শেষের পাতা
অনলাইনে চাঙ্গা, হাটে নিরাশ ব্যবসায়ীরা
আলতাফ হোসাইন
৩১ জুলাই ২০২০, শুক্রবার, ৯:৩০ পূর্বাহ্ন
অনলাইনে গরু কেনা ও বেচায় এবার চাহিদা তুঙ্গে। ইতিমধ্যে এক-তৃতীয়াংশ ক্রেতা অনলাইনকেই বেছে নিয়েছেন কোরবানির পশু কেনায়। ঢাকার আশেপাশের খামারিরাও এবার কোরবানির হাটে যাননি। তারা খামার থেকেই বিক্রি করছেন গরু। একেতো করোনা সংক্রমণের ভয়, তার উপর হাটে গরু নিয়ে নানা ঝামেলা পোহাতে হয়। এসব খামারি বলেছেন, অনলাইনে এবার বেশ সাড়া পাওয়া গেছে। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে হাটে
এর প্রভাব পড়বে। অন্যদিকে শনিবার ঈদ। হাতে সময় আছে মাত্র আজকের দিনটিই। গতকালও রাজধানীর বিভিন্ন হাটে গিয়ে দেখা গেছে ক্রেতার আনাগোনা আছে। কিছু বিক্রিও হচ্ছে। তবে এতে খুশি নন ব্যবসায়ীরা। গরুর দামেরও অনেক তারতম্য দেখা গেছে। যে যত পারে বিক্রি করছে। তারপরও ব্যবসায়ীদের ধারণা আজ বিক্রি জমে উঠবে।
গাবতলী পশুর হাটসহ বেশ কয়েকটি হাট ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাটগুলোতে কোরবানির পশু মোটামুটি এলেও ক্রেতা আগের তুলনায় কম। বিক্রেতারা জানান, করোনার কারণে স্বাভাবিকভাবেই এবার মানুষ আর্থিক সংকটে পড়েছেন। এছাড়া একটা অংশ অনলাইনে তাদের চাহিদামতো গরু কিনেছে। এতে করেও ক্রেতা কমে গেছে। তবে বাজারে ছোট গরুর চাহিদা আছে। যারা আগে দুই লাখ টাকা দামের পশু কোরবানি দিতেন তারা এবার আশি হাজার থেকে লাখ টাকার মধ্যে পশু কেনার চিন্তা করছেন। ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে, চাহিদার তুলনায় এবার দেশে কমপক্ষে ৩০ ভাগ বেশি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে এ বছর ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ ভাগ কোরবানি কম হবে। ফলে আগের তুলনায় পশু বিক্রি কম হবে বলে তাদের আশঙ্কা। অনলাইনে গত বছরের তুলনায় এবার তিনগুণ বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স এসোসিয়েশন। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শাহ্ ইমরান মানবজমিনকে বলেন, হাটে ক্রেতাদের সাড়া না থাকার কারণ অনলাইনে গরু বিক্রি হওয়া। এ অবস্থায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যারা ঢাকায় পশু নিয়ে এসেছেন তারা বিপাকে পড়েছেন। সিরাজগঞ্জ থেকে গাবতলী হাটে আসা গরু বিক্রেতা একাব্বর আলী বলেন, আমরা ৫ জন শেয়ারে সিরাজগঞ্জ থেকে ১২টি গরু নিয়ে এসেছি। একদিকে ট্রাক ভাড়া বেশি, অন্যদিকে চাহিদা কম থাকায় অল্প গরু নিয়ে এসেছি। কোরবানি উপলক্ষে আমাদের একটু বেশিই লাভ করার চিন্তা থাকে। কিন্তু যে অবস্থা দেখছি তাতে লাভতো দূরের কথা, কোনমতে বিক্রি করতে পারলে যেন বাঁচি।
মোহাম্মদপুরের মেঘডুবি এগ্রো প্রতিবছর কোরবানির হাটেই বেশি গরু বিক্রি করে। কিন্তু এবার তারা হাটে যায়নি। মেঘডুবির পরিচালক মো. হাসান মানবজমিনকে বলেন, আমরা এবার খামার থেকেই যতোটুকু সম্ভব বিক্রি করছি। করোনা সংক্রমণের কথা চিন্তা করে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যারা কোরবানি উপলক্ষে ব্যবসা করেন তারা আমাদের এখান থেকে দুই একটা গরু নিয়ে হাটে তুলছেন। কেরানীগঞ্জের রাখালবাড়ী এগ্রোর মালিক ফয়সাল আহমেদ বলেন, সরাসরি আমরা বাজারে যাচ্ছি না। আমরা অনলাইনের সাহায্য নিচ্ছি এবার। ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমগুলোতে আমাদের প্রচারণা চলছে। এতে অনেকেই আগ্রহী হয়ে গরু ক্রয় করছেন।
এবার গরুর হাটে ক্রেতার অভাবের আরেকটি কারণ, যারা আগে শেয়ারে কোরবানি দিতেন তাদের অনেকেই এবার কোরবানি দিচ্ছেন না। করোনার থাবায় অনেক সামর্থ্যবান পরিবারও টানাপোড়েনে আছেন। বিশেষ করে মধ্যবিত্তরা প্রতিবছর কষ্ট করে হলেও কোরবানি দিতেন। কিন্তু এবার মহামারিতে অর্থ সংকটে তাদের অনেকেই কোরবানি দিতে পারছেন না। এর প্রভাবও পড়েছে বাজারে।
এর প্রভাব পড়বে। অন্যদিকে শনিবার ঈদ। হাতে সময় আছে মাত্র আজকের দিনটিই। গতকালও রাজধানীর বিভিন্ন হাটে গিয়ে দেখা গেছে ক্রেতার আনাগোনা আছে। কিছু বিক্রিও হচ্ছে। তবে এতে খুশি নন ব্যবসায়ীরা। গরুর দামেরও অনেক তারতম্য দেখা গেছে। যে যত পারে বিক্রি করছে। তারপরও ব্যবসায়ীদের ধারণা আজ বিক্রি জমে উঠবে।
গাবতলী পশুর হাটসহ বেশ কয়েকটি হাট ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাটগুলোতে কোরবানির পশু মোটামুটি এলেও ক্রেতা আগের তুলনায় কম। বিক্রেতারা জানান, করোনার কারণে স্বাভাবিকভাবেই এবার মানুষ আর্থিক সংকটে পড়েছেন। এছাড়া একটা অংশ অনলাইনে তাদের চাহিদামতো গরু কিনেছে। এতে করেও ক্রেতা কমে গেছে। তবে বাজারে ছোট গরুর চাহিদা আছে। যারা আগে দুই লাখ টাকা দামের পশু কোরবানি দিতেন তারা এবার আশি হাজার থেকে লাখ টাকার মধ্যে পশু কেনার চিন্তা করছেন। ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে, চাহিদার তুলনায় এবার দেশে কমপক্ষে ৩০ ভাগ বেশি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে এ বছর ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ ভাগ কোরবানি কম হবে। ফলে আগের তুলনায় পশু বিক্রি কম হবে বলে তাদের আশঙ্কা। অনলাইনে গত বছরের তুলনায় এবার তিনগুণ বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স এসোসিয়েশন। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শাহ্ ইমরান মানবজমিনকে বলেন, হাটে ক্রেতাদের সাড়া না থাকার কারণ অনলাইনে গরু বিক্রি হওয়া। এ অবস্থায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যারা ঢাকায় পশু নিয়ে এসেছেন তারা বিপাকে পড়েছেন। সিরাজগঞ্জ থেকে গাবতলী হাটে আসা গরু বিক্রেতা একাব্বর আলী বলেন, আমরা ৫ জন শেয়ারে সিরাজগঞ্জ থেকে ১২টি গরু নিয়ে এসেছি। একদিকে ট্রাক ভাড়া বেশি, অন্যদিকে চাহিদা কম থাকায় অল্প গরু নিয়ে এসেছি। কোরবানি উপলক্ষে আমাদের একটু বেশিই লাভ করার চিন্তা থাকে। কিন্তু যে অবস্থা দেখছি তাতে লাভতো দূরের কথা, কোনমতে বিক্রি করতে পারলে যেন বাঁচি।
মোহাম্মদপুরের মেঘডুবি এগ্রো প্রতিবছর কোরবানির হাটেই বেশি গরু বিক্রি করে। কিন্তু এবার তারা হাটে যায়নি। মেঘডুবির পরিচালক মো. হাসান মানবজমিনকে বলেন, আমরা এবার খামার থেকেই যতোটুকু সম্ভব বিক্রি করছি। করোনা সংক্রমণের কথা চিন্তা করে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যারা কোরবানি উপলক্ষে ব্যবসা করেন তারা আমাদের এখান থেকে দুই একটা গরু নিয়ে হাটে তুলছেন। কেরানীগঞ্জের রাখালবাড়ী এগ্রোর মালিক ফয়সাল আহমেদ বলেন, সরাসরি আমরা বাজারে যাচ্ছি না। আমরা অনলাইনের সাহায্য নিচ্ছি এবার। ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমগুলোতে আমাদের প্রচারণা চলছে। এতে অনেকেই আগ্রহী হয়ে গরু ক্রয় করছেন।
এবার গরুর হাটে ক্রেতার অভাবের আরেকটি কারণ, যারা আগে শেয়ারে কোরবানি দিতেন তাদের অনেকেই এবার কোরবানি দিচ্ছেন না। করোনার থাবায় অনেক সামর্থ্যবান পরিবারও টানাপোড়েনে আছেন। বিশেষ করে মধ্যবিত্তরা প্রতিবছর কষ্ট করে হলেও কোরবানি দিতেন। কিন্তু এবার মহামারিতে অর্থ সংকটে তাদের অনেকেই কোরবানি দিতে পারছেন না। এর প্রভাবও পড়েছে বাজারে।