়ানো হয়েছে। তাকে কোন নির্যাতন করা হয়নি। জামাই কিছু টাকা পাবে তা পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, তিনি ঈদের দিন দুপুরে তার বাসায় মেহমান নিয়ে খাবার খাচ্ছিলেন, এমন সময় শিকল পড়া অবস্থায় এক লোক এসে তার কাছে নির্যাতনের মৌখিক নালিশ জানিয়ে গেছেন। পরে বিকেল ৫টার দিকে খবর নিয়ে জানা যায়, তার (শফিকুলের) পায়ের শিকল খুলে দেয়া হয়েছে। শফিকুল আইনের আশ্রয় নিলে তাকে সহযোগিতা করা হবে।